ভারতের মিজোরাম রাজ্য সরকার দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে আশ্রয় নেওয়া সব শরণার্থীকে একটি স্থানে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি তাদের সবাইকে একত্র করারও উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে, ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশিও এই কেন্দ্রে আশ্রয় পাবেন বলে জানিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরামর্শদা
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘আবারও, রোহিঙ্গা জনগণকে তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে এবং মেরে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি আবারও তাদের ২০১৭ সালের দেশত্যাগের ঘটনাকে দুঃখজনকভাবে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। আমরা এমন লোকদের সঙ্গে দেখা করেছি যারা আমাদের বলেছে, তারা
‘দুঃখ পিছু ছাড়ছে না। ঘরে বন্যার পানি ঢুকায় আট দিন ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। সঙ্গে মেয়ের তিন সন্তান রয়েছে। ছেলেমেয়ে ঢাকায় থাকে। গত আট দিনে তিনবার ভাত খেয়েছি, বাকি বেলা চলেছে চিড়া-মুড়ি খেয়ে। নাতিদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ঘরে এখনো কোমরপানি। তা কমতে আরও ৫-৭ দিন সময় লাগবে।’
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ জগৎপুর গ্রামের বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক খোকন মিয়া। গত ২০ আগস্টের সর্বনাশী বন্যায় প্লাবিত হয় তাঁর বসতভিটা। পরে তিন ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে ঠাঁই নেন পাশের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে নোয়াখালীর ৮টি উপজেলা ও ৭টি পৌরসভায়। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে প্রায় ২২ লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৮টি উপজেলার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকা। জীবন বাঁচাতে জেলার প্রায় ১৩৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। বেশির ভাগ মানুষ নিজের বসত
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভয়াবহ বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা এক নারী পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গত বুধবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিদলাই আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে রোমা আক্তার নামের ওই নারীর প্রসববেদনা শুরু হলে তাঁকে শিদলাই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে নেওয়া হয়। স
হবিগঞ্জে বন্যা কবলিত ছয় উপজেলার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি সংকট। ঘর-বাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় বিকল হয়ে গেছে গভীর ও অগভীর নলকূপগুলো।
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা সিবলা খাতুন। কিছুদিন আগেই তাঁর বয়স গড়িয়েছে ৯০ বছরে। জেলার আটটি উপজেলার মতো কবিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে স্বামী-সন্তানসহ পরিবারের ১০ জন সদস্যকে নিয়ে জীবনে প্রথমবারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুকসহ সমমনা বিভিন্ন পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের বিভিন্ন ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এসব কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন জড়িত।
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী আছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ৭ হাজার ১৪৫ জন মানুষ।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজার একটি স্কুলে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। মধ্য গাজার নুসেইরাত আশ্রয়কেন্দ্রে হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল। হামলায় আরো কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার ২৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় নদীতীরবর্তী ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে জেলায় ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। ফলে উপজেলার ৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। আজ বুধবার পর্যন্ত টানা ৯ দিন ধরে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্রে এখনো প্রায় দুই হাজার মানুষ রয়েছেন।
সিলেট ও নেত্রকোনায় নামছে বন্যার পানি। আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরছে অনেকে। কেউ আবার আছে ফেরার অপেক্ষায়। তবে বন্যাকবলিত ওই সব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট।
সুনামগঞ্জে হাওর অঞ্চল ও পৌর শহরের এলাকাগুলোতে নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে আজ বুধবার ভোর থেকে একটানা বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় আতঙ্কে আছে মানুষ। এসব এলাকার ৫ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হওয়ার আশঙ্কায় আছে। জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন।
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ডুবি আলিম মাদ্রাসা ভবনে ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় আশ্রয় নেওয়া অন্তত ৫০টি পরিবারকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সহকারী মৌলভি সাইদুর রহমান সাইদের বিরুদ্ধে। তিনি বন্যার পরদিন সকালে এসে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজনকে তাড়িয়ে দেন এবং আশ্রয় নেওয়া লোকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অনেকে হাত-পা ধ
ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারাই এখন বিপর্যস্ত। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গোয়াইনঘাটের ৭০ ভাগের বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাটে পানি উঠে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার। অনেকের ঘরের ভেতরে কোমরপানি। মালামালও নষ্ট হচ্ছে। ঘরে