সম্পাদকীয়
আমাদের সংকটের ইটপাথরগুলোই আমাদের ঘিরে দেয়াল রচনা করেছে। পৃথিবীর এই অংশের মানুষ তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক চশমা পরে আমাদের বুঝে ওঠার উপায় খুঁজে পায় না। খুবই স্বাভাবিক যে তারা নিজেদের যে বাটখারায় বিচার করে, সেই একই বাটখারা ব্যবহার করে আমাদের মাপতেও।
সব সংঘাত যে এক নয়, সেটা তারা বিস্মৃত হয়। আমাদের নিজস্ব শিকড়ের সন্ধানের যাত্রা যতটা রক্তাক্ত এবং ঝঞ্ঝাময়, তা ওদের থেকে কিছু কম নয়। কিন্তু আমাদের নিজস্ব নয়, এমনই কোনো নকশায় আমাদের জীবনকে ধরতে চাওয়ার সেই চেষ্টা, আমাদের ক্রমেই আরও নির্জন, আরও অজ্ঞাত এবং পরাধীন করে তোলে; বরং ইউরোপ যদি তাদের নিজের অতীত জেনে আমাদের বুঝতে চেষ্টা করে, তাহলে তা অনেকটাই যথার্থতা পাবে। লন্ডন শহরের প্রথম দেয়ালটি তৈরি হতে সময় লেগেছিল তিন শ বছর। আরও তিন শ বছর চলে যায় শহরের প্রথম বিশপকে বেছে নিতে।
তিপ্পান্ন বছর আগে এই মঞ্চেই টমাস মান তাঁর লেখা উপন্যাস ‘টোনিও ক্রোগার’ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন, সংযমী উত্তর একদিন আবেগময় দক্ষিণের সঙ্গে করমর্দন করবে। এই তত্ত্বে আমার আস্থা ছিল না। কিন্তু এটাও বিশ্বাস করি, ইউরোপে যে সব মানুষের দৃষ্টি স্বচ্ছ, আজও তাদের লাগাতার উদ্যোগ আমাদের সাহায্য করতে সক্ষম। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাদের দেখার চোখ বদলাতে হবে।
শুধু আমাদের স্বপ্নের প্রতি তাদের মমতা থাকলেই যে আমাদের নিঃসঙ্গতা ধুয়ে যাবে, ব্যাপারটা তো এমন নয়। বিশ্বের বণ্টনে সব মানুষের জীবন যাপন করার যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তাকে যদি হাতেকলমে সাহায্য না করা হয়, তাহলে কোনো বদল আসবে না।
নিজস্ব ধ্যানধারণাকে গচ্ছিত রেখে লাতিন আমেরিকা কারও দাবার বোড়ে হয়ে থাকতে চায়নি। এমনটা চাওয়ার কোনো কারণও নেই। স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় তার অভিযান এবং মৌলিক বোধ পশ্চিমের চাওয়া-পাওয়ার ছকে পর্যবসিত—এটা ভাবা মূর্খামি।
কলম্বীয় স্প্যানিশভাষী ঔপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ১৯৮২ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের সংকটের ইটপাথরগুলোই আমাদের ঘিরে দেয়াল রচনা করেছে। পৃথিবীর এই অংশের মানুষ তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক চশমা পরে আমাদের বুঝে ওঠার উপায় খুঁজে পায় না। খুবই স্বাভাবিক যে তারা নিজেদের যে বাটখারায় বিচার করে, সেই একই বাটখারা ব্যবহার করে আমাদের মাপতেও।
সব সংঘাত যে এক নয়, সেটা তারা বিস্মৃত হয়। আমাদের নিজস্ব শিকড়ের সন্ধানের যাত্রা যতটা রক্তাক্ত এবং ঝঞ্ঝাময়, তা ওদের থেকে কিছু কম নয়। কিন্তু আমাদের নিজস্ব নয়, এমনই কোনো নকশায় আমাদের জীবনকে ধরতে চাওয়ার সেই চেষ্টা, আমাদের ক্রমেই আরও নির্জন, আরও অজ্ঞাত এবং পরাধীন করে তোলে; বরং ইউরোপ যদি তাদের নিজের অতীত জেনে আমাদের বুঝতে চেষ্টা করে, তাহলে তা অনেকটাই যথার্থতা পাবে। লন্ডন শহরের প্রথম দেয়ালটি তৈরি হতে সময় লেগেছিল তিন শ বছর। আরও তিন শ বছর চলে যায় শহরের প্রথম বিশপকে বেছে নিতে।
তিপ্পান্ন বছর আগে এই মঞ্চেই টমাস মান তাঁর লেখা উপন্যাস ‘টোনিও ক্রোগার’ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন, সংযমী উত্তর একদিন আবেগময় দক্ষিণের সঙ্গে করমর্দন করবে। এই তত্ত্বে আমার আস্থা ছিল না। কিন্তু এটাও বিশ্বাস করি, ইউরোপে যে সব মানুষের দৃষ্টি স্বচ্ছ, আজও তাদের লাগাতার উদ্যোগ আমাদের সাহায্য করতে সক্ষম। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাদের দেখার চোখ বদলাতে হবে।
শুধু আমাদের স্বপ্নের প্রতি তাদের মমতা থাকলেই যে আমাদের নিঃসঙ্গতা ধুয়ে যাবে, ব্যাপারটা তো এমন নয়। বিশ্বের বণ্টনে সব মানুষের জীবন যাপন করার যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তাকে যদি হাতেকলমে সাহায্য না করা হয়, তাহলে কোনো বদল আসবে না।
নিজস্ব ধ্যানধারণাকে গচ্ছিত রেখে লাতিন আমেরিকা কারও দাবার বোড়ে হয়ে থাকতে চায়নি। এমনটা চাওয়ার কোনো কারণও নেই। স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় তার অভিযান এবং মৌলিক বোধ পশ্চিমের চাওয়া-পাওয়ার ছকে পর্যবসিত—এটা ভাবা মূর্খামি।
কলম্বীয় স্প্যানিশভাষী ঔপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ১৯৮২ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
ভ্যান গঘ হচ্ছেন সেই শিল্পী, যিনি জীবদ্দশায় তাঁর কীর্তির জন্য বাহবা পাননি। তাঁর আঁকা ছবি পেয়েছে শুধু তাচ্ছিল্য। ভ্যান গঘ বড় শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হন মরণের পর। একটা অসুখ ছিল তাঁর। মানসিক অসুখ। সেই অসুখ তাঁকে স্বস্তি দেয়নি।
১১ ঘণ্টা আগেএমএ পড়ার সময় আমি কবিতা লিখেছি, প্রবন্ধ লিখেছি; কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিইনি। আমি দেখেছি কবি হওয়ার জন্যেও সাহিত্যিক রাজনীতি লাগে, বিভিন্ন সংঘে যোগ দিতে হয়, গুরু ধরতে হয়, অনেকের কাছে খুব বিনীত থাকতে হয়, লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে গাঁজাটাজা খেতে হয়, বেশ্যাবাড়ি যেতে হয়—আমি এসব করিনি।
১ দিন আগেআনুমানিক ১৬৬৩ থেকে ১৬৬৪ সালের দিকে হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বড় কাটরার আদলে কিন্তু আকৃতিতে ছোট ইমারতের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৬৭১ সালে। ইমারতটি পরিচিত ছোট কাটরা নামে। শায়েস্তা খাঁর আমলে এটি নির্মিত হয়েছিল সরাইখানা বা প্রশাসনিক কাজে ব্যবহারের জন্য।
২ দিন আগেটেরাকোটা শিল্পের অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের মধ্যযুগীয় কান্তজিউ মন্দির। নানা পৌরাণিক কাহিনি পোড়ামাটির অলংকরণে মন্দিরের দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মাণ শুরু করেন ১৭০৪ খ্রিষ্টাব্দে।
৪ দিন আগে