ফারুক মেহেদী, ঢাকা
অর্থের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বহীন প্রকল্প ও বরাদ্দে কড়াকড়ি রেখে নতুন অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তৈরি শুরু করেছে সরকার। এডিপিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আর বিনিয়োগের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে বিদেশি সহায়তানির্ভর প্রকল্পে বিশেষ নজর থাকছে। বড় প্রকল্পের চেয়ে বরং ছোট ছোট প্রকল্পে জোর দেওয়া হচ্ছে নতুন অর্থবছরে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে নতুন এডিপিতে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সব প্রকল্প ও বরাদ্দ প্রস্তাব পৌঁছানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, অর্থসচিব, এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিস্ট বিভাগ ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
আসছে অর্থবছরের এডিপিতে প্রকল্প প্রস্তাব আহ্বান ও এর বরাদ্দের অগ্রাধিকার বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন অর্থবছরের এডিপি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আসছে এডিপি হবে সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিসহায়ক একটি উন্নয়ন বাজেট। এতে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। খাদ্যনিরাপত্তা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে সক্ষম এমন প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে—এমন প্রকল্পেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সব প্রস্তাব পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানোর যাবতীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয় স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায়। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিতেও লাগাম টানার লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যেও সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে। তাই সম্পদের সীমাবদ্ধতায় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান ও খরচের সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রকল্প তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর বাইরেও বিদ্যুৎ, জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, আইসিটি, পানি ও পয়োনিষ্কাশন, জেন্ডার সমতা, সামাজিক সুরক্ষা, দুর্যোগ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্প বরাদ্দের বিবেচনায় থাকবে।
সরকার সামনে খাদ্যনিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়। এ জন্য আসছে এডিপিতে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য কমানোসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস, পরিবেশ ও জলবায়ু, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতির পুনর্বাসন প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেবে। এ ছাড়া যেসব ফাস্টট্রেক প্রকল্প আগামী অর্থবছরে শেষ হবে, ওইসব প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হবে। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণের চেয়ে চলমান প্রকল্প সময়মতো শেষ করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে—এমন প্রকল্প প্রস্তাব এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। বৈদেশিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে—এমন অননুমোদিত নতুন প্রকল্পও থাকবে আসছে এডিপিতে। বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে—এমন প্রকল্প প্রস্তাবও দেওয়া যাবে।
পিপিপির প্রকল্পে বাস্তবায়নে সহায়ক, এমন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি করার ক্ষেত্রে তা যেন একই প্রকৃতির না হয়, তা পর্যালোচনা করে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যার শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা বিকাশের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ডিপিপি হয়নি এমন কোনো প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না বলেও জানায় পরিকল্পনা কমিশন।
অর্থের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বহীন প্রকল্প ও বরাদ্দে কড়াকড়ি রেখে নতুন অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তৈরি শুরু করেছে সরকার। এডিপিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আর বিনিয়োগের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নতুন অর্থবছরে বিদেশি সহায়তানির্ভর প্রকল্পে বিশেষ নজর থাকছে। বড় প্রকল্পের চেয়ে বরং ছোট ছোট প্রকল্পে জোর দেওয়া হচ্ছে নতুন অর্থবছরে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে নতুন এডিপিতে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সব প্রকল্প ও বরাদ্দ প্রস্তাব পৌঁছানোর অনুরোধ জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। চিঠিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, অর্থসচিব, এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিস্ট বিভাগ ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
আসছে অর্থবছরের এডিপিতে প্রকল্প প্রস্তাব আহ্বান ও এর বরাদ্দের অগ্রাধিকার বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন অর্থবছরের এডিপি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আসছে এডিপি হবে সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিসহায়ক একটি উন্নয়ন বাজেট। এতে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। খাদ্যনিরাপত্তা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে সক্ষম এমন প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, বিদেশি সহায়তা পাওয়া যাবে—এমন প্রকল্পেই বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সব প্রস্তাব পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানোর যাবতীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয় স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায়। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিতেও লাগাম টানার লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যেও সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে। তাই সম্পদের সীমাবদ্ধতায় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান ও খরচের সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রকল্প তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর বাইরেও বিদ্যুৎ, জ্বালানি, অবকাঠামো উন্নয়ন, আইসিটি, পানি ও পয়োনিষ্কাশন, জেন্ডার সমতা, সামাজিক সুরক্ষা, দুর্যোগ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্প বরাদ্দের বিবেচনায় থাকবে।
সরকার সামনে খাদ্যনিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়। এ জন্য আসছে এডিপিতে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য কমানোসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছ্বাস, পরিবেশ ও জলবায়ু, বন্যা ও অতিবৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতির পুনর্বাসন প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেবে। এ ছাড়া যেসব ফাস্টট্রেক প্রকল্প আগামী অর্থবছরে শেষ হবে, ওইসব প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হবে। পরিকল্পনা কমিশন জানায়, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণের চেয়ে চলমান প্রকল্প সময়মতো শেষ করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে—এমন প্রকল্প প্রস্তাব এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। বৈদেশিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে—এমন অননুমোদিত নতুন প্রকল্পও থাকবে আসছে এডিপিতে। বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে—এমন প্রকল্প প্রস্তাবও দেওয়া যাবে।
পিপিপির প্রকল্পে বাস্তবায়নে সহায়ক, এমন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি করার ক্ষেত্রে তা যেন একই প্রকৃতির না হয়, তা পর্যালোচনা করে প্রকল্প প্রস্তাব দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সফটওয়্যার শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা বিকাশের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ডিপিপি হয়নি এমন কোনো প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না বলেও জানায় পরিকল্পনা কমিশন।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
৩৭ মিনিট আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
৩ ঘণ্টা আগে