নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে টানা ভারী বৃষ্টিতে নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানিতে বন্দর নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মূল সড়ক, স্কুল–কলেজ, শিল্প কারখানা ও অলিগলি কোমর পানিতে ডুবে আছে। বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে নগরবাসীর।
বেশি দুর্ভোগ হয়েছেন অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষের। বন্ধের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকায় নগরীতে অনেক স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। এদিকে জলাবদ্ধাতার মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে গাড়ি করে অফিস যেতে দেখা যায়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সোমবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত ২৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
নগরীর ডিসি রোড, চকবাজার, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকা কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। এতে ছোট তিন চাকার যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকার মোহাম্মদ হামিদ বলেন, ‘আমাদের চকবাজার ডিসি রোড এলাকায় বাসাবাড়ি, দোকানপাটের ভেতরে-বাইরে কোমর পানি। এতে ভোগান্তি হয়েছে সবার।’
এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চাক্তাই, হালিশহর ও আগ্রাবাদ সিডিএসহ বেশ কয়েকটি এলাকা সকাল থেকেই পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। বড় গাড়িগুলোকে যাতায়াতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে উপায় না পেয়ে কোমর পানিতেই নেমে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকছে বিভিন্ন এলাকায়। আমরা কয়েকটি টিম করেছি। জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণে নালা ও ড্রেনসহ পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। যেখানে পানি জমে থাকার খবর পাচ্ছি, আমাদের টিম সেখানে গিয়ে দ্রুততার সাথে কাজ করছে।’
জলাবদ্ধতার ডুবে থাকা নগরীর বাকলিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন খান জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর অধিকাংশ এলাকার মতো বাকলিয়া সরকারি কলেজও ডুবে গেছে। কলেজের নিচতলা ও মাঠ পানিতে নিমজ্জিত।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গাও প্লাবিত হয়েছে। সীতাকুণ্ড, রাউজান, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও ফটিকছড়ি উপজেলার বেশকিছু এলাকাও বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে এলাকার অধিকাংশ মানুষ।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ তথা কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। মধ্যরাত নাগাদ কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম শেষ করে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টির নিম্নভাগ উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে আজ ভোর নাগাদ। এখন এটা স্থল নিম্নচাপ আকারে বৃষ্টি হয়ে ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এম এইচ এম মোসাদ্দেক বলেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এরপর বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির প্রভাব আগামীকাল মঙ্গলবার পযর্ন্ত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে নগরীতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন টিম কাজ করছে জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান বলেন, নগরীতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন টিম কাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে টানা ভারী বৃষ্টিতে নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানিতে বন্দর নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মূল সড়ক, স্কুল–কলেজ, শিল্প কারখানা ও অলিগলি কোমর পানিতে ডুবে আছে। বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে নগরবাসীর।
বেশি দুর্ভোগ হয়েছেন অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষের। বন্ধের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকায় নগরীতে অনেক স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। এদিকে জলাবদ্ধাতার মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে গাড়ি করে অফিস যেতে দেখা যায়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সোমবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পযর্ন্ত ২৩৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২০৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে।
নগরীর ডিসি রোড, চকবাজার, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকা কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। এতে ছোট তিন চাকার যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নগরীর চকবাজার ডিসি রোড এলাকার মোহাম্মদ হামিদ বলেন, ‘আমাদের চকবাজার ডিসি রোড এলাকায় বাসাবাড়ি, দোকানপাটের ভেতরে-বাইরে কোমর পানি। এতে ভোগান্তি হয়েছে সবার।’
এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চাক্তাই, হালিশহর ও আগ্রাবাদ সিডিএসহ বেশ কয়েকটি এলাকা সকাল থেকেই পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। বড় গাড়িগুলোকে যাতায়াতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে উপায় না পেয়ে কোমর পানিতেই নেমে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকছে বিভিন্ন এলাকায়। আমরা কয়েকটি টিম করেছি। জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণে নালা ও ড্রেনসহ পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে। যেখানে পানি জমে থাকার খবর পাচ্ছি, আমাদের টিম সেখানে গিয়ে দ্রুততার সাথে কাজ করছে।’
জলাবদ্ধতার ডুবে থাকা নগরীর বাকলিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন খান জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর অধিকাংশ এলাকার মতো বাকলিয়া সরকারি কলেজও ডুবে গেছে। কলেজের নিচতলা ও মাঠ পানিতে নিমজ্জিত।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গাও প্লাবিত হয়েছে। সীতাকুণ্ড, রাউজান, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও ফটিকছড়ি উপজেলার বেশকিছু এলাকাও বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে এলাকার অধিকাংশ মানুষ।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ তথা কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। মধ্যরাত নাগাদ কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম শেষ করে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টির নিম্নভাগ উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে আজ ভোর নাগাদ। এখন এটা স্থল নিম্নচাপ আকারে বৃষ্টি হয়ে ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা এম এইচ এম মোসাদ্দেক বলেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এরপর বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির প্রভাব আগামীকাল মঙ্গলবার পযর্ন্ত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে নগরীতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন টিম কাজ করছে জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান বলেন, নগরীতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন টিম কাজ করছে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১৯ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
৩৪ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
৩৮ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে