অনলাইন ডেস্ক
প্রেমিকা বা অপরিচিত কোনো নারীর সঙ্গে রেস্টুরেন্ট বা কফিশপে দেখা করতে গেলে খাবারের বিল ছেলেদের দেওয়ারই চল। এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার শেষ নেই! এবার এমন এক নারীর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যিনি দুই বছরে প্রতি সপ্তাহে ছয়দিন করে ডেটে গিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার বাঁচিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৭ লাখ ১২ হাজার টাকা।
ডেটে যাওয়ার কারণে তাঁকে বাড়ি ফিরে আর রান্না করতে হয়নি, আসেনি কোনো মুদি দোকানের খরচাও—আর তাতেই তিনি এই টাকা বাঁচিয়েছেন বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ওই নারীর নাম ভিভিয়ান তু। তিনি ওয়াল স্ট্রিটের সাবেক ব্যবসায়ী। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে ‘ইউররিচবিএফএফ’ নামে তাঁর অর্থনীতি বিষয়ক টিপস এবং কৌশল শেখানোর আইডি রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি ওই আইডি থেকে প্রথম বিতর্কিত একটি অর্থনীতি বিষয়ক হ্যাক নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেন।
তিনি নিজের টাকা বাঁচানোর গল্পের ভিডিও পোস্টের ক্যাপশনে ঠাট্টা করে লিখেছেন, ‘যখন তারা (পুরুষ) বলে, নারীরা বিল দেয় না, কিন্তু আপনি মুদি দোকানের খরচা এড়াতে সপ্তাহে ছয়দিন ডেট করেন।’ ভিডিওতে তাঁকে সৈকতে সানগ্লাস পরে তুলে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তিনি পোস্টটির ক্যাপশনে আরও লিখেছেন, ‘২০১৬–১৮ সালের মধ্যে আমি একবারও মুদি দোকানে যাইনি, কিছু কিনিওনি। এতে সপ্তাহে সম্ভবত আমার প্রায় ১৫০ ডলার সঞ্চয় হয়েছে।’
ভিডিওটি টিকটকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ওই অর্থ বিশেষজ্ঞ নারী ‘এলিট ডেইলি’ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওর ক্যাপশনটি অতিরঞ্জিত ছিল এবং তিনি শুধু খাওয়ার জন্য ডেটে যেতেন না!
তবে ভিভিয়ান স্বীকার করেছেন যে তিনি প্রেমের বাহানায় ফ্রিতে খাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। তিনি এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তখন আমি ইক্যুইটি ট্রেডার হিসেবে কাজ করছিলাম এবং ৯৫ হাজার ডলার উপার্জন করছিলাম। কিন্তু আমার খরচ অনেক বেশি ছিল। আমি ম্যানহাটনে থাকতাম এবং হেলস কিচেনে আমার অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দিতাম। সেখানে মুদি দোকান পাওয়া এত সহজ ছিল না। আমার অ্যাপার্টমেন্টের কাছের বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি ছিল, তাই আমি সেখানে কেনাকাটা করতে কখনোই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনি।’
ভিভিয়ান আরও বলেন, ‘পরিবর্তে আমি কোমর দুলিয়ে সাবওয়ে-১৫ ব্লকের মুদি দোকানি জো–এর কাছে যেতাম এবং যা খুশি নিয়ে আসতাম। এটা অত সহজ ছিল না, আমি কী কিনব সেটা নিয়ে অনেক ভাবতে হতো।’
ডেটে গিয়ে ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে পাওয়ার ধারণাকে সমর্থন করেন জানিয়ে ভিভিয়ান বলেন, ‘তবে, আমি নিজের টাকা দিয়ে মুদি দোকান থেকে খাবার কেনার (আবার রান্নাও করতে হবে) চেয়ে প্রেমের বাহানায় একটি জাঁকজমকপূর্ণ রেস্তোরাঁয় (সম্ভবত) বিনা মূল্যে খেতে যেতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি!’
শেষ পর্যন্ত তিনি বলেছেন, এই কৌশল তাঁর হাজার হাজার ডলার বাঁচিয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এহেন কর্মের পরিণতি অনেক খারাপ হতে পারে। তাঁর সঙ্গেও এমনটি ঘটেছিল, খুবই অপছন্দের মানুষের সঙ্গে তাঁকে বেশ কয়েকবার ডেটে যেতে হয়েছিল।
ভিভিয়ান বলেন, তিনি মনের মানুষ খুঁজতেই ডেটে যাওয়া শুরু করেন। তবে কিছুদিন পর দেখতে পান তাঁর খরচ অনেক কমে গেছে, তখন খাওয়ার লোভে ডেটে যাওয়ার বদঅভ্যাস তাঁকে পেয়ে বসে।
ভিভিয়ান বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ডেটে গিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ থেকে থেকে ১০০ ডলার সঞ্চয় হচ্ছিল। এসব টাকা আমি অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় করতে থাকি। যেমন— সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং ভ্যানিটি ব্যাগ কেনা।’
সব শেষে টেক কোম্পানির পরামর্শক ভিভিয়ান বলেছেন, আপনার অর্থ সঞ্চয় করার আরও অনেক কৌশলগত জানা আছে। আর রোম্যান্সকে ‘অর্থ সঞ্চয়ের কৌশল’ হিসেবে ব্যবহার আপনার চরম ক্ষতি ডেকে আনতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেছন।
প্রেমিকা বা অপরিচিত কোনো নারীর সঙ্গে রেস্টুরেন্ট বা কফিশপে দেখা করতে গেলে খাবারের বিল ছেলেদের দেওয়ারই চল। এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার শেষ নেই! এবার এমন এক নারীর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যিনি দুই বছরে প্রতি সপ্তাহে ছয়দিন করে ডেটে গিয়ে ১৫ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার বাঁচিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৭ লাখ ১২ হাজার টাকা।
ডেটে যাওয়ার কারণে তাঁকে বাড়ি ফিরে আর রান্না করতে হয়নি, আসেনি কোনো মুদি দোকানের খরচাও—আর তাতেই তিনি এই টাকা বাঁচিয়েছেন বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ওই নারীর নাম ভিভিয়ান তু। তিনি ওয়াল স্ট্রিটের সাবেক ব্যবসায়ী। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে ‘ইউররিচবিএফএফ’ নামে তাঁর অর্থনীতি বিষয়ক টিপস এবং কৌশল শেখানোর আইডি রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি ওই আইডি থেকে প্রথম বিতর্কিত একটি অর্থনীতি বিষয়ক হ্যাক নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেন।
তিনি নিজের টাকা বাঁচানোর গল্পের ভিডিও পোস্টের ক্যাপশনে ঠাট্টা করে লিখেছেন, ‘যখন তারা (পুরুষ) বলে, নারীরা বিল দেয় না, কিন্তু আপনি মুদি দোকানের খরচা এড়াতে সপ্তাহে ছয়দিন ডেট করেন।’ ভিডিওতে তাঁকে সৈকতে সানগ্লাস পরে তুলে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তিনি পোস্টটির ক্যাপশনে আরও লিখেছেন, ‘২০১৬–১৮ সালের মধ্যে আমি একবারও মুদি দোকানে যাইনি, কিছু কিনিওনি। এতে সপ্তাহে সম্ভবত আমার প্রায় ১৫০ ডলার সঞ্চয় হয়েছে।’
ভিডিওটি টিকটকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ওই অর্থ বিশেষজ্ঞ নারী ‘এলিট ডেইলি’ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওর ক্যাপশনটি অতিরঞ্জিত ছিল এবং তিনি শুধু খাওয়ার জন্য ডেটে যেতেন না!
তবে ভিভিয়ান স্বীকার করেছেন যে তিনি প্রেমের বাহানায় ফ্রিতে খাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। তিনি এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘তখন আমি ইক্যুইটি ট্রেডার হিসেবে কাজ করছিলাম এবং ৯৫ হাজার ডলার উপার্জন করছিলাম। কিন্তু আমার খরচ অনেক বেশি ছিল। আমি ম্যানহাটনে থাকতাম এবং হেলস কিচেনে আমার অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দিতাম। সেখানে মুদি দোকান পাওয়া এত সহজ ছিল না। আমার অ্যাপার্টমেন্টের কাছের বাজারে সবকিছুর দাম অনেক বেশি ছিল, তাই আমি সেখানে কেনাকাটা করতে কখনোই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনি।’
ভিভিয়ান আরও বলেন, ‘পরিবর্তে আমি কোমর দুলিয়ে সাবওয়ে-১৫ ব্লকের মুদি দোকানি জো–এর কাছে যেতাম এবং যা খুশি নিয়ে আসতাম। এটা অত সহজ ছিল না, আমি কী কিনব সেটা নিয়ে অনেক ভাবতে হতো।’
ডেটে গিয়ে ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে পাওয়ার ধারণাকে সমর্থন করেন জানিয়ে ভিভিয়ান বলেন, ‘তবে, আমি নিজের টাকা দিয়ে মুদি দোকান থেকে খাবার কেনার (আবার রান্নাও করতে হবে) চেয়ে প্রেমের বাহানায় একটি জাঁকজমকপূর্ণ রেস্তোরাঁয় (সম্ভবত) বিনা মূল্যে খেতে যেতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি!’
শেষ পর্যন্ত তিনি বলেছেন, এই কৌশল তাঁর হাজার হাজার ডলার বাঁচিয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এহেন কর্মের পরিণতি অনেক খারাপ হতে পারে। তাঁর সঙ্গেও এমনটি ঘটেছিল, খুবই অপছন্দের মানুষের সঙ্গে তাঁকে বেশ কয়েকবার ডেটে যেতে হয়েছিল।
ভিভিয়ান বলেন, তিনি মনের মানুষ খুঁজতেই ডেটে যাওয়া শুরু করেন। তবে কিছুদিন পর দেখতে পান তাঁর খরচ অনেক কমে গেছে, তখন খাওয়ার লোভে ডেটে যাওয়ার বদঅভ্যাস তাঁকে পেয়ে বসে।
ভিভিয়ান বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ডেটে গিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ থেকে থেকে ১০০ ডলার সঞ্চয় হচ্ছিল। এসব টাকা আমি অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় করতে থাকি। যেমন— সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং ভ্যানিটি ব্যাগ কেনা।’
সব শেষে টেক কোম্পানির পরামর্শক ভিভিয়ান বলেছেন, আপনার অর্থ সঞ্চয় করার আরও অনেক কৌশলগত জানা আছে। আর রোম্যান্সকে ‘অর্থ সঞ্চয়ের কৌশল’ হিসেবে ব্যবহার আপনার চরম ক্ষতি ডেকে আনতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেছন।
উড়োজাহাজ ভ্রমণ অনেক মানুষেরই পছন্দ। তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো কুমির কিংবা তার জাত ভাই অ্যালিগেটরদের এ ধরনের শখ হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজগুলোর মাঝখান দিয়ে হেঁটে বেড়ানো অ্যালিগেটরটিকে যারা দেখেছেন তাঁদের এই সন্দেহ মাথায় আসাটা খুব অস্বাভাবিক কিছু ছিল না।
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন নাগরিক জেরি হিকস গত মঙ্গলবার যখন দরকারি কিছু জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন তখন কল্পনাও করেননি তাঁর জীবনটা বদলে যেতে চলেছে। দোকানটির পার্কিংয়ে ২০ ডলারের একটি নোট পড়ে থাকতে দেখেন এ সময়। ওটা তুলে নিয়ে খরচ করলেন লটারির টিকিট কিনতে। তাতেই জিতলেন দশ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
২ দিন আগে২০১৯ সালে দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা এক লাখ ২০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। তখন এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। শিল্পকর্মটি দিয়ে আসলে কী বোঝানো হয়েছে সেটি নিয়েও শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
৩ দিন আগেপৃথিবীতে এমন কিছু প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যেগুলো দেখলে ওই সময় মানব নির্মিত কোনো স্থাপনা বলে বিশ্বাস করা কঠিন! কারণ, এসব স্থাপনার নির্মাণশৈলী একই সঙ্গে জটিল ও বিশাল।
৮ দিন আগে