ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডসহ সংঘটিত সব অপরাধের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে সমমনা ইসলামি দলগুলো। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী। তিনি বলেন, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে বলা মানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে বলা নয়। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই, যাতে তাঁরা ইসকনের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসকন একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাসী সংগঠন। এটি দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অনলাইনে ধর্ম অবমাননার বেশির ভাগ ঘটনাই ইসকন সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত।’

ভারতের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে। তবে আমরা সরকারের পাল্টা বিবৃতিকে স্বাগত জানাই। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় একযোগে কাজ করতে হবে।’

এ সময় সমমনা ইসলামি দলগুলো সরকারের প্রতি তিনটি দাবি উত্থাপন করে—

১. উগ্র সংগঠন ইসকনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।

২. অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম হত্যাসহ ইসকন সংগঠিত সব অপরাধের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

৩. সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ, খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবারের খুতবায় জনগণকে উগ্র ইসকন সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সংবাদ সম্মেলনে মসজিদের ইমামদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার না হলে তাঁরা শিগগিরই পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও দাবি জানানো হয়।