মডেল মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৩৬
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৪৮

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা মডেল মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে ভুয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসা দেখিয়ে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্য জনসমাবেশে এমন অভিযোগ তুলে ধরে তাঁর বিচার দাবি করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

গত শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার এই অভিযোগ তোলেন। তাঁর ওই বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

ওই বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, মডেল মসজিদের ইমাম আখেরুজ্জামান আজাদী ভুয়া এতিমখানা দেখিয়ে জিআর (জেনারেল রিলিফ) প্রকল্পের ছয় মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বলেন, যে ইমাম এতিমদের নামে বরাদ্দ চাল আত্মসাৎ করেন, তাঁর পেছনে নামাজ পড়া ঠিক হবে না। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি চাল আত্মসাতের ঘটনায় ইমামের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত জুন মাসে ইমাম আখেরুজ্জামান মিঠাপুকুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং বালুয়া নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম পরিচয় দিয়ে ছয় মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করেন। কিন্তু এই নামে কোনো এতিমখানা নেই। এসব চাল রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। 

এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম নামের একজন মুসল্লি বলেন, তিনি আগে মডেল মসজিদে নামাজ পড়তেন। কিন্তু এখন বাজার জামে মসজিদে নামাজ পড়েন।

শাজাহান আলী নামের ওই মসজিদের এক মুসল্লি বলেন, মসজিদের মুসল্লিরা একত্র হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে ইমামের অপসারণ দাবি করবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ইমামের আচরণে উপজেলা পরিষদ চত্বরের মডেল মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা কমে গেছে।

তবে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইমাম আখেরুজ্জামান আজাদী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি মহল চায় না, আমি মডেল মসজিদে ইমামতি করি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ইমাম আখেরুজ্জামান আজাদীর কাছে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা পেলে ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত