কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে হয় জমির আইল দিয়ে

প্রতিনিধি, ভাঙ্গুরা (পাবনা)
Thumbnail image

চারপাশে ফসলের খেত। মাঝখানে কমিউনিটি ক্লিনিক। নেই কোন সংযোগ সড়ক। আবাদি জমির আইল দিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। সামান্য বৃষ্টি হলে সৃষ্টি হয় চরম ভোগান্তির। বর্ষাকালে ক্লিনিকটির ভেতরে পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হয় স্বাস্থ্যসেবা। 

পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের চিত্র এটি। এখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিনা মূল্যে ওষুধ মিললেও সড়কের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। 

জানা গেছে, সরকারের গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ২০১২ সালে এখানে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়কের পাশে জায়গা না পেয়ে সেই বছরই জনৈক ব্যক্তির দানকৃত নদীপাড়া সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফসলি জমিতে ক্লিনিকটির ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর যাতায়াতের জন্য ১০০ গজ মাটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু ফসলি জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দেন জমির মালিকেরা। 

এ অবস্থায় ক্লিনিকের সংযোগ সড়কের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন করেন গ্রামবাসী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ইউএনও শামছুল আলম সরেজমিন গিয়ে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু জমির মালিকদের বাঁধায় ফের বন্ধ হয়ে যায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা। 

এ গ্রামের বাসিন্দা পাবনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাকারিয়া খান মানিক বলেন, সড়ক না থাকায় ক্লিনিকে রোগীদের যাতায়াতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নির্বিঘ্ন করতে একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রয়োজন। 

ওই গ্রামের মাসুম সরকার বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কোন সংযোগ সড়ক না থাকায় অন্যের জমির আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।' বেতুয়ান কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে নিয়মিত ৫০ / ৬০ জন রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’ 

এ ব্যাপারে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ বলেন, 'একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে জমির মালিকদের বাঁধার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।' 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত