Ajker Patrika

পানি সংকটে জাগ দিতে না পারায় মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
পানি সংকটে জাগ দিতে না পারায় মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট

বর্ষার ভরা মৌসুমেও নেই বৃষ্টি। পাট কেটে রাখলেও পানির সংকটে জাগ দিতে পারছেন না কৃষকেরা। অনেক জমির পাট কাটার পর মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি সংকটের কারণে একদিকে যেমন খরচ বেড়েছে অন্যদিকে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পাট চাষিরা।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, বর্ষাতেও খাল-বিল, নদী-নালায় পর্যাপ্ত পানি নেই। পানি সংকটের কারণে এখনো হাজার হাজার বিঘা জমির পাট কাটার পর মাঠেই পড়ে আছে। কিছু চাষিরা গরু বা মহিষের গাড়িতে করে যেসব এলাকায় পানি আছে সেখানে পচানোর জন্য জাগ দিতে নিয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক শ্যালো মেশিন ও মোটরের পানি দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। অনেকে অন্যের পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন।

আরও দেখা গেছে, পুরুষেরা পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকলেও নারীরা খড়ি থেকে আঁশ আলাদা করার কাজে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।

বিঘা প্রতি জমির পাট কাটতে ও পাটের বোঝা মাথায় করে রাস্তায় ওঠানোর মজুরি নিচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। এদিকে সেচ নির্ভর পাট বোনা থেকে ফসল ঘরে ওঠানো পর্যন্ত ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা।

উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘এবার ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দিতে বিপাকে পড়েছি। আমার জমির অনেক কাটা পাট জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে।’ 

উপজেলার হরিহরা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ৩ বিঘা জমিতে পাঠ চাষ করেছি। ফলন আশানুরূপ হলেও পাট বীজ বোনা থেকে শুরু করে ঘরে তুলতে যা খরচ হচ্ছে তাতে কষ্টই বৃথা। তারপর আবার বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দিতে হিমশিম খাচ্ছি। পানি সংকটের কারণে আমি ১ বিঘা জমির পাট এখনো জাগ দিতে পারিনি।’ 

শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসউজ্জামান খান বলেন, হিসাব মতে এবার প্রায় ৮ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। উপজেলাতে এবার পাট ভালো হয়েছে। তবে এবার ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত