Ajker Patrika

সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিল পুলিশ, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ৩৩
সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিল পুলিশ, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় গ্রেপ্তারকৃত এক মাদক কারবারির ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোর্শেদুলের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ লাঞ্ছিত করা হয়। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার এস এস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকেরা। এর আগে বেলা ১টার দিকে হাতীবান্ধা থানায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মোর্শেদুল হাতীবান্ধা থানার এএসআই। ভুক্তভোগী সাংবাদিক হলেন স্থানীয় একটি দৈনিকের হাতীবান্ধা প্রতিনিধি মাজারুল ইসলাম রিফাত। 

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কলেজ এলাকা থেকে আনোয়ারা বেগম নামে এক নারী মাদক কারবারিকে সাত বোতল ফেনিসিডিলসহ আটক করে পুলিশ। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়েরের পর আজ বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট আদালতে নেওয়ার জন্য থানা থেকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় ছবি ও ভিডিও নিচ্ছিলেন সাংবাদিক রিফাত। 

এ সময় ওই পুলিশ সদস্য তেড়ে এসে তাঁর ক্যামেরা কেড়ে নেন। শুধু ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হননি। ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ লাঞ্ছিত করেন। 

সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ সদস্যের বিচার ও প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে হাতীবান্ধা থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকেরা বিক্ষোভ থেকে সরে যান। 

সাংবাদিকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাজারুল ইসলাম রিফাত বলেন, ‘হাতীবান্ধা থানা থেকে একজন নারী মাদক কারবারিকে আদালতের পাঠানোর চিত্র ধারণ করতে গেলে পুলিশের ওই এএসআই এসে বাধা দেয়। পরে ক্যামেরা কেড়ে নেয়। এরপর আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি থানার ভেতরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।’ 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক বলেন, ‘সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার অধিকার পুলিশ রাখে না। আমরা সাংবাদিকেরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’ 

এ ছাড়া জেলা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রত্যাহারের দাবি করছি। 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার পরির্দশক (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, ‘ওসি স্যারসহ অফিশিয়াল কাজে বাইরে ছিলাম। পরে বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ওই পুলিশের এএসআইয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত