নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কমিটিকে অবাঞ্ছিত ও বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সমন্বয়কদের একাংশ। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় নগরীর ব্যস্ততম লালখান বাজার মোড়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
এতে লালখান বাজারমুখী সড়কের একপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টাইগারপাস, ওয়াসা, জিইসি মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে সৃষ্ট দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ৩১৫ সদস্য, উত্তর জেলা ১১২ সদস্য এবং দক্ষিণ জেলা ৩২৭ সদস্যের তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
আজ দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিক্ষুব্ধ সমন্বয়কেরা ঘোষিত তিনটি কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এতে আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকায় থাকাদের অবমূল্যায়ন ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস বিকৃত করে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঘোষিত মহানগর কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পাওয়া চৌধুরী সিয়াম ইলাহি বলেন, ‘গত জুলাই মাসে গঠিত সমন্বয়ক হিসেবে চট্টগ্রামে আমরা যারা ছিলাম, যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তাঁদের এ কমিটিতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এই কারণে আমরা যারা চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হিসেবে আছি এবং এই কমিটিতে যাদের বিভিন্ন পদ দেওয়া হয়েছে, সেই পদ থেকে আমরা পদত্যাগ করলাম। সেই সঙ্গে এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।’
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী প্রধান কাজ ছিল আন্দোলনে আহত এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার। এগুলো নিয়ে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এর পরিবর্তে যাঁরা ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন চাটুকারিতা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়েছে।
চৌধুরী সিয়াম ইলাহি বলেন, চট্টগ্রামে কিশোরদের আলোচিত ডট গ্যাং একটা সময় ছাত্রলীগের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করত। এই ডট গ্যাংয়ের সদস্যরা এখন পরিচালনা করছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চট্টগ্রামের কমিটি।
এ নিয়ে কেন্দ্রের প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল। তখন তাঁরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, এটা নিয়ে তদন্ত কমিটি হবে। অথচ ছয় মাসেও সেই তদন্ত কমিটি বা তদন্ত হয়নি। উল্টো যারা অভিযুক্ত তাদেরই এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটির মূল পদে রেখে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সিয়াম বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের পেছনে অবশ্যই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ দায়ী। এই কমিটি যত দ্রুত সম্ভব বাতিলের জন্য আমরা আলটিমেটাম দিচ্ছি। যদি কমিটি বাতিল করা না হয়, তাহলে হাসনাত আবদুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৫০ জনের মতো পদত্যাগ করেছি কমিটি থেকে এবং তিন দফা বেঁধে দিয়েছি। এরপর অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যাব আমরা।’
সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল ফাহিম তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন, দাবিগুলো হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি বাতিল করতে হবে। মূল আন্দোলনকারীদের নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করতে হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের আগে অভিযুক্ত সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যক্তির পছন্দে গঠিত কমিটিসমূহ গঠনের সঙ্গে জড়িত সবার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের সমন্বয়কদের এই অংশটি কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের অনুসারী। অন্যদিকে কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া সমন্বয়কেরা আরেক কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির অনুসারী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কমিটিকে অবাঞ্ছিত ও বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সমন্বয়কদের একাংশ। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় নগরীর ব্যস্ততম লালখান বাজার মোড়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
এতে লালখান বাজারমুখী সড়কের একপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টাইগারপাস, ওয়াসা, জিইসি মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে সৃষ্ট দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
এর আগে গতকাল সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ৩১৫ সদস্য, উত্তর জেলা ১১২ সদস্য এবং দক্ষিণ জেলা ৩২৭ সদস্যের তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
আজ দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিক্ষুব্ধ সমন্বয়কেরা ঘোষিত তিনটি কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এতে আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকায় থাকাদের অবমূল্যায়ন ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস বিকৃত করে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঘোষিত মহানগর কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পাওয়া চৌধুরী সিয়াম ইলাহি বলেন, ‘গত জুলাই মাসে গঠিত সমন্বয়ক হিসেবে চট্টগ্রামে আমরা যারা ছিলাম, যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তাঁদের এ কমিটিতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এই কারণে আমরা যারা চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হিসেবে আছি এবং এই কমিটিতে যাদের বিভিন্ন পদ দেওয়া হয়েছে, সেই পদ থেকে আমরা পদত্যাগ করলাম। সেই সঙ্গে এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।’
তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী প্রধান কাজ ছিল আন্দোলনে আহত এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার। এগুলো নিয়ে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এর পরিবর্তে যাঁরা ৫ আগস্ট-পরবর্তী বিভিন্ন চাটুকারিতা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়েছে।
চৌধুরী সিয়াম ইলাহি বলেন, চট্টগ্রামে কিশোরদের আলোচিত ডট গ্যাং একটা সময় ছাত্রলীগের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করত। এই ডট গ্যাংয়ের সদস্যরা এখন পরিচালনা করছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চট্টগ্রামের কমিটি।
এ নিয়ে কেন্দ্রের প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল। তখন তাঁরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, এটা নিয়ে তদন্ত কমিটি হবে। অথচ ছয় মাসেও সেই তদন্ত কমিটি বা তদন্ত হয়নি। উল্টো যারা অভিযুক্ত তাদেরই এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিটির মূল পদে রেখে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সিয়াম বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের পেছনে অবশ্যই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ দায়ী। এই কমিটি যত দ্রুত সম্ভব বাতিলের জন্য আমরা আলটিমেটাম দিচ্ছি। যদি কমিটি বাতিল করা না হয়, তাহলে হাসনাত আবদুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ৫০ জনের মতো পদত্যাগ করেছি কমিটি থেকে এবং তিন দফা বেঁধে দিয়েছি। এরপর অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যাব আমরা।’
সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল ফাহিম তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন, দাবিগুলো হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি বাতিল করতে হবে। মূল আন্দোলনকারীদের নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করতে হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের আগে অভিযুক্ত সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ব্যক্তির পছন্দে গঠিত কমিটিসমূহ গঠনের সঙ্গে জড়িত সবার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের সমন্বয়কদের এই অংশটি কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের অনুসারী। অন্যদিকে কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া সমন্বয়কেরা আরেক কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির অনুসারী।
রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘একক বাস কোম্পানি’ হিসেবে নগর পরিবহন চালু করেছিল ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। কিন্তু এই সেবাও সড়কে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এক রুট চালু হচ্ছে তো,
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় বাগদা চিংড়ির ঘেরে মড়ক লেগেছে। এতে দিশেহারা চাষিরা। বছরের শুরুতে মড়ক লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরার অভিযোগ উঠলেও মৎস্য বিভাগের দাবি, ঘেরে পানি কমে যাওয়ায় দাবদাহে মরে যাচ্ছে মাছ।
৫ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে পদে পদে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নামজারি, নাম সংশোধনসহ ভূমি-সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে পকেট কাটা হচ্ছে সেবাপ্রার্থীদের। এই ঘুষ-বাণিজ্যের হোতা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিরাজ হোসেন, সায়রাত সহকারী আব্দুল
৫ ঘণ্টা আগেথেমে নেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। দেয়াঙ পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পালের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী—দুই উপজেলার গ্রামবাসী। ৭ বছর ধরে বন্য হাতির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। তবে গতকাল রোববার ভোরে হাতিগুলো নিজেরাই বাঁশখালীর বনে ফিরে গেছে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ।
৫ ঘণ্টা আগে