কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দৃশ্যত সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি ৪৬টি জনসভা এবং ২৬ কিলোমিটার রোড শো করেছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতারাও সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এত কিছুর পরেও বিজেপির ভাগ্যে ‘সাফল্যের শিকে’ ছিঁড়েনি; চরম পরাজয় হয়েছে।
কংগ্রেস এ রাজ্যে নজিরবিহীন সফলতা পেয়েছে। ১৩৬ আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস, যা আগে কখনোই ঘটেনি। এর পেছনে রাহুল গান্ধীর জাদু কাজ করেছে কি না সে তর্ক ছাপিয়ে ‘মোদি ম্যাজিক’ কেন কাজ করল না, সেটা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
ভারতীয় সাংবাদিক ও কলাম লেখক আশুতোষ বলেছেন, কর্ণাটকে বিজেপির ভরাডুবির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্তত সাতটি কারণকে প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
প্রথমত, কর্ণাটকের বিধানসভার সদস্য বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চরম মূল্য চুকাতে হয়েছে বিজেপিকে। কারণ, কর্ণাটকে প্রায় একা হাতে দল গড়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর কারণেই ১৯৮৯ সালের পরে কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপির দিকে ধাবিত হয় শক্তিশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়।
কর্ণাটক ঐতিহাসিকভাবেই লিঙ্গায়েত ভোটারদের ঘাঁটি ছিল। জাতিগত নেতাকে এভাবে দল থেকে অচ্ছুত করাকে তারা সহজভাবে নিতে পারেনি। বিজেপির সিদ্ধান্ত তাদের ক্ষুব্ধ করেছে। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে বিজেপির আরেক হঠকারী সিদ্ধান্ত। তা হলো সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তরকে বাদ দেওয়া। আরেক লিঙ্গায়েত নেতা ও সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদিকেও নির্বাচনের টিকিট দেয়নি বিজেপি।
বিজেপি এখানে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের বাইরেই বাজি ধরেছিল। ফল মিলল চাক্ষুষ, বাজিতে চরম হার।
দ্বিতীয়ত, বিজেপি কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল বাসভরাজ বোমাইকে। এ সিদ্ধান্ত যে চরম ভুল ছিল, তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় কর্ণাটক অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী রাষ্ট্র। এখানে এমন একজন চৌকস নেতা দরকার ছিল, যিনি উন্নয়নের ধারাকে আরও বেগবান করতে পারবেন। কিন্তু বোমাইয়ের নেতৃত্ব ছিল স্পষ্টতই দুর্বল। ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে দেওয়ার পর লিঙ্গায়তদের আশ্বস্ত করার জন্য বিজেপি বোমাইকে নিয়োগ করে। কিন্তু বিজেপির এ কৌশল বুমেরাং হয়েছে।
তৃতীয়ত, তিন বছর ধরে কর্ণাটকে ‘সাম্প্রদায়িক কার্ড’ খেলার চেষ্টা করেছে বিজেপি। কিন্তু কর্ণাটকের সমাজে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করা সহজ নয় এবং শেষ পর্যন্ত সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। ‘হিজাব’, ‘হালাল’ মাংস, ‘লাভ জিহাদ’, ‘ল্যান্ড জিহাদে’র মতো মুসলিমদের কাছে স্পর্শকাতর ও আবেগী বিষয়কে এ রাজ্যের নির্বাচনে ইস্যু হিসেবে সামনে রেখেছিল বিজেপি। এগুলো নিয়ে বেশ আক্রমণাত্মকও ছিল দলটি। সম্ভবত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি ও বেকারত্বের মতো ‘জ্বলন্ত ইস্যু’ থেকে জনগণের চোখ সরিয়ে রাখতেই সাম্প্রদায়িক প্রচারণা কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কর্ণাটকের জনগণ মোদির সাম্প্রদায়িক কার্ডের ফাঁদে পা দেয়নি।
চতুর্থত, বিরোধমূলক রাজনীতি যে শেষ পর্যন্ত ধ্বংস ডেকে আনে, কর্ণাটকের নির্বাচন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। বিজেপি এখানে নানা উপদল তৈরি করেছিল। জগদীশ শেত্তর দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বি এল সন্তোষ ও ব্রাহ্মণ লবিকে দোষারোপ করেন।
অন্যদিকে কংগ্রেস এখানে আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নির্ধারণ করেছিল এবং সেভাবেই প্রচারণা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সাফল্য নিজেদের ঝুলিতে ভরে নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার এখানে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সাঙ্গাত হয়েছিলেন আরেক ক্যারিশমাটিক নেতা সিদ্দারামাইয়া। এঁরা দুজনেই বিজেপির বোমাইয়ের চেয়ে নেতৃত্বের দিক থেকে এগিয়ে ছিলেন।
এনডিটিভির এক জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ ভোটার সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে বোমাইকে চেয়েছিলেন মাত্র ২২ শতাংশ ভোটার। এমন লজ্জাজনক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও বোমাইকেই মনোনয়ন দিয়েছিল বিজেপি।
পঞ্চমত, কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। এই ডাক বেশ কাজে দিয়েছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম ভোটাররা একত্র হয়েছিল এবং বজরং দলকে বর্জন করেছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভোটের বাক্সে।
ষষ্ঠত, কংগ্রেস এ অঞ্চলে সংখ্যালঘু, অনগ্রসর শ্রেণি এবং তফসিলি জাতিগুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছিল। এই কৌশল তাদের সাফল্যকে ত্বরান্বিত করেছে। এই ভোটাররা কংগ্রেসের তরিতে ভিড়েছেন। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী সিদ্দারামাইয়া একজন ওবিসি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে একজন দলিত এবং শিবকুমার একজন ভোক্কালিগা। এরা নিঃসন্দেহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কংগ্রেসের পক্ষে টানতে বাজিকরের মতো কাজ করেছেন।
সপ্তমত, কর্ণাটকের নির্বাচন বিজেপিকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল, সবকিছু কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক নেতাদের অবমাননা করলে তার খেসারত দিতে হয়। শুধু হিন্দুত্ববাদী পরিচয়ের প্রচার ও সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা যে কখনো কখনো আত্মঘাতী হতে পারে, কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এর বিপরীতে কংগ্রেস বিকেন্দ্রীকরণকে প্রাধান্য দিয়েছে, স্থানীয় নেতাদের মর্যাদার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিয়েছে এবং হাতেনাতে তার ফল পেয়েছে।
এনডিটিভি থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম
কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দৃশ্যত সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি ৪৬টি জনসভা এবং ২৬ কিলোমিটার রোড শো করেছিলেন। স্থানীয় বিজেপি নেতারাও সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। এত কিছুর পরেও বিজেপির ভাগ্যে ‘সাফল্যের শিকে’ ছিঁড়েনি; চরম পরাজয় হয়েছে।
কংগ্রেস এ রাজ্যে নজিরবিহীন সফলতা পেয়েছে। ১৩৬ আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস, যা আগে কখনোই ঘটেনি। এর পেছনে রাহুল গান্ধীর জাদু কাজ করেছে কি না সে তর্ক ছাপিয়ে ‘মোদি ম্যাজিক’ কেন কাজ করল না, সেটা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
ভারতীয় সাংবাদিক ও কলাম লেখক আশুতোষ বলেছেন, কর্ণাটকে বিজেপির ভরাডুবির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্তত সাতটি কারণকে প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
প্রথমত, কর্ণাটকের বিধানসভার সদস্য বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চরম মূল্য চুকাতে হয়েছে বিজেপিকে। কারণ, কর্ণাটকে প্রায় একা হাতে দল গড়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর কারণেই ১৯৮৯ সালের পরে কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপির দিকে ধাবিত হয় শক্তিশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়।
কর্ণাটক ঐতিহাসিকভাবেই লিঙ্গায়েত ভোটারদের ঘাঁটি ছিল। জাতিগত নেতাকে এভাবে দল থেকে অচ্ছুত করাকে তারা সহজভাবে নিতে পারেনি। বিজেপির সিদ্ধান্ত তাদের ক্ষুব্ধ করেছে। সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে বিজেপির আরেক হঠকারী সিদ্ধান্ত। তা হলো সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেত্তরকে বাদ দেওয়া। আরেক লিঙ্গায়েত নেতা ও সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সাভাদিকেও নির্বাচনের টিকিট দেয়নি বিজেপি।
বিজেপি এখানে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের বাইরেই বাজি ধরেছিল। ফল মিলল চাক্ষুষ, বাজিতে চরম হার।
দ্বিতীয়ত, বিজেপি কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল বাসভরাজ বোমাইকে। এ সিদ্ধান্ত যে চরম ভুল ছিল, তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় কর্ণাটক অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী রাষ্ট্র। এখানে এমন একজন চৌকস নেতা দরকার ছিল, যিনি উন্নয়নের ধারাকে আরও বেগবান করতে পারবেন। কিন্তু বোমাইয়ের নেতৃত্ব ছিল স্পষ্টতই দুর্বল। ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে দেওয়ার পর লিঙ্গায়তদের আশ্বস্ত করার জন্য বিজেপি বোমাইকে নিয়োগ করে। কিন্তু বিজেপির এ কৌশল বুমেরাং হয়েছে।
তৃতীয়ত, তিন বছর ধরে কর্ণাটকে ‘সাম্প্রদায়িক কার্ড’ খেলার চেষ্টা করেছে বিজেপি। কিন্তু কর্ণাটকের সমাজে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করা সহজ নয় এবং শেষ পর্যন্ত সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। ‘হিজাব’, ‘হালাল’ মাংস, ‘লাভ জিহাদ’, ‘ল্যান্ড জিহাদে’র মতো মুসলিমদের কাছে স্পর্শকাতর ও আবেগী বিষয়কে এ রাজ্যের নির্বাচনে ইস্যু হিসেবে সামনে রেখেছিল বিজেপি। এগুলো নিয়ে বেশ আক্রমণাত্মকও ছিল দলটি। সম্ভবত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি ও বেকারত্বের মতো ‘জ্বলন্ত ইস্যু’ থেকে জনগণের চোখ সরিয়ে রাখতেই সাম্প্রদায়িক প্রচারণা কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু কর্ণাটকের জনগণ মোদির সাম্প্রদায়িক কার্ডের ফাঁদে পা দেয়নি।
চতুর্থত, বিরোধমূলক রাজনীতি যে শেষ পর্যন্ত ধ্বংস ডেকে আনে, কর্ণাটকের নির্বাচন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। বিজেপি এখানে নানা উপদল তৈরি করেছিল। জগদীশ শেত্তর দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বি এল সন্তোষ ও ব্রাহ্মণ লবিকে দোষারোপ করেন।
অন্যদিকে কংগ্রেস এখানে আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নির্ধারণ করেছিল এবং সেভাবেই প্রচারণা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সাফল্য নিজেদের ঝুলিতে ভরে নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার এখানে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সাঙ্গাত হয়েছিলেন আরেক ক্যারিশমাটিক নেতা সিদ্দারামাইয়া। এঁরা দুজনেই বিজেপির বোমাইয়ের চেয়ে নেতৃত্বের দিক থেকে এগিয়ে ছিলেন।
এনডিটিভির এক জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ ভোটার সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে বোমাইকে চেয়েছিলেন মাত্র ২২ শতাংশ ভোটার। এমন লজ্জাজনক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও বোমাইকেই মনোনয়ন দিয়েছিল বিজেপি।
পঞ্চমত, কর্ণাটকের হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। এই ডাক বেশ কাজে দিয়েছে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম ভোটাররা একত্র হয়েছিল এবং বজরং দলকে বর্জন করেছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ভোটের বাক্সে।
ষষ্ঠত, কংগ্রেস এ অঞ্চলে সংখ্যালঘু, অনগ্রসর শ্রেণি এবং তফসিলি জাতিগুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছিল। এই কৌশল তাদের সাফল্যকে ত্বরান্বিত করেছে। এই ভোটাররা কংগ্রেসের তরিতে ভিড়েছেন। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী সিদ্দারামাইয়া একজন ওবিসি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে একজন দলিত এবং শিবকুমার একজন ভোক্কালিগা। এরা নিঃসন্দেহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কংগ্রেসের পক্ষে টানতে বাজিকরের মতো কাজ করেছেন।
সপ্তমত, কর্ণাটকের নির্বাচন বিজেপিকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিল, সবকিছু কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক নেতাদের অবমাননা করলে তার খেসারত দিতে হয়। শুধু হিন্দুত্ববাদী পরিচয়ের প্রচার ও সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা যে কখনো কখনো আত্মঘাতী হতে পারে, কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এর বিপরীতে কংগ্রেস বিকেন্দ্রীকরণকে প্রাধান্য দিয়েছে, স্থানীয় নেতাদের মর্যাদার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিয়েছে এবং হাতেনাতে তার ফল পেয়েছে।
এনডিটিভি থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম
বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো ছোট দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সমন্বয়ে জোর দিতে দেখা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমন্বয় বলতে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় অর্থনীতিতে পরিবর্তন বা সমন্বয় আনার চেষ্টাকে বোঝানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআরব দেশগুলোর ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে আপাত-নীরবতা একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং ঐতিহাসিক কারণ। স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের দাবি এবং বাসিন্দাদের ওপর এই দীর্ঘ নিপীড়ন নিয়ে যে আরব দেশগুলো কিছুই করছে না, বা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকছে—এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়।
২ দিন আগেপ্রবাদ আছে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। চলুন দেখি, এই দুই রাজার যুদ্ধে কার প্রাণ যায়! ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা সব পণ্যে ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আর
৩ দিন আগেদখলকৃত অর্থনীতিতে প্রতিভা এবং সাফল্যের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই এমন দক্ষ কর্মীরা দেশ ছেড়ে চলে যান এবং সক্ষম সংস্থাগুলো দেউলিয়া হয়ে যায়। অন্যদিকে, ভালো যোগাযোগ আছে এমন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ভাবন বা মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করা ছাড়াই (বা কখনো কখনো পণ্য সরবরাহ না করেও)
৩ দিন আগে