শরীয়তপুর প্রতিনিধি
‘ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী। নিজের সংগঠনকে নিয়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তিনি আবারও আলোচনায় আসলেন।
গত রোববার (১২ মে) বিকেলে জাজিরা উপজেলার টিএন্ডটি মোড় এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখার সময় এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন ছাত্রলীগ নেতা রুবেল। তাঁর এই মন্তব্য এরই মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা জানেন এই রতন সরদারের বিরুদ্ধে বড় কান্দী ইউনিয়ন, পালেরচর ইউনিয়ন, কুন্ডেরচর ইউনিয়নে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেখানকার সাধারণ মানুষ ভয় পায় কথা বলতে, তারা সাহস পায় না। তাই আমরা উপজেলা পর্যায়ে, পৌরসভা পর্যায়ে যারা রয়েছি, আমরা সাহস রেখে বলতে চাই, কোনো ভূমিদস্যুকে, কোনো সন্ত্রাসীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে পারি না।’
রুবেল আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা, নেতা-কর্মীদের আস্থার জায়গা, রাজনৈতিক সংগঠনের আস্থার জায়গা। তাই আমরা একজন ভদ্র মার্জিত লোককে চাই, যিনি ইদ্রিস ফরাজী, তিনি অতীত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। তাঁর কোনো অর্থনৈতিক লোভ নাই।’
রুবেল বেপারী বলেন, ‘আমরা অনেকেই রাজনীতির নামে ব্যবসা করে, নির্বাচনে প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করতে চায়। তাই সেই সকল লোক থেকে আগামী নির্বাচনে দূরে থাকতে হবে। কোনো সন্ত্রাসী কোনো কাজে আসবে না। ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই। তাই আমরা আশা রাখি, আগামী নির্বাচনে ইদ্রিস ফরাজীর হুন্ডা মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করে স্মার্ট জাজিরা গড়ে তোলার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করব। তাই আগামী উপজেলা নির্বাচনে হুন্ডাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাজ করতে হবে।’
তবে এই ছাত্রলীগ নেতার এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি তার বেশ কয়েকটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী দুই সন্তানের জনক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর মূল পেশা ঠিকাদারি। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ঠিকাদারি করে তিনি রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের এই নেতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অথবা সাংবাদিক যে কেউ তাঁর কাজের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন তিনি।
গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ ও আসবাবপত্রের জন্য আহবান করা দরপত্রের বাক্স ভেঙে দরপত্রগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া একই বছরের ৩০ মে শরীয়তপুরে আলোচিত পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় ৭২ লাখ টাকা ছিনতাই মামলায় পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আসামিদের মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ গত রোববার জাজিরা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির পক্ষে নির্বাচনী সভায় ঘোড়া প্রতীকের আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আমিনুল ইসলাম রতন সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেওয়ার সময় ছাত্রলীগকে বড় সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেন রুবেল বেপারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাজিরা উপজেলার এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘রুবেল বেপারী একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি জাজিরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও কলেজ কমিটিগুলোতে ব্যাপক বাণিজ্য করেন। পাশাপাশি প্রতিটি কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের পদায়ন করেছেন। এতসব অপকর্ম করেও কোন শক্তির বলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আদর্শের সংগঠনে টিকে থাকেন।’
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী বলেন, ‘আমি একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিয়েছি। সেখানে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ নিয়ে অনেক কথাই বলেছি। একটি পক্ষ আমাকে বিতর্কিত করার জন্য আমার বক্তব্য কাটছাঁট করে এডিট করে প্রচার করছে। আমি এর নিন্দা জানাই।’
জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মহসিন মাদবর বলেন, ‘ছাত্রলীগে কোনো সন্ত্রাসী নেই, ছাত্রলীগ কোনো ক্যাডার পালে না। যদি কেউ এমন মন্তব্য করে থাকেন তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত কথা। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
‘ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী। নিজের সংগঠনকে নিয়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তিনি আবারও আলোচনায় আসলেন।
গত রোববার (১২ মে) বিকেলে জাজিরা উপজেলার টিএন্ডটি মোড় এলাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখার সময় এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন ছাত্রলীগ নেতা রুবেল। তাঁর এই মন্তব্য এরই মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা জানেন এই রতন সরদারের বিরুদ্ধে বড় কান্দী ইউনিয়ন, পালেরচর ইউনিয়ন, কুন্ডেরচর ইউনিয়নে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেখানকার সাধারণ মানুষ ভয় পায় কথা বলতে, তারা সাহস পায় না। তাই আমরা উপজেলা পর্যায়ে, পৌরসভা পর্যায়ে যারা রয়েছি, আমরা সাহস রেখে বলতে চাই, কোনো ভূমিদস্যুকে, কোনো সন্ত্রাসীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানাতে পারি না।’
রুবেল আরও বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা, নেতা-কর্মীদের আস্থার জায়গা, রাজনৈতিক সংগঠনের আস্থার জায়গা। তাই আমরা একজন ভদ্র মার্জিত লোককে চাই, যিনি ইদ্রিস ফরাজী, তিনি অতীত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত। তাঁর কোনো অর্থনৈতিক লোভ নাই।’
রুবেল বেপারী বলেন, ‘আমরা অনেকেই রাজনীতির নামে ব্যবসা করে, নির্বাচনে প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করতে চায়। তাই সেই সকল লোক থেকে আগামী নির্বাচনে দূরে থাকতে হবে। কোনো সন্ত্রাসী কোনো কাজে আসবে না। ছাত্রলীগের ওপরে কোনো সন্ত্রাস নাই, কোনো শক্তি নাই। তাই আমরা আশা রাখি, আগামী নির্বাচনে ইদ্রিস ফরাজীর হুন্ডা মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করে স্মার্ট জাজিরা গড়ে তোলার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করব। তাই আগামী উপজেলা নির্বাচনে হুন্ডাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাজ করতে হবে।’
তবে এই ছাত্রলীগ নেতার এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি তার বেশ কয়েকটি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী দুই সন্তানের জনক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর মূল পেশা ঠিকাদারি। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ঠিকাদারি করে তিনি রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। ঠিকাদারি কাজে অনিয়ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের এই নেতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অথবা সাংবাদিক যে কেউ তাঁর কাজের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করলে তাঁদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন তিনি।
গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওষুধ ও আসবাবপত্রের জন্য আহবান করা দরপত্রের বাক্স ভেঙে দরপত্রগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া একই বছরের ৩০ মে শরীয়তপুরে আলোচিত পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় ৭২ লাখ টাকা ছিনতাই মামলায় পুলিশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আসামিদের মারধর করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ গত রোববার জাজিরা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজির পক্ষে নির্বাচনী সভায় ঘোড়া প্রতীকের আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আমিনুল ইসলাম রতন সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেওয়ার সময় ছাত্রলীগকে বড় সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেন রুবেল বেপারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাজিরা উপজেলার এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘রুবেল বেপারী একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তিনি জাজিরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও কলেজ কমিটিগুলোতে ব্যাপক বাণিজ্য করেন। পাশাপাশি প্রতিটি কমিটিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের পদায়ন করেছেন। এতসব অপকর্ম করেও কোন শক্তির বলে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আদর্শের সংগঠনে টিকে থাকেন।’
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বেপারী বলেন, ‘আমি একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিয়েছি। সেখানে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ নিয়ে অনেক কথাই বলেছি। একটি পক্ষ আমাকে বিতর্কিত করার জন্য আমার বক্তব্য কাটছাঁট করে এডিট করে প্রচার করছে। আমি এর নিন্দা জানাই।’
জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মহসিন মাদবর বলেন, ‘ছাত্রলীগে কোনো সন্ত্রাসী নেই, ছাত্রলীগ কোনো ক্যাডার পালে না। যদি কেউ এমন মন্তব্য করে থাকেন তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত কথা। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
৩ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১২ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো আপসের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আপস করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে। দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
২০ মিনিট আগেকমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রিকশাচালকদের অবরোধে জুরাইন রেল স্টেশনে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার আটকে যায় ৷ খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন আটকে আছে কমলাপুরের শহরতলি স্টেশনে ৷
২৬ মিনিট আগে