পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে এনআইডিতে (জাতীয় পরিচয়পত্র) মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক না করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে পঞ্চগড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জেলার পর্দানশিন নারী সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে তাঁরা স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
পঞ্চগড়ে এনআইডিতে (জাতীয় পরিচয়পত্র) মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক করা যাবে না। ধর্মীয় অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে চেহারার বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) দিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার দাবিতে পঞ্চগড়ে সমাবেশ করেছে পঞ্চগড় জেলার পর্দানশিন নারী সমাজ। আজ রোববার সকালে পঞ্চগড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। পরে তারা সমাবেশ শেষে পর্দাশীল নারীরা স্থানীয় নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, ইসির কিছু কর্মকর্তা শুধু মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন, যা একধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ। এতে পর্দানশিন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। তারপরও এই দেশে পরিপূর্ণ পর্দা করতে গেলে পর্দানশিন নারীদের প্রতিনিয়ত নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে সরকারি-বেসরকারি প্রতি ক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। পর্দানশিন নারীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক ও নাগরিক অধিকার আটকে রেখে ছবি তুলতে ও চেহারা দেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
পর্দানশিন নারীরা এত দিন তাঁদের কষ্টের কথাগুলো বলতে পারেননি। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে এমন দাঁড়িয়েছে, পর্দানশিন নারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাঁরা আর চুপ থাকতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়েছেন রাস্তায় নামতে। তাদের কষ্টের কথাগুলো সবাইকে জানাতে। অসংখ্য পর্দানশিন নারী এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি। এসব নারীর পিতা-মাতা বাংলাদেশি এবং তারা নিজেরাও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। তা সত্ত্বেও শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীরা বলেন, গত ১৬ বছর ধরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সাবেক কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধু মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। মুখচ্ছবির অজুহাত দিয়ে সেসব নারীর এই অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। নারীরা বেপর্দা হলে শিক্ষা পাবে, নয়তো পাবে না—এমন অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে।
কর্মসূচির আহ্বায়ক মমতাজ বেগম বলেন, একজন নারী ছবি তুললে দুটি গুনাহ হয়; একটি ছবি তোলার গুনাহ, অন্যটি বেপর্দা হওয়ার গুনাহ। আবার ওই ছবিটি পরবর্তী সময়ে যতজন বেগানা পুরুষ দেখবে, বেপর্দা হওয়ার গুনাহ তত বাড়তেই থাকবে। এমনকি মৃত্যুর পরও ওই ছবির কারণে বেপর্দার গুনাহ জারি থাকবে। পর্দানশিন নারীরা সেই গুনাহ থেকে বাঁচতে চান। কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রে মৌলিক অধিকার আটকে রেখে পর্দানশিন নারীদের গুনাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তার ধর্মীয় বা দ্বীনি অধিকারের লঙ্ঘন।
কর্মসূচি থেকে পর্দানশিন নারীদের পক্ষে কয়েকটি দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো, ১৬ বছর ধরে যেসব সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা; পর্দানশিন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা; সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা। এবং পর্দানশিন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ায় সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখা।
পঞ্চগড়ে এনআইডিতে (জাতীয় পরিচয়পত্র) মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক না করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে পঞ্চগড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জেলার পর্দানশিন নারী সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে তাঁরা স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
পঞ্চগড়ে এনআইডিতে (জাতীয় পরিচয়পত্র) মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক করা যাবে না। ধর্মীয় অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে চেহারার বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) দিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার দাবিতে পঞ্চগড়ে সমাবেশ করেছে পঞ্চগড় জেলার পর্দানশিন নারী সমাজ। আজ রোববার সকালে পঞ্চগড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। পরে তারা সমাবেশ শেষে পর্দাশীল নারীরা স্থানীয় নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় তাঁরা বলেন, ইসির কিছু কর্মকর্তা শুধু মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন, যা একধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ। এতে পর্দানশিন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। তারপরও এই দেশে পরিপূর্ণ পর্দা করতে গেলে পর্দানশিন নারীদের প্রতিনিয়ত নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে সরকারি-বেসরকারি প্রতি ক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। পর্দানশিন নারীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক ও নাগরিক অধিকার আটকে রেখে ছবি তুলতে ও চেহারা দেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
পর্দানশিন নারীরা এত দিন তাঁদের কষ্টের কথাগুলো বলতে পারেননি। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে এমন দাঁড়িয়েছে, পর্দানশিন নারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাঁরা আর চুপ থাকতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়েছেন রাস্তায় নামতে। তাদের কষ্টের কথাগুলো সবাইকে জানাতে। অসংখ্য পর্দানশিন নারী এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি। এসব নারীর পিতা-মাতা বাংলাদেশি এবং তারা নিজেরাও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। তা সত্ত্বেও শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারীরা বলেন, গত ১৬ বছর ধরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সাবেক কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধু মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। মুখচ্ছবির অজুহাত দিয়ে সেসব নারীর এই অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। নারীরা বেপর্দা হলে শিক্ষা পাবে, নয়তো পাবে না—এমন অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে।
কর্মসূচির আহ্বায়ক মমতাজ বেগম বলেন, একজন নারী ছবি তুললে দুটি গুনাহ হয়; একটি ছবি তোলার গুনাহ, অন্যটি বেপর্দা হওয়ার গুনাহ। আবার ওই ছবিটি পরবর্তী সময়ে যতজন বেগানা পুরুষ দেখবে, বেপর্দা হওয়ার গুনাহ তত বাড়তেই থাকবে। এমনকি মৃত্যুর পরও ওই ছবির কারণে বেপর্দার গুনাহ জারি থাকবে। পর্দানশিন নারীরা সেই গুনাহ থেকে বাঁচতে চান। কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রে মৌলিক অধিকার আটকে রেখে পর্দানশিন নারীদের গুনাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তার ধর্মীয় বা দ্বীনি অধিকারের লঙ্ঘন।
কর্মসূচি থেকে পর্দানশিন নারীদের পক্ষে কয়েকটি দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো, ১৬ বছর ধরে যেসব সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা; পর্দানশিন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ন রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা; সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা। এবং পর্দানশিন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ায় সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে এক প্রকৌশলীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক বিরোধের ‘জের’ হিসেবে দেখছেন নিহত মিনহাজুর রহমানের (২৫) বন্ধু ও স্বজনেরা।
৪ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা একটি চুরির মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করতে গিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে সরকারি কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেএকসময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেও চাকরি হারানোর ভয় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেসারা দেশে ২০২৪ সালে ২৬ হাজার ৬৫৯টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। দিনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে গড়ে ৭৩টি। এই আগুনের ঘটনা বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাস-সংক্রান্ত কারণে বেশি ঘটেছে।
৬ ঘণ্টা আগে