বিশ্বের অন্যতম সেরা মেধাবী ব্যক্তিত্ব ধরা হয় পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনকে। তাঁর আবিষ্কৃত আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আধুনিক পদার্থবিদ্যার অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। এ ছাড়া, পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর আরও অনেক অবদান আছে। ফলে, তাঁর মস্তিষ্কের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে চুরি?
হ্যাঁ! সম্ভবত এমনটাই ঘটেছিল। অন্তত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই বলা হয়েছে। আইনস্টাইনের মগজ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে তাঁর মৃত্যুর পর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগেই।
আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনের একটি হাসপাতালে মারা যান। সে সময় যে চিকিৎসক—থমাস হার্ভে—আইনস্টাইনের চিকিৎসা করেছিলেন তিনিই তাঁর মস্তিষ্ক চুরি করেছিলেন। কেবল তাই নয়, হার্ভে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ককে ২৪০ টুকরায় ভাগও করেছিলেন। তিনি মূলত আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের বিপুলসংখ্যক ছবি তুলেছিলেন, এর পরিমাপ ও নানামাত্রিক গবেষণা করেছিলেন।
যাই হোক, আইনস্টাইনের মগজ চুরি হওয়ার ২৩ বছর পর সেটি খুঁজে পাওয়া যায়। স্টিভেন লেভি নামে এক সাংবাদিক আইনস্টাইনের মগজ নিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি নানা ধাপ পেরিয়ে দেখতে পান, আইনস্টাইনের মৃত্যুর পরপরই প্রিন্সটন হাসপাতাল থেকে চলে যান হার্ভে। পরে অবশ্য হার্ভেকে কানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিতায় খুঁজে পান লেভি।
এ বিষয়ে লেভি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি তাঁকে (হার্ভে) বলেছিলাম যে, আমি আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক নিয়ে একটি স্টোরি করছি। কিন্তু এটি শুনে প্রথমেই তিনি যা বলেছিলেন, তা হলো—আমি এই ব্যাপারে আপনাকে কোনো সহায়তা করতে পারব না। তিনি কোনোভাবেই কথা বলতে রাজি ছিলেন না।’
লেভি জানান, পরে তিনি যখন হার্ভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার আগে বিভিন্ন সূত্র থেকে লেভি জানতে পেরেছিলেন যে, হার্ভের কাছেই আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক রক্ষিত আছে। দেখা করে লেভি জানতে চান, তিনি মস্তিষ্ক কোথায় রেখেছেন? সে সময় হার্ভে লেভিকে একটি বিয়ার কুলার বাক্স দেখিয়ে দেন। সেখানেই বিভিন্ন কাচের বয়ামে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ রক্ষিত ছিল। সে সময় হার্ভে লেভিকে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ছবিও দেখান।
পরে বয়ামে রক্ষিত মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দিয়ে নিবন্ধ লিখেছিলেন লেভি। সেটি প্রকাশিত হয়েছিল, নিউজার্সি নামে একটি মাসিক পত্রিকায়। সেখানে লেভি লিখেছেন, কোনোটির আকৃতি শঙ্খের খোলসের মতো, কোনোটি আবার মুষ্টি আকৃতির। কোনোটির রং পোড়া মাটির মতো, কোনোটি ধূসর।
যাই হোক, ১৯৮৫ সালে স্টিফেন লেভি বিষয়টি সামনে আনার পর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান থমাস হার্ভে। সে বছরই তিনি আইনস্টাইনের মগজ পরীক্ষা করে দেখে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কে নিউরন ও গ্লিয়াল নামে দুই ধরনের কোষের অনুপাত সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি। মূলত, গ্লিয়াল কোষ মানুষের নিউরনকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখে এবং অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক বুদ্ধিমত্তার স্নায়বিক ভিত্তিকে উন্মোচন করতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে এমন আরও গবেষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিউইয়র্কের পেস ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক টেরেন্স হাইনসসহ অনেক বিশেষজ্ঞই এ ধরনের গবেষণাকে বাতিল করে দিয়েছেন, এগুলোকে বাজে কথা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিশ্বের অন্যতম সেরা মেধাবী ব্যক্তিত্ব ধরা হয় পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইনকে। তাঁর আবিষ্কৃত আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আধুনিক পদার্থবিদ্যার অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। এ ছাড়া, পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর আরও অনেক অবদান আছে। ফলে, তাঁর মস্তিষ্কের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে চুরি?
হ্যাঁ! সম্ভবত এমনটাই ঘটেছিল। অন্তত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই বলা হয়েছে। আইনস্টাইনের মগজ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে তাঁর মৃত্যুর পর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আগেই।
আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনের একটি হাসপাতালে মারা যান। সে সময় যে চিকিৎসক—থমাস হার্ভে—আইনস্টাইনের চিকিৎসা করেছিলেন তিনিই তাঁর মস্তিষ্ক চুরি করেছিলেন। কেবল তাই নয়, হার্ভে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ককে ২৪০ টুকরায় ভাগও করেছিলেন। তিনি মূলত আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের বিপুলসংখ্যক ছবি তুলেছিলেন, এর পরিমাপ ও নানামাত্রিক গবেষণা করেছিলেন।
যাই হোক, আইনস্টাইনের মগজ চুরি হওয়ার ২৩ বছর পর সেটি খুঁজে পাওয়া যায়। স্টিভেন লেভি নামে এক সাংবাদিক আইনস্টাইনের মগজ নিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি নানা ধাপ পেরিয়ে দেখতে পান, আইনস্টাইনের মৃত্যুর পরপরই প্রিন্সটন হাসপাতাল থেকে চলে যান হার্ভে। পরে অবশ্য হার্ভেকে কানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিতায় খুঁজে পান লেভি।
এ বিষয়ে লেভি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি তাঁকে (হার্ভে) বলেছিলাম যে, আমি আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক নিয়ে একটি স্টোরি করছি। কিন্তু এটি শুনে প্রথমেই তিনি যা বলেছিলেন, তা হলো—আমি এই ব্যাপারে আপনাকে কোনো সহায়তা করতে পারব না। তিনি কোনোভাবেই কথা বলতে রাজি ছিলেন না।’
লেভি জানান, পরে তিনি যখন হার্ভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার আগে বিভিন্ন সূত্র থেকে লেভি জানতে পেরেছিলেন যে, হার্ভের কাছেই আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক রক্ষিত আছে। দেখা করে লেভি জানতে চান, তিনি মস্তিষ্ক কোথায় রেখেছেন? সে সময় হার্ভে লেভিকে একটি বিয়ার কুলার বাক্স দেখিয়ে দেন। সেখানেই বিভিন্ন কাচের বয়ামে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ রক্ষিত ছিল। সে সময় হার্ভে লেভিকে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ছবিও দেখান।
পরে বয়ামে রক্ষিত মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দিয়ে নিবন্ধ লিখেছিলেন লেভি। সেটি প্রকাশিত হয়েছিল, নিউজার্সি নামে একটি মাসিক পত্রিকায়। সেখানে লেভি লিখেছেন, কোনোটির আকৃতি শঙ্খের খোলসের মতো, কোনোটি আবার মুষ্টি আকৃতির। কোনোটির রং পোড়া মাটির মতো, কোনোটি ধূসর।
যাই হোক, ১৯৮৫ সালে স্টিফেন লেভি বিষয়টি সামনে আনার পর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান থমাস হার্ভে। সে বছরই তিনি আইনস্টাইনের মগজ পরীক্ষা করে দেখে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কে নিউরন ও গ্লিয়াল নামে দুই ধরনের কোষের অনুপাত সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি। মূলত, গ্লিয়াল কোষ মানুষের নিউরনকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখে এবং অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক বুদ্ধিমত্তার স্নায়বিক ভিত্তিকে উন্মোচন করতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে এমন আরও গবেষণা করা হয়েছে। কিন্তু নিউইয়র্কের পেস ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক টেরেন্স হাইনসসহ অনেক বিশেষজ্ঞই এ ধরনের গবেষণাকে বাতিল করে দিয়েছেন, এগুলোকে বাজে কথা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
৫ দিন আগেআজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
৭ দিন আগেসাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
১১ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
১৩ দিন আগে