Ajker Patrika

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক ,চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে আজ রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে আজ রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ রোববার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন মানববন্ধনকারীরা। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান।

মানববন্ধনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলা বান্দরবানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এই সড়ক ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ নেওয়া হয়। একটি সরু সড়কে এত চাপের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার টানেলের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক প্রশস্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা অতি দ্রুত সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির কারণে সড়কের কালো বিটুমিন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। একেকটি দুর্ঘটনায় কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয় সড়কটি প্রশস্ত করার। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার দুই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানির পর চুনতির জাঙ্গালিয়ায় সড়কের ওপর স্পিড ব্রেকার ও দুই ইট বসিয়ে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। আমরা লোকদেখানো এমন কাজ দেখতে চাই না। বাস্তবিক অর্থে সড়কটিতে ছয় লেন দেখতে চাই। এ জন্য কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না করে দ্রুত কাজ দেখতে চাই।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইব বলেন, ‘দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়কটি পাড়ার গলির চেয়েও সরু। তা ছাড়া জাঙ্গালিয়ার মতো কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা ঢালু ও আঁকাবাঁকা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত পর্যটকেরা রাস্তাটি সম্পর্কে অবগত থাকেন না। রাতের বেলা লবণের গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। সব মিলিয়ে রাস্তাটা মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যেকোনো যুক্তিতে এটা দেশের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হওয়া উচিত ছিল। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আমরা যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখি, তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’

মোহাম্মদ সোহাইবের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান সাঈদী, সিইউজের টিভি ইউনিটের প্রধান তৌহিদুল আলম, ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান, মুজিবুল হক, শফিকুল আলম, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ইমন মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী মো. শরীফ, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত