Ajker Patrika

গান বাংলা দখলের মামলায় তাপস গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
কৌশিক হোসেন তাপস। ছবি: সংগৃহীত
কৌশিক হোসেন তাপস। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্র দেখিয়ে মারধর করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘গান বাংলা’–এর মালিকানা দখলের মামলায় কৌশিক হোসেন তাপসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান গ্রেপ্তার দেখানোর এই আদেশ দেন।

আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় তাপসকে। তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ–পরিদর্শক হারুনুর রশীদ এ মামলায় তাপসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ নভেম্বর সৈয়দ শামস উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে তাপসসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—তাপসের স্ত্রী গাল বাংলার চেয়ারম্যান ফারজানা মুন্নী, রবি শংকর মৈত্রী, এম. আমানুল্লাহ খান (চঞ্চল খান), সৈয়দ নাবিল আশরাফ। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৫ জুলাই মো. বদরুদ্দোজা সাগর, বখতিয়ার শিকদার ও রবিশঙ্কর মৈত্রী মিলে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠার জন্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের কার্যালয় থেকে বার্ডস আই মাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন পিএলসি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেন। কোম্পানি গঠনের সময় মামলার বাদী ৭ হাজার প্রাথমিক শেয়ার এবং বখতিয়ার শিখদার, রবিশঙ্কর মৈত্রী ও বদরুদ্দোজা সাগর প্রত্যেকে ১ হাজার করে শেয়ার নেন। প্রাথমিক মূলধন নির্ধারণ করা হয় ১ কোটি টাকা।

২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর সৈয়দ সামস বার্ডস আই মাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গান বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের (প্রস্তাবিত) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় আমানুল্লাহ খানের বাসায় যান বাদী। রবিশঙ্কর মৈত্রী ও এম আমানুল্লাহ খানের অনুরোধে তিনি ওই বাসায় গিয়েছিলেন।

আনুমানিক রাত ৮টার দিকে আসামি কৌশিক হোসেন তাপস, ফারজানা মুন্নী, সৈয়দ নাবিল আশরাফসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪ / ৫ জন কিছু কাগজ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। তাপস ও নাবিলের হাতে থাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অন্যদের সহায়তায় বাদী ও বদরুদ্দোজা সাগরকে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বলা হয়।

আসামিদের কথায় বাদী বুঝতে পারেন, তাঁরা বার্ডস আই মাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনে বাদী ও বদরুদ্দোজা সাগরের ৮ হাজার শেয়ারের মালিকানা আত্মসাৎ করবেন। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচতে তাঁরা কাগজে স্বাক্ষর করেন। বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে কারও কাছে বললে প্রাণনাশের হুমকি দেন আসামিরা।

প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত