ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে (মসিক) সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর একনেক সভায় এ বিষয়ে বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে উন্নয়নকাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এতে সৃষ্টি হয়েছে নাগরিক দুর্ভোগ। সেই সঙ্গে ১০০ কোটি টাকার কাজ বাতিল করায় দুর্ভোগ বেড়েছে আরও।
২০১৮ সালে মসিক গঠিত হয়। নবগঠিত সিটির উন্নয়নে সরকার ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কসহ নাগরিক সেবা উন্নতকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪৭৫ কিলোমিটার সড়ক, ৩৪৫ কিলোমিটার ড্রেন, প্রায় ১৭ কিলোমিটার ফুটপাত, ৩৭ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ১ দশমিক ১০ কিলোমিটার সড়ক বিভাজক, ৩টি সেতু, ১৩টি কালভার্ট ও ৬টি পদচারী-সেতু নির্মাণের কথা।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পর কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়েছেন অনেক ঠিকাদার। ফলে বাতিল করা হয়েছে ৮টি প্যাকেজে প্রায় শতকোটি টাকার কাজ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে বাসিন্দাদের।
মসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আজহারুল হক বলেন, শর্ত অনুযায়ী গড়ে ২০-৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখন বাকি কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নগরীর কেওয়াটখালী ১৯ ও ২০ ওয়ার্ডের সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ছয় মাস না যেতেই বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। এতে প্রায় দুই বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। শুধু কেওয়াটখালী নয়; নগরের ভাটিকাশর, বলাশপুর, গোহাইলকান্দি, নতুনবাজার সড়কেরও একই অবস্থা।
বলাশপুর এলাকার হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কারিতাসের মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি তিন বছর ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এই এক কিলোমিটার রাস্তা ও ড্রেন অসম্পন্ন থাকায় আমাদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।’
স্থানীয় দোকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাটিকাশর আলিয়া মাদ্রাসা রোড থেকে বিনার বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি এই রাস্তার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কিন্তু কাজ শুরু হলেও আবার কয়েক দফা বন্ধ হয়। সবশেষ ৫ আগস্টের পর থেকে ঠিকাদার আসতে দেখিনি।’
ফরিদপুর জান্নাত কনস্ট্রাকশনের ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হক বলেন, ‘নানা কারণে নতুন বাজারের কাজ শেষ করতে পারিনি। আবার শুরু করেছি, আশা করছি দ্রুত কাজ শেষ হবে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘বিগত সময়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে বেশি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। আমরা চাই অসম্পন্ন কাজ দ্রুত শেষ হোক।’
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী সুমনা আল মজীদ বলেন, চলমান ৮৬টি প্যাকেজের মধ্যে ঠিকাদারের অনুপস্থিতিসহ নানা কারণে ৮টি প্যাকেজ বাতিল করা হয়েছে। কাজগুলো যথাসময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে (মসিক) সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর একনেক সভায় এ বিষয়ে বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে উন্নয়নকাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এতে সৃষ্টি হয়েছে নাগরিক দুর্ভোগ। সেই সঙ্গে ১০০ কোটি টাকার কাজ বাতিল করায় দুর্ভোগ বেড়েছে আরও।
২০১৮ সালে মসিক গঠিত হয়। নবগঠিত সিটির উন্নয়নে সরকার ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সড়ক উন্নয়ন ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কসহ নাগরিক সেবা উন্নতকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪৭৫ কিলোমিটার সড়ক, ৩৪৫ কিলোমিটার ড্রেন, প্রায় ১৭ কিলোমিটার ফুটপাত, ৩৭ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল, ১ দশমিক ১০ কিলোমিটার সড়ক বিভাজক, ৩টি সেতু, ১৩টি কালভার্ট ও ৬টি পদচারী-সেতু নির্মাণের কথা।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পর কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়েছেন অনেক ঠিকাদার। ফলে বাতিল করা হয়েছে ৮টি প্যাকেজে প্রায় শতকোটি টাকার কাজ। এতে ভোগান্তি বেড়েছে বাসিন্দাদের।
মসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আজহারুল হক বলেন, শর্ত অনুযায়ী গড়ে ২০-৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখন বাকি কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নগরীর কেওয়াটখালী ১৯ ও ২০ ওয়ার্ডের সড়ক ও ড্রেনের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ছয় মাস না যেতেই বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। এতে প্রায় দুই বছর ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। শুধু কেওয়াটখালী নয়; নগরের ভাটিকাশর, বলাশপুর, গোহাইলকান্দি, নতুনবাজার সড়কেরও একই অবস্থা।
বলাশপুর এলাকার হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কারিতাসের মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি তিন বছর ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এই এক কিলোমিটার রাস্তা ও ড্রেন অসম্পন্ন থাকায় আমাদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।’
স্থানীয় দোকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাটিকাশর আলিয়া মাদ্রাসা রোড থেকে বিনার বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি এই রাস্তার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কিন্তু কাজ শুরু হলেও আবার কয়েক দফা বন্ধ হয়। সবশেষ ৫ আগস্টের পর থেকে ঠিকাদার আসতে দেখিনি।’
ফরিদপুর জান্নাত কনস্ট্রাকশনের ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল হক বলেন, ‘নানা কারণে নতুন বাজারের কাজ শেষ করতে পারিনি। আবার শুরু করেছি, আশা করছি দ্রুত কাজ শেষ হবে।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘বিগত সময়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে বেশি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে। আমরা চাই অসম্পন্ন কাজ দ্রুত শেষ হোক।’
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী সুমনা আল মজীদ বলেন, চলমান ৮৬টি প্যাকেজের মধ্যে ঠিকাদারের অনুপস্থিতিসহ নানা কারণে ৮টি প্যাকেজ বাতিল করা হয়েছে। কাজগুলো যথাসময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
রংপুরের কাউনিয়ায় পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে মামলা দায়ের করা হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ মিনিট আগেতারা মিয়া বলেন, ‘আজ পাঁচ দিন যাবৎ মেয়েটি নিখোঁজ রয়েছে। থানায় জিডি করেছি। এরপর একটি ভিডিও দেখেছি। যেখানে ওকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। কিন্তু তাকে এখনো পাওয়া যায়নি। জানি না সে কোথায় কীভাবে আছে।’
৭ মিনিট আগেমা মারা যান ২০০৭ সালে। তখন থেকে মামা-মামির কাছে থাকেন প্রতিবন্ধী তরুণ আবু রায়হান (২২)। এর মধ্যেই বাবাকেও হারান। সারা দিন অ্যাকশন মুভি দেখে সময় কাটে তাঁর। আজ সকালেও অ্যাকশন মুভি দেখছিলেন। সেখানে ছুরিকাঘাতের দৃশ্য দেখে নিজ পেটেও ছুরি চালিয়েছেন তিনি।
১৩ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার মামলায় স্বামী নুরুল আমিন সবুজকে (৫৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে