জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
মুদ্রানীতিতে সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই যখন প্রায় ব্যর্থতার পথে, তখন আরেকটি মুদ্রানীতি দোরগোড়ায়। আগামী মাসের মাঝামাঝি ঘোষণা করা হতে পারে নতুন মুদ্রানীতি, যার লক্ষ্য থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার নতুন ঘোষণা আসতে পারে এতে। বাতিল হতে পারে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্বিগ্ন। এর কারণ হিসেবে ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দেওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। তাই ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি এবার বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ব্যাংকগুলোতে আমদানি বিল পরিশোধ নিয়ে আগের মতো ঝামেলার অভিযোগ নেই। কার্ব মার্কেটেও (খোলা বাজার) ব্যাংক রেটের কাছাকাছি ডলার পাওয়া যাচ্ছে। আবার আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ যোগ হচ্ছে। রেমিট্যান্সও আসছে ভালো। জুন মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
এমনকি সোয়াপের মাধ্যমেও ডলার সংগ্রহ করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্বিকভাবে ডলার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক বলা যায়। এই অবস্থায় গভর্নর ডলারের রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছেন।
জানা গেছে, গভর্নর বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। মনিটরিং পলিসির এক সদস্য রোববার রাতে ৪ দিনের সফরে চীনে গেছেন। এ জন্য আগামী ৭ জুলাই থেকে মুদ্রানীতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হবে। ১১ তারিখে মুদ্রানীতিসংক্রান্ত কমিটির চূড়ান্ত বৈঠক হবে। সেখান থেকে গভর্নরের কাছে একটি তারিখ চাইবে কমিটি। তবে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ১৪ বা ১৫ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। তবে সেই তারিখ ১৭ জুলাই পার করার সুযোগ নেই।
নতুন মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। কারণ, জিনিসপত্রের লাগামহীন দামের চাপে টানা ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে। গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার মূল লক্ষ্য ছিল, এ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশে আনা। সেটি সম্ভব হয়নি; বরং উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতিই প্রণয়ন করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ডলারের দাম এবং সুদের হার নির্ধারণে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে মধ্য জুলাইতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।’
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ডলারের দর স্বাভাবিক করতে নতুন মুদ্রানীতিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়—এখন মূলত এটি নিয়েই কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ কম। ব্যাংকঋণের সুদহার ইতিমধ্যে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তারপরও নীতি সুদের হার বাড়িয়ে টাকাকে আরও দামি করে তোলা হতে পারে। এতে ঋণের সুদের হার আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক কাঠামোতে মুদ্রানীতির সংখ্যাগত কিছু পরিবর্তন-পরিমার্জন করা হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনৈতিক অন্য সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে সুশাসন ও সংস্কার লাগবে; বিশেষ করে ব্যাংক খাতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর সুপারভিশন দরকার। করপোরেট সুশাসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা না থাকলে মুদ্রানীতি প্রণয়ন কিংবা ঘোষণা দিয়ে কোনো কাজ হবে না।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসার খরচ বাড়ছে। আগামীতে নতুন করে আর যেন সুদহার না বাড়ানো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর ডলারের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরছে। ডলারের দর কমে এলে বাজার স্বাভাবিক হবে আশা করা যায়।
মুদ্রানীতিতে সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই যখন প্রায় ব্যর্থতার পথে, তখন আরেকটি মুদ্রানীতি দোরগোড়ায়। আগামী মাসের মাঝামাঝি ঘোষণা করা হতে পারে নতুন মুদ্রানীতি, যার লক্ষ্য থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার নতুন ঘোষণা আসতে পারে এতে। বাতিল হতে পারে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্বিগ্ন। এর কারণ হিসেবে ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দেওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। তাই ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি এবার বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ব্যাংকগুলোতে আমদানি বিল পরিশোধ নিয়ে আগের মতো ঝামেলার অভিযোগ নেই। কার্ব মার্কেটেও (খোলা বাজার) ব্যাংক রেটের কাছাকাছি ডলার পাওয়া যাচ্ছে। আবার আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ যোগ হচ্ছে। রেমিট্যান্সও আসছে ভালো। জুন মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
এমনকি সোয়াপের মাধ্যমেও ডলার সংগ্রহ করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সার্বিকভাবে ডলার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক বলা যায়। এই অবস্থায় গভর্নর ডলারের রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছেন।
জানা গেছে, গভর্নর বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। মনিটরিং পলিসির এক সদস্য রোববার রাতে ৪ দিনের সফরে চীনে গেছেন। এ জন্য আগামী ৭ জুলাই থেকে মুদ্রানীতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হবে। ১১ তারিখে মুদ্রানীতিসংক্রান্ত কমিটির চূড়ান্ত বৈঠক হবে। সেখান থেকে গভর্নরের কাছে একটি তারিখ চাইবে কমিটি। তবে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ১৪ বা ১৫ জুলাই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। তবে সেই তারিখ ১৭ জুলাই পার করার সুযোগ নেই।
নতুন মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। কারণ, জিনিসপত্রের লাগামহীন দামের চাপে টানা ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে। গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার মূল লক্ষ্য ছিল, এ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশে আনা। সেটি সম্ভব হয়নি; বরং উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। আর এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতিই প্রণয়ন করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ডলারের দাম এবং সুদের হার নির্ধারণে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে মধ্য জুলাইতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।’
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ডলারের দর স্বাভাবিক করতে নতুন মুদ্রানীতিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়—এখন মূলত এটি নিয়েই কাজ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ কম। ব্যাংকঋণের সুদহার ইতিমধ্যে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তারপরও নীতি সুদের হার বাড়িয়ে টাকাকে আরও দামি করে তোলা হতে পারে। এতে ঋণের সুদের হার আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক কাঠামোতে মুদ্রানীতির সংখ্যাগত কিছু পরিবর্তন-পরিমার্জন করা হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনৈতিক অন্য সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে সুশাসন ও সংস্কার লাগবে; বিশেষ করে ব্যাংক খাতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যকর সুপারভিশন দরকার। করপোরেট সুশাসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা না থাকলে মুদ্রানীতি প্রণয়ন কিংবা ঘোষণা দিয়ে কোনো কাজ হবে না।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসার খরচ বাড়ছে। আগামীতে নতুন করে আর যেন সুদহার না বাড়ানো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর ডলারের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরছে। ডলারের দর কমে এলে বাজার স্বাভাবিক হবে আশা করা যায়।
মোবাইল ফোনের কয়েকটি ট্যাপেই এখন বিদ্যুৎ বিল দেওয়া যায়, গ্রামে মায়ের হাতে টাকা পৌঁছে যায়, শহরের দোকানে কেনাকাটা করা যায়—সবকিছুই সহজ হয়ে গেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে। নগদ টাকা হাতে রাখার প্রয়োজন কমে আসছে, ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এর ফলে দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা (এসএমই) বলছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যবসায়িক হয়রানি...
১৭ ঘণ্টা আগেজমে উঠেছে বিজিএমইএ নির্বাচন। আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠনের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার উত্তরার কমপ্লেক্সে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুই প্রধান প্যানেল—‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘সম্মিলিত ফোরাম’-এর প্রার্থীরা।
১৭ ঘণ্টা আগেকর্মসংস্থান ব্যাংকের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক ও শাখা ব্যবস্থাপক এবং মাঠকর্মীদের অংশগ্রহণে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বান্দরবানে ‘ব্যবসায়িক উন্নয়ন সভা-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ব্যাংকের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আরও জোর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে