চৌহাট্টা পয়েন্টকে ‘বিজয় চত্বর’ ঘোষণা করল শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ২০: ১১

সিলেট নগরের চৌহাট্টা পয়েন্ট। পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। প্রগতিশীল আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু এমনকি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনেরও অন্যতম কেন্দ্রস্থল। এবারের ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল এই প্রাণকেন্দ্রটি। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আন্দোলন হয় এই চৌহাট্টা পয়েন্টে। আন্দোলনের বিজয় হওয়ায় এ পয়েন্টটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘বিজয় চত্বর’ নামের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীরা চৌহাট্টার গোল চত্বরটিতে রং তুলি দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন।

লাল-সবুজের পটভূমিতে সাদা হরফে ‘বিজয় চত্বর’ লেখা হয়েছে ষড়ভুজাকৃতির গোল চত্বরে। পাশাপাশি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এবং আন্দোলনের স্মরণে গ্রাফিতি এঁকেছেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের এমন নান্দনিক কর্মযজ্ঞ দেখে পথচারীদের অনেকেই তাদের বিজয় চিহ্ন প্রদর্শন করে অভ্যর্থনা জানান।

চৌহাট্টার চত্বরের নামকরণে কাজ করছেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন রনি। তিনি বলেন, ‘এই গোল চত্বরটিকে আমরা ‘বিজয় চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা করছি। কেননা এই পয়েন্ট থেকেই আমরা স্বৈরাচার পতনের ১ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছি। আগামী প্রজন্মের কাছে এই স্থানটিকে নতুন নামে পরিচিত করিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা সমন্বয়ক-মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমদ শাফিন বলেন, ২০২৪ সালের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষের দিকে চৌহাট্টা হয়ে ওঠে আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল। এ জন্য আমরা চাচ্ছি এই চত্বরটিকে সবাই ‘বিজয় চত্বর’ নামেই চিনুক। পুলিশ বাহিনী এখানে আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছিল। আমরা সেটা প্রতিরোধ করেছি। সরকারের পতন নিশ্চিত হওয়ার পর এখানে গোটা শহরের মানুষ এসে মিলিত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত