Ajker Patrika

মিনিকেট, নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিনিকেট, নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী

বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল নামে চাল বিক্রি হলেও এই নামে কোনো ধানের অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলছেন, মেশিনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতের চাল সরু করে এসব নামে বিক্রি করা হয়।

খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানান, ব্যবসায়ীরা মিনিকেট ব্র্যান্ড নামে চাল বিক্রি করতে পারবেন। তবে কোন জাতের চাল ওই নামে বিক্রি করা হচ্ছে তা বস্তায় লিখে দিতে হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় এমন নিয়ম করতে যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড নিয়ে আজ সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল নিয়ে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী ও সচিব।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে ঢেঁকিছাটা চাল খেতাম, সেখানে চালের লাল অংশটা পাওয়া যেত। এখন অনেকে সেই চাল খুঁজে বেড়াচ্ছেন। লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস হলে মিলার ও ভোক্তার খরচ বাঁচে। চকচকে চাল করতে তিনটি ছাঁট দেওয়ার পর পলিশ করতে হয়। ফলে চালে আর পুষ্টি থাকে না। অরজিনালি মিনিকেট ধান নেই। সরু চাল হলো জিরাশাইল, শম্পাকাটারি। নাশিরশাইল বলেও কোনো ধান নেই।’

বার বার পলিশ করার ফলে কোন ধান থেকে চাল তৈরি করা হয়েছে তার আর চেনা যায় না জানিয়ে খাদ্যসচিব বলেন, আমরা চিন্তা করছি ধানের নাম যদি তারা বস্তায় লিখে দেয় তাহলে বোঝা যাবে সেটি কোন ধানের চাল। 

‘মিনিকেট চালে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই, পুষ্টি উপাদান চলে যাচ্ছে। কারণ যেখানে ধানের ৮ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করা যায় সেখানে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছাঁটাই করা হচ্ছে। ছাঁটাই নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত