টিএসসিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীদের মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২: ৪৪
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৪, ১২: ৫৭

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশোর্ধ্ব শিক্ষার্থীর একটি দল শহীদুল্লাহ হলের গেট থেকে বেরিয়ে টিএসসি পর্যন্ত আসে। সেখানে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। এ সময় প্রচণ্ড শব্দে আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটে যান তাঁরা। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ভিসি চত্বর, মল চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। 

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় গতকাল মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। আজ সকাল থেকে ছেলেদের বিভিন্ন হলে গিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতা-কর্মীদের কক্ষে ভাঙচুরসহ তাঁদের জিনিসপত্র পুড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন রহমান, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও হল সভাপতি মেহেদী হাসান শান্তর কক্ষ ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শান্তর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁর কক্ষে থাকা জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। 

 বিজয় একাত্তর হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, হল সভাপতি সজীবুর রহমান সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের কক্ষে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, বিজয় একাত্তর হল সংসদের কক্ষেও ভাঙচুর চালিয়েছেন তাঁরা। 

কবি জসীমউদ্‌দীন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর কক্ষের জিনিসপত্রও বাইরে ফেলে আগুন দিয়েছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন। ছবি: আজকের পত্রিকামাস্টারদা সূর্যসেন হলে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাঝহারুল কবির শয়নের কক্ষসহ (৩৪৪) ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীর কক্ষেও ভাঙচুর করা হয়। 

এ সময় হল শাখা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে পেলে তাঁদের উপর্যুপরি কিল-ঘুষি, মারধর দিয়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন তাঁরা। 

এরও আগে বুধবার ভোর থেকেই ‘আমার ভাই নিহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের কক্ষসহ বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত