Ajker Patrika

কেশবপুরে চার মাস ধরে খুঁড়ে রাখা কাঁচা রাস্তা পাকা হবে কবে

কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫: ৫৮
কেশবপুরে চার মাস ধরে খুঁড়ে রাখা কাঁচা রাস্তা পাকা হবে কবে

যশোরের কেশবপুরে চার মাস ধরে ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি বৃষ্টিতে ওই রাস্তা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় এই পথে চলাচলকারী জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের নুড়িতলা-গড়ভাঙ্গা সড়কের ইশরাত আলী মাস্টারের বাড়ি থেকে গড়ভাঙ্গা বাজার পর্যন্ত ৮৬০ মিটার মাটির রাস্তা পাকাকরণের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়। যশোরের বনান্তর ট্রেডিং নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ করছে। এপ্রিল মাসে নতুন এই রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। তবে শুরু থেকেই এ কাজে ধীরগতি রয়েছে। রাস্তাটি চার মাস ধরে খুঁড়ে (বক্স কাটিং) রেখে বর্তমানে বালু ফেলার কাজ চলছে।

গত বুধবার বৃষ্টির পর খুঁড়ে রাখা রাস্তাটি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এ কারণে উপজেলার বেলকাটি, সাগদত্তকাটি, পাঁচবাকাবর্শী, গড়ভাঙ্গা, ইমাননগর, মুজগুন্নিসহ ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

রাস্তার পানি সেচ দেওয়ার সময় বেলকাটি গ্রামের জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মশিয়ার রহমান (৫৯) বলেন, বৃষ্টি হলেই খুঁড়ে রাখা রাস্তায় পানি জমে যায়। এলাকাবাসীর যাতায়াতের জন্য জলাবদ্ধ পানি সেচ দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়।

রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী রনি হোসেন বলে, দীর্ঘদিন রাস্তা খুঁড়ে রাখার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত।

পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলু বলেন, ‘গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য খুঁড়ে রাখা হয়। তাতে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি হয়। এই সময়ের মধ্যে ওই রাস্তা দিয়ে ১০ গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঠিকাদারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এ জন্য এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।’

সড়কের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বনান্তর ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ কোনো মাটির রাস্তা পিচ (পাকাকরণ) করতে হলে একটু সময় দিতে হয়। তবে রাস্তাটি খোঁড়ার পর বালু দিতে দেরি হওয়ায় একটু বেশি সময় লেগে গেছে। আজ শুক্রবার বালু ফেলানোর কাজ শেষ হলেই পর্যায়ক্রমে রাস্তাটি পাকাকরণে অন্যান্য কাজ করা হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মুকুল হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পাকা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে রাস্তাটির কাজ শেষ করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর। আগামী এপ্রিলের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। বালু ফেলতে দেরি হওয়ায় কাজে ধীরগতি। ঠিকাদারকে কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাকা ছাড়তে পুলিশের আবেদনের হিড়িক

৭ কোটির খরচ ২৫ কোটি দেখিয়েছে বিসিবি

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ৪ কোটি টাকা নেন সিআইডি কর্মকর্তা: সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

বাংলাদেশিদের জীবন ধ্বংসকারী সমস্যা মোকাবিলায় গণতন্ত্র-নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘে চিঠি লিখলেন মুঘল সম্রাটের বংশধর, সুরক্ষা চাইলেন আওরঙ্গজেবের সমাধির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত