নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে ফের বন্যার শঙ্কায় ৫৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগাম বন্যার সতর্কতা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে ৫৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বেশি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কুয়ারপাড়ে জলাবদ্ধতার পানিতে ভেসে গিয়ে আরাব (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরাব ওই এলাকার বাসিন্দা সাবের আহমদের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৬ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ফের জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বাসা বাড়িতে পানি উঠে যায়। কোথাও রাস্তাঘাটে হাঁটু বা উরু সমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে নগরের মেজরটিলা ইসলামপুর এলাকায় ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। সাধারণ লোকজনকে উরু পানি মাড়িয়েও চলাচল করতে দেখা গেছে। অভিজাত এলাকা খ্যাত শাহজালাল উপশহরে ফের অসংখ্য বাসার নিচ তলায় পানি উঠেছে। বাসা-বাড়ির নিচে সেপটিক ট্যাংকে পানি উঠে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নগরের মীরাবাজার, যতরপুর, আগপাড়া, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সোবহানীঘাট, তেররতন, মেন্দিবাগ, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, দরগামহল্লা, পায়রা, জালালাবাদ, চৌহাট্টা, মিরবক্সটুলা, তালতলা, জামতলা, মনিপুরী রাজবাড়ি, মিরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, বাগবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ভারী বর্ষণের কারণে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এরপর রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ভারি বর্ষণ হয় সিলেটে। এই সময়ে ২২০ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরের বিভিন্ন এলাকায়। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা।
এবার উজানে ভারতের ঢল ও ভারি বর্ষণে সিলেটে নদ নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। দেখা দিতে পারে অকাল বন্যা। ফলে জেলা প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছুটির সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সকল কর্মকর্তাগণকে প্রস্তুতি রাখার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে সতর্ক অবস্থায় থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
এর আগে গত ২৯ মে আগাম বন্যার আগে দুদিন মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮০০ মিলিমিটার। এবার ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও বাংলাদেশের সিলেটে ৫৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) ওয়েব সাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) মাত্র ৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হয়। এতে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আরও ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় ১১.৬০ মিটার ও ৯.৫৮ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় ১২.৫৬ মিটার ও ১০.৩০ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর লুবা নদীর লুবা ছড়া, সারি নদীর সারিঘাট ও ডাউকি নদীর জাফলং পয়েন্ট দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ১১.৯০, ১০.২০ ও ৯.২৯ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২.৯২, ১১.৩৬ ও ১০.১১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। সার্বিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে বন্যা হয়ে যেতে পারে। আগাম বন্যার শঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তরকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সেই সঙ্গে ৫৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলো ২৯ মে বন্যার সময় প্রস্তুত করা হয়।’
সিলেটে ফের বন্যার শঙ্কায় ৫৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগাম বন্যার সতর্কতা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে ৫৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বেশি হতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কুয়ারপাড়ে জলাবদ্ধতার পানিতে ভেসে গিয়ে আরাব (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরাব ওই এলাকার বাসিন্দা সাবের আহমদের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৬ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ফের জলাবদ্ধতার কবলে পড়েন সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। বাসা বাড়িতে পানি উঠে যায়। কোথাও রাস্তাঘাটে হাঁটু বা উরু সমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে নগরের মেজরটিলা ইসলামপুর এলাকায় ভারী বর্ষণে রাস্তাঘাট ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে। সাধারণ লোকজনকে উরু পানি মাড়িয়েও চলাচল করতে দেখা গেছে। অভিজাত এলাকা খ্যাত শাহজালাল উপশহরে ফের অসংখ্য বাসার নিচ তলায় পানি উঠেছে। বাসা-বাড়ির নিচে সেপটিক ট্যাংকে পানি উঠে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নগরের মীরাবাজার, যতরপুর, আগপাড়া, সোনারপাড়া, শিবগঞ্জ, সোবহানীঘাট, তেররতন, মেন্দিবাগ, ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, দরগামহল্লা, পায়রা, জালালাবাদ, চৌহাট্টা, মিরবক্সটুলা, তালতলা, জামতলা, মনিপুরী রাজবাড়ি, মিরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, বাগবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ভারী বর্ষণের কারণে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এরপর রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ভারি বর্ষণ হয় সিলেটে। এই সময়ে ২২০ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরের বিভিন্ন এলাকায়। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা।
এবার উজানে ভারতের ঢল ও ভারি বর্ষণে সিলেটে নদ নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। দেখা দিতে পারে অকাল বন্যা। ফলে জেলা প্রশাসন আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছুটির সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সকল কর্মকর্তাগণকে প্রস্তুতি রাখার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে সতর্ক অবস্থায় থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
এর আগে গত ২৯ মে আগাম বন্যার আগে দুদিন মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮০০ মিলিমিটার। এবার ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণে ভারতের চেরাপুঞ্জি ও বাংলাদেশের সিলেটে ৫৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের (আইএমডি) ওয়েব সাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) মাত্র ৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হয়। এতে ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আরও ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে সিলেট আবহাওয়া অফিস।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় ১১.৬০ মিটার ও ৯.৫৮ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় ১২.৫৬ মিটার ও ১০.৩০ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর লুবা নদীর লুবা ছড়া, সারি নদীর সারিঘাট ও ডাউকি নদীর জাফলং পয়েন্ট দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ১১.৯০, ১০.২০ ও ৯.২৯ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২.৯২, ১১.৩৬ ও ১০.১১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। সার্বিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে বন্যা হয়ে যেতে পারে। আগাম বন্যার শঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তরকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। সবধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। সেই সঙ্গে ৫৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলো ২৯ মে বন্যার সময় প্রস্তুত করা হয়।’
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ নিখোঁজ বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ জেলে এক বছরেও ফেরেননি। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি-না, জানেন না স্বজনেরা। তবু প্রিয়জনের আশায় বুক বেঁধে নীরব অপেক্ষায় দিন কাটছে এসব জেলের পরিবারের সদস্যদের।
৭ মিনিট আগেঅধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
৩৮ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
১ ঘণ্টা আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
১ ঘণ্টা আগে