ভূরুঙ্গামারীতে সেতু ঝুঁকিপূর্ণ, তবু থামছে না এলাকাবাসীর চলাচল

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
Thumbnail image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, যানবাহন চলাচল নিষেধ’ ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া সেতুর ওপর দিয়ে মানুষের চলাচল অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের মানিককাজী এলাকার ফুলকুমার নদের ওপর সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পক্ষ থেকে এর মুখে ওই ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

ফুলকুমার নদের ওপর প্রায় ৩৩ মিটার লম্বা ও ২ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি নব্বইয়ের দশকে নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি সেতুটির পাটাতন ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া এর একপাশ হেলে পড়াসহ রেলিং ভেঙে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেতু দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করছে। সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, মানিককাজী, পশ্চিম ভোটহাট, পূর্ব ভোটাহাট এবং জয়মনিরহাট ইউনিয়নের শিংঝাড় ও বাউসমারী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া প্রতিদিন কয়েক শ শিক্ষার্থী সেতুটি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে দ্রুত সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

মানিককাজী ঘাটপাড় বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোগ্যপণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ি বাজারে এসে পণ্য দিয়ে যেত। সেতুতে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি বাজারে ঢুকতে পারছে না। ব্যবসায়ীদের উপজেলা সদর থেকে পণ্য আনতে হচ্ছে। তাতে সময় ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। 

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইছাহাক আলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে অনেক আগেই জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।

ভূরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম মাহমুদুর রহমান রোজেন বলেন, সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডির ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেতুটির বর্তমান অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অবগত করা হয়েছে। সয়েল টেস্টসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুরোনো সেতুটি সরিয়ে নিয়ে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত