ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড জটিলতায় নির্ধারিত সময়েও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনতে পারেননি সহস্রাধিক সুবিধাভোগী। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুক্তভোগীদের নিজেদের ভুলের কারণেই এমনটি হয়েছে। ভুল সংশোধনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে পণ্য ক্রয় নিশ্চিতকরণের কথা জানিয়েছে সিটি করপোরেশন ও টিসিবি কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গল ও গতকাল বুধবার দুই দিনব্যাপী ময়মনসিংহে সুলভ মূল্যে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে সুবিধাভোগী ৪৩ হাজার ৩৪৫ জন এবং জেলার ১৩টি উপজেলায় ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৯ জন। কিন্তু স্মার্ট কার্ডের নানা জটিলতায় নগরীতে সহস্রাধিক সুবিধাভোগী পণ্য কিনতে পারেনি। কিউআর কোড এবং মোবাইল নম্বর সঠিক না হওয়ায় পণ্য ক্রয় করতে এসে তাঁরা ফেরত গেছেন। অনেকে মারা যাওয়ার কারণে তাঁর কার্ডটি অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারছেন না; আবার কার্ডধারী অনেকের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যাঁরা স্মার্ট কার্ডে পণ্য ক্রয় করেছেন, তাঁরা এটিকে সহজ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন।
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পণ্য বিক্রির দ্বিতীয় দিনে দু-একজন স্মার্ট কার্ডধারী সুলভ মূল্যে তেল, ডাল ও চিনি ক্রয় করছেন। ৩৯০ টাকায় দুই কেজি তেল, দুই কেজি ডাল এবং এক কেজি চিনি ক্রয় করতে পারছেন তাঁরা। আবার অনেকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে এলেও কিউআর কোড এবং মোবাইল নম্বর না মেলায় পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না।
নগরীর গোলপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘এসেছিলাম পণ্য ক্রয় করতে। কিন্তু তথ্য ভুলের কারণে কার্ডটি চালু হয়নি বলছে এখানকার লোকজন। তাই বাধ্য হয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। আমার স্বামী নেই, পরিবারের আট সদস্য নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হয়। কিছুটা কম দামে পণ্য পেলে খুবই ভালো হতো।’
একই এলাকার সোহাগ মজুমদার বলেন, ‘আমার মা সুমিত্রা মজুমদারের নামে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হয়েছে। কার্ডে যে নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেটি হারিয়ে গেলে সিমটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয় অফিস। সেই জন্য কার্ডটি অনলাইনে শো না করায় পণ্য ক্রয় করতে পারিনি। পরে নতুন একটি সিম কিনে ওয়ার্ড অফিসে জমা দিই। তারা বলছে, সংশোধন হতে কিছুটা সময় লাগবে।’
ময়মনসিংহ নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কম্পিউটার অপারেটর প্রবীর রঞ্জন ধর রাজন বলেন, এর আগে হলুদ কার্ড দিয়ে পণ্য ক্রয়কারীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৩৩ জন। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ১ হাজার ৪০৬ জনে। এর মধ্যে ১৭৫টি কার্ড এখনো আমাদের হাতে রয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৫ জন, ৫০ জনের মোবাইল ফোন বন্ধ এবং ১০০ জন মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। নম্বর জটিলতায় ১১টি কার্ড সংশোধন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পণ্য বিতরণের প্রথম দিনে ১ হাজার ১০৯ জন পণ্য নিয়েছেন।’
রানা স্টোরের স্বত্বাধিকারী ডিলার মঞ্জুরুল কাদের রানা বলেন, ‘কার্ড সচল করা ছাড়া পণ্য বিক্রি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যাদের কার্ডে জটিলতা আছে, তাদের পণ্য দিতে পারছি না। তবে এর সংখ্যা কম। অবিক্রীত পণ্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেব।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা উম্মে হালিমা বলেন, দুই দিনব্যাপী টিসিবির পণ্য বিক্রি হলেও জটিলতার কারণে অনেক স্মার্ট কার্ডধারী পণ্য ক্রয় করতে পারেনি। তবে কিছু ওয়ার্ডে আজ বৃহস্পতিবারও পণ্য বিক্রি করা হবে। ত্রুটিপূর্ণ কার্ড সংশোধনের পাশাপাশি যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের কার্ডটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে দেওয়া হবে।
টিসিবি ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ কার্ড নম্বর জটিলতার কারণে চালু হয়নি। তাঁদের নম্বর পরিবর্তন করে সংশোধন করা হবে। প্রচারণার পরেও দুই দিনে যাঁরা পণ্য নিতে আসেননি, তাঁরা আর এই পণ্য ক্রয় করতে পারবেন না। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫৮৭ টাকার প্যাকেজে খেজুর, ছোলা, মসুর ডাল, তেল এবং চিনি বিক্রি করা হবে ট্রাকের মাধ্যমে। সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড জটিলতায় নির্ধারিত সময়েও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কিনতে পারেননি সহস্রাধিক সুবিধাভোগী। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুক্তভোগীদের নিজেদের ভুলের কারণেই এমনটি হয়েছে। ভুল সংশোধনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে পণ্য ক্রয় নিশ্চিতকরণের কথা জানিয়েছে সিটি করপোরেশন ও টিসিবি কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গল ও গতকাল বুধবার দুই দিনব্যাপী ময়মনসিংহে সুলভ মূল্যে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে সুবিধাভোগী ৪৩ হাজার ৩৪৫ জন এবং জেলার ১৩টি উপজেলায় ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৯ জন। কিন্তু স্মার্ট কার্ডের নানা জটিলতায় নগরীতে সহস্রাধিক সুবিধাভোগী পণ্য কিনতে পারেনি। কিউআর কোড এবং মোবাইল নম্বর সঠিক না হওয়ায় পণ্য ক্রয় করতে এসে তাঁরা ফেরত গেছেন। অনেকে মারা যাওয়ার কারণে তাঁর কার্ডটি অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারছেন না; আবার কার্ডধারী অনেকের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যাঁরা স্মার্ট কার্ডে পণ্য ক্রয় করেছেন, তাঁরা এটিকে সহজ ও স্বচ্ছ পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন।
গতকাল বুধবার সকালে নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পণ্য বিক্রির দ্বিতীয় দিনে দু-একজন স্মার্ট কার্ডধারী সুলভ মূল্যে তেল, ডাল ও চিনি ক্রয় করছেন। ৩৯০ টাকায় দুই কেজি তেল, দুই কেজি ডাল এবং এক কেজি চিনি ক্রয় করতে পারছেন তাঁরা। আবার অনেকে স্মার্ট কার্ড নিয়ে এলেও কিউআর কোড এবং মোবাইল নম্বর না মেলায় পণ্য ক্রয় করতে পারছেন না।
নগরীর গোলপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘এসেছিলাম পণ্য ক্রয় করতে। কিন্তু তথ্য ভুলের কারণে কার্ডটি চালু হয়নি বলছে এখানকার লোকজন। তাই বাধ্য হয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে। আমার স্বামী নেই, পরিবারের আট সদস্য নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হয়। কিছুটা কম দামে পণ্য পেলে খুবই ভালো হতো।’
একই এলাকার সোহাগ মজুমদার বলেন, ‘আমার মা সুমিত্রা মজুমদারের নামে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হয়েছে। কার্ডে যে নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেটি হারিয়ে গেলে সিমটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয় অফিস। সেই জন্য কার্ডটি অনলাইনে শো না করায় পণ্য ক্রয় করতে পারিনি। পরে নতুন একটি সিম কিনে ওয়ার্ড অফিসে জমা দিই। তারা বলছে, সংশোধন হতে কিছুটা সময় লাগবে।’
ময়মনসিংহ নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কম্পিউটার অপারেটর প্রবীর রঞ্জন ধর রাজন বলেন, এর আগে হলুদ কার্ড দিয়ে পণ্য ক্রয়কারীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৩৩ জন। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ১ হাজার ৪০৬ জনে। এর মধ্যে ১৭৫টি কার্ড এখনো আমাদের হাতে রয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৫ জন, ৫০ জনের মোবাইল ফোন বন্ধ এবং ১০০ জন মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। নম্বর জটিলতায় ১১টি কার্ড সংশোধন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পণ্য বিতরণের প্রথম দিনে ১ হাজার ১০৯ জন পণ্য নিয়েছেন।’
রানা স্টোরের স্বত্বাধিকারী ডিলার মঞ্জুরুল কাদের রানা বলেন, ‘কার্ড সচল করা ছাড়া পণ্য বিক্রি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যাদের কার্ডে জটিলতা আছে, তাদের পণ্য দিতে পারছি না। তবে এর সংখ্যা কম। অবিক্রীত পণ্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেব।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা উম্মে হালিমা বলেন, দুই দিনব্যাপী টিসিবির পণ্য বিক্রি হলেও জটিলতার কারণে অনেক স্মার্ট কার্ডধারী পণ্য ক্রয় করতে পারেনি। তবে কিছু ওয়ার্ডে আজ বৃহস্পতিবারও পণ্য বিক্রি করা হবে। ত্রুটিপূর্ণ কার্ড সংশোধনের পাশাপাশি যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের কার্ডটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে দেওয়া হবে।
টিসিবি ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ কার্ড নম্বর জটিলতার কারণে চালু হয়নি। তাঁদের নম্বর পরিবর্তন করে সংশোধন করা হবে। প্রচারণার পরেও দুই দিনে যাঁরা পণ্য নিতে আসেননি, তাঁরা আর এই পণ্য ক্রয় করতে পারবেন না। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫৮৭ টাকার প্যাকেজে খেজুর, ছোলা, মসুর ডাল, তেল এবং চিনি বিক্রি করা হবে ট্রাকের মাধ্যমে। সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ‘একক বাস কোম্পানি’ হিসেবে নগর পরিবহন চালু করেছিল ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। কিন্তু এই সেবাও সড়কে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এক রুট চালু হচ্ছে তো,
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় বাগদা চিংড়ির ঘেরে মড়ক লেগেছে। এতে দিশেহারা চাষিরা। বছরের শুরুতে মড়ক লাগায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরার অভিযোগ উঠলেও মৎস্য বিভাগের দাবি, ঘেরে পানি কমে যাওয়ায় দাবদাহে মরে যাচ্ছে মাছ।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে পদে পদে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নামজারি, নাম সংশোধনসহ ভূমি-সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে পকেট কাটা হচ্ছে সেবাপ্রার্থীদের। এই ঘুষ-বাণিজ্যের হোতা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিরাজ হোসেন, সায়রাত সহকারী আব্দুল
৪ ঘণ্টা আগেথেমে নেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। দেয়াঙ পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতির পালের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী—দুই উপজেলার গ্রামবাসী। ৭ বছর ধরে বন্য হাতির তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। তবে গতকাল রোববার ভোরে হাতিগুলো নিজেরাই বাঁশখালীর বনে ফিরে গেছে বলে দাবি করেছে বন বিভাগ।
৫ ঘণ্টা আগে