Ajker Patrika

কেশবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওসির বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা, তদন্তের নির্দেশ

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মে ২০২৪, ১১: ২৫
কেশবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওসির বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা, তদন্তের নির্দেশ

যশোরের কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে তিনজনের নামে গতকাল বুধবার মামলা হয়েছে আদালতে। অভিযুক্তরা হলেন কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ।

গতকাল বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক। মামলার বাদী কেশবপুর মধ্যকুল গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ২১৪ জন মালিকের কাছ থেকে ৪৫০ বিঘা জমি এক কোটি আশি লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেন। তারপর সেখানে মাছ চাষ শুরু করেন। ওই জমির গা ঘেঁষে মফিজুর রহমান মফিজ ১০০ কৃষকের কাছ থেকে তাঁদের জমি লিজ নিয়ে ঘের করার জন্য চুক্তি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মফিজুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান আসাদ জাহাঙ্গীরের লিজ নেওয়া জমি তাঁদের কাছে হস্তান্তরের জন্য হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। এ বিষয় নিয়ে বাদী কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলে থানা তা গ্রহণ করেনি।

সর্বশেষ গত পয়লা মে থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোর করে জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির রুমে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন ওসি জহির উদ্দিন, মফিজুর রহমান মফিজ ও আসাদ উপস্থিত রয়েছেন। এ সময় ওসি জহির বাদীকে তাঁর জমি মফিজুর রহমান মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। ১৫ দিনের মধ্যে জমি হস্তান্তর করতে হবে, নইলে ওসি জহিরকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। রাজি না হলে বিলের মধ্যে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হবে এবং ক্রসফায়ারের নামে চালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে বাদীর অভিযোগ।

এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন বলেন, মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি আমার জানা নেই।

কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ঘটনার সময় আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ওসির রুমে চাঁদা দাবি করার প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ফাঁসাচ্ছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত