Ajker Patrika

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বন্যার ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ ইউপি সদস্যদের

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ১৮
ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। ছবি: সংগৃহীত
ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে খাদ্য ও অর্থ সহায়তার (জিআর) চাল নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ৩ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ইউপির ৫ সদস্য।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক অভিযোগ পাওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর নয়ারহাট ইউনিয়নে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারের জন্য জিআরের ২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। এতে মোট ২০০ পরিবারের প্রত্যেকে ১০ কেজি করে চাল পান।

চাল বিতরণের তালিকায় দেখা গেছে,৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পরিষদটির মোট বরাদ্দের সিংহভাগই বিতরণ করা হয়েছে ৪টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে। মোট ২০০ পরিবারের মধ্যে ৪টি ওয়ার্ডের ১৭৭ জন পরিবার পেয়েছেন চাল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোনো পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করা না হলেও বাকি ৪টি ওয়ার্ডের ৩৩ পরিবার জিআরের চাল পেয়েছেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৭ পরিবার, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ পরিবার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ পরিবার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৭ পরিবার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৪০ পরিবার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৩ পরিবার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ পরিবার ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ পরিবার ১০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন পরিবারের নাম থাকলেও তারা চাল পায়নি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একই পরিবারের সব সদস্যের নামে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একই চিত্র দেখা গেছে। ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্যের স্বামী মাইদুল ইসলাম ও তাঁর বোন শাহানাজ বেগম তালিকায় নাম দিয়ে চাল উত্তোলন করেছেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, দু-একটি ওয়ার্ড বাদে বাকি সব ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকাটি ভুয়া। মনগড়া তালিকা করে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ পরিষদের আরও কয়েকজন সদস্যের সহযোগিতায় চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রহমত আলী জানান, তাঁর ওয়ার্ডের ৩ জনের নামে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু তালিকাভুক্ত ওই তিন পরিবার কোনো চাল পাননি।

অভিযোগের বিষয়ে নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের মোবাইল ফোনে কল করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত