বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়ে সিরিয়ার কার্যত নতুন নেতা এখন আহমেদ আল-শারআ (আবু মোহাম্মদ আল–জোলানি নামেও পরিচিত)। তিনি দাবি করেছেন, সিরিয়ায় আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে বেশ সক্রিয় অবস্থানে আছে ইসরায়েল। হামাস—হিজবুল্লাহ নির্মূলের লক্ষ্যে এবং সিরিয়ায় দখলে সময় দিচ্ছে দেশটি। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরপর পুরোপুরি ইরানের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবেন নেতানিয়াহু। আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সাল হবে ইসরায়েলের প্
ইরানের তেলশিল্পের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব বৃদ্ধি করেছে দেশটির বিপ্লবী গার্ড (আইআরজিসি)। বর্তমানে তারা ইরানের তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করছে। যা ইরানের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার উৎস এবং মধ্যপ্রাচ্যে সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর তহবিল জোগান দিচ্ছে।
দেশত্যাগের ঘটনা পরিকল্পিত ছিল না বলে দাবি করেছেন রাশিয়ায় পাড়ি জমানো সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। ৮ ডিসেম্বর আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর আজ সোমবার মস্কো থেকে দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে এই দাবি করেছেন তিনি।
২০১০ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ইরানের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর শহর চাবাহারে শিয়া মুসলিমদের একটি মসজিদের সামনে আশুরার অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। বিস্ফোরণে ৩৯ জন নিহত এবং ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়। তখন এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল জুন্দালাহ নামের এক সন্ত্রাসী সংগঠন। ইরানের অভিযোগ, এ হামলায় জড়িত ছিল
আসাদের শাসনামলে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ সিরিয়া হয়ে ইরান থেকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করত। এই পথে ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে লেবাননে পৌঁছাত। কিন্তু ৬ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা ইরাক সীমান্তের দখল নেয় এবং দুই দিন পর রাজধানী দামেস্ক দখল করে।
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ব্যাপক আক্রমণের মুখে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে পতন হয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের। এই আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। গোষ্ঠীটির সামরিক শাখার প্রধান কমান্ডার আবু হাসান আল-হামুই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম
ইরানের নতুন ড্রোনবাহী রণতরী বা ড্রোন ক্যারিয়ার ‘শহীদ বাঘেরি’ সম্প্রতি পারস্য উপসাগরে দেখা গেছে। ম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে এটি দেখা গেছে। ছবিটি তোলার সময় ইরানের নৌবাহিনীর ঘাঁটি বন্দর আব্বাসের নৌবন্দরের কাছে দেখা যায় এটিকে। এই জাহাজটি আগে কন্টেইনার জাহাজ থাকলেও সেটিকে পরিবর্তন করে এমনভাবে ন
ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৩০ জন ইহুদি নাগরিককে গ্রেপ্তারের ঘটনা ইসরায়েলে বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, এই ঘটনাটি ইসরায়েলে ইরানের গুপ্তচরবৃত্তির সবচেয়ে বড় প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের বক্তব্য অনুযায়ী— একজন পারমা
‘শালীনতা ও হিজাব সংস্কৃতি’ প্রচারের উদ্দেশ্যে পাস করা এই আইনে বলা হয়েছে, যারা নগ্নতা, অশালীনতা বা অশ্লীল পোশাকের প্রচার করবেন, তাদের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২,৫০০ ইউরো জরিমানা হতে পারে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান বিশ্বের দেশগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন। বলেছেন, সিরিয়াকে নিয়ে বিদেশিদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজ বুধবার তিনি এ কথা
ইসরায়েল গোলান মালভূমির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই দখল করেছে এবং জাতিসংঘ নির্ধারিত ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বাফার জোনেও এখন ঢুকে পড়েছে। বাকি অংশটি সিরিয়া নিয়ন্ত্রণে। সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীও গোলান হাইটস থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) ভেতরে কাতানা অঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাংকদের অগ্রসর হতে দেখেছে। তবে ইসরায়েলের সামরিক সূত
আহমদ আল-শারা ওরফে আল-জোলানি বলেন, ‘আমার ভাইয়েরা, এই মহান বিজয়ের পর পুরো অঞ্চলে এক নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন, নতুন সিরিয়া গড়তে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যা মুসলিম জাতির জন্য এক আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবে। এ সময় তিনি সবাইকে এই বিজয়ের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে...
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসানের পর বিদ্রোহীরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এই সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। গতকাল রোববার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদে ভাষণ দেন তিনি...
ইরানে বিবাহবিচ্ছেদের হার রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ইরানে ৪ লাখ ৮১ হাজার বিবাহ ও ২ লাখ ২ হাজার বিচ্ছেদ নথিভুক্ত হয়েছে। এই হিসেবে দেশটির প্রতি ২.৪টি বিবাহের বিপরীতে অন্তত একটি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ করা সাবেক রুশ সেনা ইগর গিরকিন বলেছেন, ‘সিরিয়ায় আমাদের অবস্থান সবসময়ই সরবরাহ ও শক্তিবৃদ্ধির দিক থেকে অরক্ষিত ছিল। এখন শত্রুরা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখন আমরা ইউক্রেন ফ্রন্টে ব্যস্ত। আমরা অতিরিক্ত চাপে আছি। সিরিয়ায় আমাদের মিত্রের পরাজয় আমাদেরও পর
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনে অবদান রাখা গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সবার আগে আসবে হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নাম। আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি এই গোষ্ঠীটির প্রধান। সিরিয়ায় আল কায়েদার শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরে এইচটিএস আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য আরও মধ্যপন্থী অবস্থান..