আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় জেলার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা, সদরের ব্রহ্মপুত্র, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে জেগে উঠছে অনেক বালুচর। এসব চরে বাদাম চাষ করছেন চাষিরা। এবার বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তাঁরা।
গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় অনেক চাষি এবারও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া চরাঞ্চলে পলি বেশি পড়ায় আগের চেয়ে বাদাম চাষ এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি অফিস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার সদর উপজেলার কুন্দের পাড়া, কড়াইমারি, রায়দাসবাড়ি, খামারগোঘাট, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লাটশাল্লা, কাপাসিয়াচর, বালাসেরা, কাজিয়ার, খয়দার এবং ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ী, আলগা, জিগাবাড়ি, গাবগাছি, খাটিয়ামারি চরাঞ্চলে বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চার উপজেলায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র আর যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে ১৮০ টির মতো চর জেগে উঠেছে। এতে প্রায় ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত বছরের চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। এখনো নতুন করে আরও জমিতে বাদাম আবাদের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বাদাম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একসময় এই চরগুলোতে এভাবে বাদাম চাষ হতো না। ধানের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাদাম চাষে ঝুঁকছেন। বাদাম চাষের কারণে চরের জমির দামও বেড়েছে। এখানকার মানুষের জীবনমানও আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে।
চরাঞ্চলের বাদামচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প সময়ে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। প্রতিবছর বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা পলি মাটির চরে তাঁরা বাদাম চাষ করেন। খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। বাদামখেত থেকে আগাছা কেটে গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। বীজ রোপণের আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়।
সদর উপজেলার কড়াইমারি চরের বাদামচাষি রানা মিয়া বলেন, গত বছর পনেরো বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে লাভ করছি। ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবার সতেরো বিঘা জমিতে বাদাম লাগাইছি। আকাশের অবস্থা ভালো হলে এবারও ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খয়দার চরের বাদামচাষি মো. মগবুল হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙন এলাকার মানুষ হামরা। কয়েকবার আমন ধান লাগাইছিনু। বন্যাত তাক নষ্ট হয়ে গেছে। এখন জমিগুলোত বাদাম করছোম। এ সময়োত বন্যা হবা নয়। আর বাদাম মাটির নিচত হয় পোকামাকড় কামড়াবার পায় না। এ আবাদ ভালো। ওষুধপাতি তেমন একটা দেওয়া নাগে না।’
ফুলছড়ি উপজেলার গাবগাছি চরের বাদামচাষি আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, অল্প খরচে বাদাম চাষ করা যায়। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ দ্বিগুণ। প্রতি একরে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বাদাম তুলে শুধু রোদে শুকালেই অনেক দিন রাখা যায়। ভালো দাম পাওয়ার সাথে সাথেই বিক্রি করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার চারটি উপজেলার চরাঞ্চলে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। ভালো ফলনের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বাদামচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক জায়গায় আমরা প্রদর্শনী করছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’
গাইবান্ধায় জেলার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা, সদরের ব্রহ্মপুত্র, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে জেগে উঠছে অনেক বালুচর। এসব চরে বাদাম চাষ করছেন চাষিরা। এবার বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তাঁরা।
গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় অনেক চাষি এবারও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া চরাঞ্চলে পলি বেশি পড়ায় আগের চেয়ে বাদাম চাষ এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি অফিস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার সদর উপজেলার কুন্দের পাড়া, কড়াইমারি, রায়দাসবাড়ি, খামারগোঘাট, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লাটশাল্লা, কাপাসিয়াচর, বালাসেরা, কাজিয়ার, খয়দার এবং ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ী, আলগা, জিগাবাড়ি, গাবগাছি, খাটিয়ামারি চরাঞ্চলে বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চার উপজেলায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র আর যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে ১৮০ টির মতো চর জেগে উঠেছে। এতে প্রায় ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত বছরের চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। এখনো নতুন করে আরও জমিতে বাদাম আবাদের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বাদাম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একসময় এই চরগুলোতে এভাবে বাদাম চাষ হতো না। ধানের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাদাম চাষে ঝুঁকছেন। বাদাম চাষের কারণে চরের জমির দামও বেড়েছে। এখানকার মানুষের জীবনমানও আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে।
চরাঞ্চলের বাদামচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প সময়ে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। প্রতিবছর বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা পলি মাটির চরে তাঁরা বাদাম চাষ করেন। খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। বাদামখেত থেকে আগাছা কেটে গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। বীজ রোপণের আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়।
সদর উপজেলার কড়াইমারি চরের বাদামচাষি রানা মিয়া বলেন, গত বছর পনেরো বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে লাভ করছি। ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবার সতেরো বিঘা জমিতে বাদাম লাগাইছি। আকাশের অবস্থা ভালো হলে এবারও ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খয়দার চরের বাদামচাষি মো. মগবুল হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙন এলাকার মানুষ হামরা। কয়েকবার আমন ধান লাগাইছিনু। বন্যাত তাক নষ্ট হয়ে গেছে। এখন জমিগুলোত বাদাম করছোম। এ সময়োত বন্যা হবা নয়। আর বাদাম মাটির নিচত হয় পোকামাকড় কামড়াবার পায় না। এ আবাদ ভালো। ওষুধপাতি তেমন একটা দেওয়া নাগে না।’
ফুলছড়ি উপজেলার গাবগাছি চরের বাদামচাষি আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, অল্প খরচে বাদাম চাষ করা যায়। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ দ্বিগুণ। প্রতি একরে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বাদাম তুলে শুধু রোদে শুকালেই অনেক দিন রাখা যায়। ভালো দাম পাওয়ার সাথে সাথেই বিক্রি করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার চারটি উপজেলার চরাঞ্চলে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। ভালো ফলনের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বাদামচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক জায়গায় আমরা প্রদর্শনী করছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৮ ঘণ্টা আগে