নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষক লীগ নেতা দখল করেন চট্টগ্রামের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুটের নার্সারি। কয়েকবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েও প্রভাবশালী মহলের চাপে পিছু হটে জেলা প্রশাসন। ২০২২ সালে উচ্ছেদপ্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে তৎকালীন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের টেলিফোনে স্ট্যান্ড রিলিজ হন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ার। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও দখল ছাড়েননি ওই নেতা। এই অবস্থায় জায়গাটি আদৌ দখলমুক্ত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মসজিদসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করেন চট্টগ্রামের উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। সেখানে থাকা আরণ্যক নামের নার্সারিও চলে যায় তাঁর দখলে। জায়গা দখলমুক্ত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দুই দফা চিঠি দেয়। ২০২৩ সালের প্রথম দিনও উচ্ছেদ চেয়ে চিঠি দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। কিন্তু সরানো যায়নি শফিকুলকে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জায়গা ইজারা নিয়ে আরণ্যক নার্সারি গড়ে তোলেন শফিকুলের বড় ভাই মো. মাহবুবুর রহমান। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর তাঁর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। ইজারার ৫ লাখ ২৫ টাকা পরিশোধ না করেই চলে যান মাহবুব। এরপর নার্সারিটি দখলে নেন শফিকুল। নার্সারি কবজায় নিয়ে রঞ্জ বাবু নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে তিনি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
তবে গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে চন্দন নামের একজন নার্সারির ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে জানান, নার্সারির মালিক মো. শফিকুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান।
জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের প্রকল্প পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান। নার্সারির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষক লীগ নেতা শফিকুলের নার্সারি উচ্ছেদ করা হবে। তাঁর সঙ্গে চুক্তি না থাকলেও তাঁর ভাইয়ের চুক্তি অনুযায়ী হিসাব করলে ১০-১২ লাখ টাকা এখনো পাওনা রয়েছে।
জায়গা দখল করে নার্সারি ব্যবসা পরিচালনা প্রসঙ্গে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। তা পরিশোধের জন্য আমি এক মাস সময় নিয়েছি।’ তবে কত মাস বকেয়া রয়েছে, তা জানা নেই বলে দাবি করেন এই নেতা।
টাকা পরিশোধে শফিকুলের সময় নেওয়ার বিষয়ে বোরহান উদ্দীন বলেন, শফিকুলের সব কথা মিথ্যা।
জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেকোনোভাবে মসজিদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষক লীগ নেতা দখল করেন চট্টগ্রামের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুটের নার্সারি। কয়েকবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েও প্রভাবশালী মহলের চাপে পিছু হটে জেলা প্রশাসন। ২০২২ সালে উচ্ছেদপ্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে তৎকালীন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের টেলিফোনে স্ট্যান্ড রিলিজ হন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ার। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও দখল ছাড়েননি ওই নেতা। এই অবস্থায় জায়গাটি আদৌ দখলমুক্ত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মসজিদসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করেন চট্টগ্রামের উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। সেখানে থাকা আরণ্যক নামের নার্সারিও চলে যায় তাঁর দখলে। জায়গা দখলমুক্ত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দুই দফা চিঠি দেয়। ২০২৩ সালের প্রথম দিনও উচ্ছেদ চেয়ে চিঠি দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। কিন্তু সরানো যায়নি শফিকুলকে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জায়গা ইজারা নিয়ে আরণ্যক নার্সারি গড়ে তোলেন শফিকুলের বড় ভাই মো. মাহবুবুর রহমান। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর তাঁর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। ইজারার ৫ লাখ ২৫ টাকা পরিশোধ না করেই চলে যান মাহবুব। এরপর নার্সারিটি দখলে নেন শফিকুল। নার্সারি কবজায় নিয়ে রঞ্জ বাবু নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে তিনি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
তবে গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে চন্দন নামের একজন নার্সারির ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে জানান, নার্সারির মালিক মো. শফিকুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান।
জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের প্রকল্প পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান। নার্সারির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষক লীগ নেতা শফিকুলের নার্সারি উচ্ছেদ করা হবে। তাঁর সঙ্গে চুক্তি না থাকলেও তাঁর ভাইয়ের চুক্তি অনুযায়ী হিসাব করলে ১০-১২ লাখ টাকা এখনো পাওনা রয়েছে।
জায়গা দখল করে নার্সারি ব্যবসা পরিচালনা প্রসঙ্গে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। তা পরিশোধের জন্য আমি এক মাস সময় নিয়েছি।’ তবে কত মাস বকেয়া রয়েছে, তা জানা নেই বলে দাবি করেন এই নেতা।
টাকা পরিশোধে শফিকুলের সময় নেওয়ার বিষয়ে বোরহান উদ্দীন বলেন, শফিকুলের সব কথা মিথ্যা।
জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেকোনোভাবে মসজিদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।’
সিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরে আত্মীয়ের বাসা থেকে সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মনছুরাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডাবলমুরিং থানা-পুলিশ।
১৯ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
৩১ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগে