নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রসবের পর দুই যমজ সন্তানকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে দিলেন বাবা। মামলা করে সেই সন্তানদের আবার নিজের কোলে ফিরিয়ে আনলেন মা। এতে সহযোগিতা করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখা।
গতকাল শনিবার পুলিশের নিরবচ্ছিন্ন অভিযানে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ১ নম্বর রাজানগরের বি এ হেডমাস্টার বাড়ি থেকে শিশু রায়ান এবং নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন এলাকা থেকে শিশু ফাহমিদাকে উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই মেট্রো শাখার পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই শিশুদের আদালতে উপস্থাপন করেছি আমরা। আদালতের বিচারক সোমবার (১০ জুন) দুই শিশুকে নিয়ে আবার আদালতে উপস্থাপন করার আদেশ দিয়েছেন। বর্তমানে দুই শিশু পিবিআই এর হেফাজতে রয়েছে।’
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ পলি হাসপাতালে মুন্নী আকতার নামে এক প্রসূতি যমজ সন্তান প্রসব করেন। টাকার বিনিময়ে প্রসূতির স্বামী হাবিবুর রহমান দুই নবজাতককে অজ্ঞাতনামাদের হাতে তুলে দেন। এতে তাদের ছেলে–মেয়ে রেহান ও রুমা আকতার বাঁধা দিলে হাবিবুর রহমান তাদের হাসপাতালের বাথরুমে আটকে রাখে। পরে নিজের যমজ শিশুদের ফিরে পেতে মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ওই মা। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই এর কাছে পাঠায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হাসপাতালে সন্তানদের বিষয়ে বাদী ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রোকসানা আকতার ও মামুনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বাচ্চা দুইটি অসুস্থ বলে জানায়। তাই দুই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার স্বামী হাবিবুর রহমান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
পিবিআই জানায়, মামলার বাদী বাবুর্চির সহকারীসহ বাসা–বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একপর্যায়ে বাদী সন্তান সম্ভবা হন। অপরদিকে রাঙ্গুনিয়ার রাজনগর এলাকার আবুল হাশেমের স্ত্রী শিরু আকতার একটি ছেলে সন্তান ও নগরীর বোয়ালখালীর নাজিরখালী এলাকার হাসান মুরাদের স্ত্রী রুনা আকতার একটি মেয়ে সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য খুঁজছিলেন।
উভয়ের সঙ্গে ঘটনাক্রমে শেরপুরের আবু বক্কর সিদ্দিকির স্ত্রী রাশেদা বেগমের পরিচয় হয়। রাশেদা বেগম তাদের উভয়কে আশ্বস্ত করেন যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলে তিনি উভয়কে তাদের পছন্দমতো নবজাতক ছেলে–মেয়ে দত্তক এনে দিতে পারবেন। এরপর রাশেদা বেগম, শিরু আকতার ও রুনা আকতারের সঙ্গে মামলার বাদীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। নবজাতক ছেলের বিনিময়ে শিরু আকতার রাশেদা বেগমকে তিন লাখ টাকা এবং রুনা আকতার নবজাতক মেয়ের বিনিময়ে এক লাখ টাকা দিতে রাজি হন।
এ ছাড়া বাদীর প্রসবকালীন চিকিৎসা বাবদ অর্থ প্রদানে রাজি হন তারা। রাশেদা বেগম বিষয়টি মামলার বাদীর সঙ্গে আলোচনা করলে সর্বমোট তিন লাখ টাকার বিনিময়ে তার গর্ভে থাকা দুইটি সন্তান প্রসবের পরপরই দত্তক দিতে রাজি হন। বাদী বিষয়টি তার স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করলে স্বামীও অর্থের বিনিময়ে দত্তক প্রদানের বিষয়ে সম্মতি দেন।
পরিকল্পনা মোতাবেক বাদী যথাসময়ে একটি ছেলে সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলে নগদ টাকার বিনিময়ে ছেলে সন্তানকে শিরু আকতারের কাছে এবং মেয়ে সন্তানকে রুনা আকতারের কাছে দত্তক প্রদান করেন।
রাশেদা বেগম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এক লাখ টাকা পান। ঘটনার পর বাদীর স্বামী হাবিবুর রহমান বাদীকে মারধর করে তার কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেলে বাদী ক্ষিপ্ত হয়ে সম্প্রতি মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রসবের পর দুই যমজ সন্তানকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করে দিলেন বাবা। মামলা করে সেই সন্তানদের আবার নিজের কোলে ফিরিয়ে আনলেন মা। এতে সহযোগিতা করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখা।
গতকাল শনিবার পুলিশের নিরবচ্ছিন্ন অভিযানে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ১ নম্বর রাজানগরের বি এ হেডমাস্টার বাড়ি থেকে শিশু রায়ান এবং নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন এলাকা থেকে শিশু ফাহমিদাকে উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই মেট্রো শাখার পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই শিশুদের আদালতে উপস্থাপন করেছি আমরা। আদালতের বিচারক সোমবার (১০ জুন) দুই শিশুকে নিয়ে আবার আদালতে উপস্থাপন করার আদেশ দিয়েছেন। বর্তমানে দুই শিশু পিবিআই এর হেফাজতে রয়েছে।’
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ পলি হাসপাতালে মুন্নী আকতার নামে এক প্রসূতি যমজ সন্তান প্রসব করেন। টাকার বিনিময়ে প্রসূতির স্বামী হাবিবুর রহমান দুই নবজাতককে অজ্ঞাতনামাদের হাতে তুলে দেন। এতে তাদের ছেলে–মেয়ে রেহান ও রুমা আকতার বাঁধা দিলে হাবিবুর রহমান তাদের হাসপাতালের বাথরুমে আটকে রাখে। পরে নিজের যমজ শিশুদের ফিরে পেতে মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ওই মা। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই এর কাছে পাঠায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হাসপাতালে সন্তানদের বিষয়ে বাদী ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রোকসানা আকতার ও মামুনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বাচ্চা দুইটি অসুস্থ বলে জানায়। তাই দুই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার স্বামী হাবিবুর রহমান চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
পিবিআই জানায়, মামলার বাদী বাবুর্চির সহকারীসহ বাসা–বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একপর্যায়ে বাদী সন্তান সম্ভবা হন। অপরদিকে রাঙ্গুনিয়ার রাজনগর এলাকার আবুল হাশেমের স্ত্রী শিরু আকতার একটি ছেলে সন্তান ও নগরীর বোয়ালখালীর নাজিরখালী এলাকার হাসান মুরাদের স্ত্রী রুনা আকতার একটি মেয়ে সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য খুঁজছিলেন।
উভয়ের সঙ্গে ঘটনাক্রমে শেরপুরের আবু বক্কর সিদ্দিকির স্ত্রী রাশেদা বেগমের পরিচয় হয়। রাশেদা বেগম তাদের উভয়কে আশ্বস্ত করেন যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলে তিনি উভয়কে তাদের পছন্দমতো নবজাতক ছেলে–মেয়ে দত্তক এনে দিতে পারবেন। এরপর রাশেদা বেগম, শিরু আকতার ও রুনা আকতারের সঙ্গে মামলার বাদীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। নবজাতক ছেলের বিনিময়ে শিরু আকতার রাশেদা বেগমকে তিন লাখ টাকা এবং রুনা আকতার নবজাতক মেয়ের বিনিময়ে এক লাখ টাকা দিতে রাজি হন।
এ ছাড়া বাদীর প্রসবকালীন চিকিৎসা বাবদ অর্থ প্রদানে রাজি হন তারা। রাশেদা বেগম বিষয়টি মামলার বাদীর সঙ্গে আলোচনা করলে সর্বমোট তিন লাখ টাকার বিনিময়ে তার গর্ভে থাকা দুইটি সন্তান প্রসবের পরপরই দত্তক দিতে রাজি হন। বাদী বিষয়টি তার স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করলে স্বামীও অর্থের বিনিময়ে দত্তক প্রদানের বিষয়ে সম্মতি দেন।
পরিকল্পনা মোতাবেক বাদী যথাসময়ে একটি ছেলে সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলে নগদ টাকার বিনিময়ে ছেলে সন্তানকে শিরু আকতারের কাছে এবং মেয়ে সন্তানকে রুনা আকতারের কাছে দত্তক প্রদান করেন।
রাশেদা বেগম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এক লাখ টাকা পান। ঘটনার পর বাদীর স্বামী হাবিবুর রহমান বাদীকে মারধর করে তার কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেলে বাদী ক্ষিপ্ত হয়ে সম্প্রতি মানবপাচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘একক বাস কোম্পানি’ হিসেবে নগর পরিবহন চালু করেছিল ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। কিন্তু এই সেবাও সড়কে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এক রুট চালু হচ্ছে তো,
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় বাগদা চিংড়ির ঘেরে মড়ক লেগেছে। এতে দিশেহারা চাষিরা। বছরের শুরুতে মড়ক লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরার অভিযোগ উঠলেও মৎস্য বিভাগের দাবি, ঘেরে পানি কমে যাওয়ায় দাবদাহে মরে যাচ্ছে মাছ।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে পদে পদে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নামজারি, নাম সংশোধনসহ ভূমি-সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে পকেট কাটা হচ্ছে সেবাপ্রার্থীদের। এই ঘুষ-বাণিজ্যের হোতা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিরাজ হোসেন, সায়রাত সহকারী আব্দুল
৩ ঘণ্টা আগেথেমে নেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। দেয়াঙ পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পালের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী—দুই উপজেলার গ্রামবাসী। ৭ বছর ধরে বন্য হাতির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। তবে গতকাল রোববার ভোরে হাতিগুলো নিজেরাই বাঁশখালীর বনে ফিরে গেছে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ।
৩ ঘণ্টা আগে