খুলনার দাকোপে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ১৫টি স্থানে ভাঙন

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদীতে পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় খুলনার দাকোপে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ১৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শিগগিরই এই ভাঙনগুলোর সংস্কার করা না হলে যে কোনো সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে প্লাবিত হতে পারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এতে রয়েছে আমনসহ জান মালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো শিগগিরই সংস্কার করা হোক। 

সরেজমিনে আজ মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওয়াপদা বেড়িবাঁধের খলিশা, মধ্যপানখালী, জাবেরের খেয়াঘাট, খোনা, গড়খালী, মোজামনগর, ঝালবুনিয়া, দক্ষিণ কামিনিবাসিয়া, উত্তর কামিনিবাসিয়া, বটবুনিয়া, জালিয়াখালী, ভিটেভাঙ্গা, শ্রীনগর, কালীবাড়ি, গুনারী, শিবসার পাড়, কালাবগী, সুতারখালী, চুনকুড়ি, ঢাংমারিসহ অন্তত ১৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ পরিদর্শন করেন। ভাঙন রোধে উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), সিপিপি, ফায়ার সার্ভিস, ইউনিয়ন পরিষদ ও সাধারণ মানুষ ভাঙন কবলিত স্থানে মাটি, বালুর বস্তা ফেলছেন। 

এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপজেলার প্রায় ১৬৮টি ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। অনেক মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তার ওপরে ভেঙে পড়েছে অনেক বড় বড় গাছ। ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপির সদস্যরা সেগুলো সরানোর কাজ করছেন। 

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে সংস্কারের চেষ্টা করছি। যেসব স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে পরবর্তী সময়ে স্থায়ীভাবে সেসব স্থানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘সিত্রাং মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের উদ্ধার দল ও চিকিৎসাসেবা দল সকাল থেকে মাঠে কাজ করছে। 
ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ওয়াপদা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেগুলো প্রাথমিকভাবে সংস্কার করার চেষ্টা চলছে।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত