বাপ্পী শাহরিয়ার (চকরিয়া) কক্সবাজার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের বন্যার পানি কমে গেছে। এখনো ১২টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, গোখাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। খেত তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য, কৃষি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম সড়কের (মিনি বাজার রোড) তিন কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রপার কাকারায় ১০০ মিটার সড়ক নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। শান্তিবাজার-ইয়াংছা সড়কের অসংখ্য জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, বমুবিলছড়ি, চিরিংগা, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় ক্ষতবিক্ষত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের চিত্র ভেসে উঠছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
কাকারা মিনিবাজারের বাসিন্দা আব্দু রাজ্জাক বলেন, ‘চার দিন ধরে বন্যার পানিতে বন্দিজীবন পার করেছি। এখন পানি নামছে, দুর্ভোগ দ্বিগুণ হচ্ছে। মিনি বাজার সড়কটির অসংখ্য স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক অংশে দেবেও গেছে। প্রতিবছর বন্যার পানিতে পুরো চকরিয়ার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। আমরা চাই দীর্ঘমেয়াদি বেড়িবাঁধ।’
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও মানুষ চুলায় আগুন জালাতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। জরুরিভাবে সড়ক সংস্কারের দাবি করছি।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলার ৫ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬৪২টি চিংড়িঘের ও ৯৪২ হেক্টর জমিতে অবস্থিত ৫ হাজার ৬৮২টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ২২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ৬৬২ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির প্রভাবে বন্যার পানিতে ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যার্ত মানুষদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায় এলজিইডির আওতাধীন ৪২১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাকারা, ডুলাহাজারা, বমুবিলছড়ি, হারবাং ও পূর্ব বড় ভেওলায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে ধসে গেছে।’
কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা মুষলধারে বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের মধ্যে ছয় ইউনিয়নের বন্যার পানি কমে গেছে। এখনো ১২টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
পানি নেমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, গোখাদ্য ও শৌচাগারের অভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। খেত তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। এখনো প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি ত্রাণ তৎপরতা দেখা যায়নি।
উপজেলা মৎস্য, কৃষি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলায় চিংড়িঘেরে বন্যার পানি প্রবেশ করে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধসে গেছে। ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম সড়কের (মিনি বাজার রোড) তিন কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রপার কাকারায় ১০০ মিটার সড়ক নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করছে। শান্তিবাজার-ইয়াংছা সড়কের অসংখ্য জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, বমুবিলছড়ি, চিরিংগা, ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি সরে যাওয়ায় ক্ষতবিক্ষত আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কের চিত্র ভেসে উঠছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
কাকারা মিনিবাজারের বাসিন্দা আব্দু রাজ্জাক বলেন, ‘চার দিন ধরে বন্যার পানিতে বন্দিজীবন পার করেছি। এখন পানি নামছে, দুর্ভোগ দ্বিগুণ হচ্ছে। মিনি বাজার সড়কটির অসংখ্য স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অনেক অংশে দেবেও গেছে। প্রতিবছর বন্যার পানিতে পুরো চকরিয়ার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ে। আমরা চাই দীর্ঘমেয়াদি বেড়িবাঁধ।’
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও মানুষ চুলায় আগুন জালাতে পারছে না। বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। জরুরিভাবে সড়ক সংস্কারের দাবি করছি।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম বলেন, ‘বন্যার পানিতে উপজেলার ৫ হাজার ৪৬২ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৬৪২টি চিংড়িঘের ও ৯৪২ হেক্টর জমিতে অবস্থিত ৫ হাজার ৬৮২টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ২২৪ মেট্রিক টন মাছ ও ৬৬২ মেট্রিক টন চিংড়ি ভেসে গেছে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, ‘চলতি আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির প্রভাবে বন্যার পানিতে ৯ হাজার ৫৪৭ হেক্টর জমির রোপণ করা চারা, বীজতলা ও শাকসবজির খেত তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার বলেন, ‘চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যার্ত মানুষদের জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চকরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায় এলজিইডির আওতাধীন ৪২১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বন্যায় প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাকারা, ডুলাহাজারা, বমুবিলছড়ি, হারবাং ও পূর্ব বড় ভেওলায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে ধসে গেছে।’
একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-ইউআইইউ থেকে ভিসি ও ১১জন বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগের পর, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেভোরের শান্ত শহর তখনো পুরো জেগে ওঠেনি। ঠিক সেই সময়, রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের সামনের ফুটপাতে একা দাঁড়িয়ে ছিলেন কলেজের এক প্রভাষক ফারহানা আক্তার জাহান। হাতে ট্রলি ব্যাগ, হৃদয়ে ছিল গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়না। হঠাৎ করেই ছুটে এল একটি সাদা প্রাইভেটকার। মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে গেল দৃশ্যপট
৪০ মিনিট আগেপটুয়াখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে ট্রমায় ভেঙে পড়া লামিয়া শেষমেশ আত্মহত্যা করল ঢাকার আদাবরে। সহপাঠীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সামাজিক চাপ ও কটূক্তির ভয়ে নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছিল সে। মায়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও নতুন জীবন শুরু করা হয়নি লামিয়ার; তার মৃত্যু ঘিরে নতুন করে ক্ষোভ ও বিচার দাবি উঠে
১ ঘণ্টা আগেবেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে উপাচার্য ও ১১ জন বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগের পর তাঁদের মধ্য থেকে ১০ জন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ প্রত্যাহার দাবি করেছেন আন্দোলনরত একদল শিক্ষার্থী। আজ রোববার রাতে আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে