অনলাইন ডেস্ক
প্রায় শূন্য থেকে শুরু। এরপর ‘বন্ধন ব্যাংক’–এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও। চন্দ্র শেখর ঘোষের এই অসাধারণ যাত্রার গল্পের পরতে পরতে রয়েছে চূড়ান্ত অধ্যবসায় এবং দূরদৃষ্টি। সম্প্রতি তিনি সিইও পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন। গত জুলাইয়ে পদ ছেড়েছেন। অবসরে বন্ধন গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক অবশ্য থাকবে। গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতাভিত্তিক এই ব্যাংকের বাজারমূল্য ছিল ২৯ হাজার ৭৮৭ কোটি রুপি।
চন্দ্র শেখরের জন্ম ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। ১৯৬০ সালে তাঁর জন্ম। আর্থিক অনটনের ভেতর বড় হয়েছেন। মা–বাবা একটি অতি সাধারণ মিষ্টির দোকান চালাতেন। এ দিয়ে সংসারে কখনো সচ্ছলতা আসেনি। নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পড়ালেখার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন চন্দ্র শেখর। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে চলে আসেন বাংলাদেশে। ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে ডিগ্রি নেন। আর্থিক অনটনের কারণে কিছু উপার্জনের চেষ্টা করতে থাকেন। শিশুদের পড়িয়েছেন, থেকেছেন আশ্রমে।
১৯৮৫ সালে জীবনের মোড় ঘুরে যায়। বাংলাদেশের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে যোগ দেন চন্দ্র শেখর। এ দেশে গ্রামীণ নারীদের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের রূপান্তরমূলক প্রভাব নিজ চোখে দেখেছেন। ভারতেও একই ধরনের মডেলের সামাজিক ব্যবসা চালু করতে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকেই।
১৯৯৭ সালে কলকাতায় ফিরে ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ২০০১ সালে নারীদের ঋণসহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন। পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করা মাত্র দুই লাখ রুপি দিয়ে শুরু করেন এই উদ্যোগ। মাত্র ১২ জন কর্মচারীর একটি দল নিয়ে যাত্রা করে বন্ধন। ২০০২ সাল নাগাদ সংস্থাটি প্রায় ১ হাজার ১০০ নারীর মধ্যে মোট ১৫ লাখ রুপি ঋণ বিতরণ করে এই ব্যাংক।
সংস্থাটি দ্রুত বড় হতে থাকে। ২০০৯ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকে (আরবিআই) একটি নন–ব্যাংকিং আর্থিক সংস্থা (এনবিএফসি) হিসেবে নিবন্ধিত হয় বন্ধন।
চন্দ্র শেখর ঘোষের এই উদ্যোগ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে প্রায় ৮০ লাখ নারীর জীবন বদলে দেয়। ২০১৩ সালে আরবিআই নতুন ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করলে চন্দ্র শেখর ঘোষ সুযোগটি লুফে নেন, তিনিও আবেদন করেন। দুই বছর পর, ২০১৫ সালে বন্ধন ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে বন্ধন ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ। ৩৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে ৬ হাজার ২৬২টি এলাকায় পরিষেবা দেয়। এই ব্যাংকের এখন বাজারমূল্য ২৮ হাজার ৯৯৭ কোটি রুপি।
চন্দ্র শেখরের এই অবিশ্বাস্য উত্থান যে কারও জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। যে ছেলেটি একসময় তাঁর পারিবারিক মিষ্টির দোকানে সাহায্য করত, তিনিই একদিন একটি বড় ব্যাংকের সিইও হয়েছেন। বহু মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন!
আরও খবর পড়ুন:
প্রায় শূন্য থেকে শুরু। এরপর ‘বন্ধন ব্যাংক’–এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও। চন্দ্র শেখর ঘোষের এই অসাধারণ যাত্রার গল্পের পরতে পরতে রয়েছে চূড়ান্ত অধ্যবসায় এবং দূরদৃষ্টি। সম্প্রতি তিনি সিইও পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন। গত জুলাইয়ে পদ ছেড়েছেন। অবসরে বন্ধন গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক অবশ্য থাকবে। গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতাভিত্তিক এই ব্যাংকের বাজারমূল্য ছিল ২৯ হাজার ৭৮৭ কোটি রুপি।
চন্দ্র শেখরের জন্ম ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। ১৯৬০ সালে তাঁর জন্ম। আর্থিক অনটনের ভেতর বড় হয়েছেন। মা–বাবা একটি অতি সাধারণ মিষ্টির দোকান চালাতেন। এ দিয়ে সংসারে কখনো সচ্ছলতা আসেনি। নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও পড়ালেখার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন চন্দ্র শেখর। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে চলে আসেন বাংলাদেশে। ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে ডিগ্রি নেন। আর্থিক অনটনের কারণে কিছু উপার্জনের চেষ্টা করতে থাকেন। শিশুদের পড়িয়েছেন, থেকেছেন আশ্রমে।
১৯৮৫ সালে জীবনের মোড় ঘুরে যায়। বাংলাদেশের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকে যোগ দেন চন্দ্র শেখর। এ দেশে গ্রামীণ নারীদের মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের রূপান্তরমূলক প্রভাব নিজ চোখে দেখেছেন। ভারতেও একই ধরনের মডেলের সামাজিক ব্যবসা চালু করতে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকেই।
১৯৯৭ সালে কলকাতায় ফিরে ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে কাজ শুরু করেন। ২০০১ সালে নারীদের ঋণসহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন। পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করা মাত্র দুই লাখ রুপি দিয়ে শুরু করেন এই উদ্যোগ। মাত্র ১২ জন কর্মচারীর একটি দল নিয়ে যাত্রা করে বন্ধন। ২০০২ সাল নাগাদ সংস্থাটি প্রায় ১ হাজার ১০০ নারীর মধ্যে মোট ১৫ লাখ রুপি ঋণ বিতরণ করে এই ব্যাংক।
সংস্থাটি দ্রুত বড় হতে থাকে। ২০০৯ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকে (আরবিআই) একটি নন–ব্যাংকিং আর্থিক সংস্থা (এনবিএফসি) হিসেবে নিবন্ধিত হয় বন্ধন।
চন্দ্র শেখর ঘোষের এই উদ্যোগ অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে প্রায় ৮০ লাখ নারীর জীবন বদলে দেয়। ২০১৩ সালে আরবিআই নতুন ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করলে চন্দ্র শেখর ঘোষ সুযোগটি লুফে নেন, তিনিও আবেদন করেন। দুই বছর পর, ২০১৫ সালে বন্ধন ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে বন্ধন ব্যাংকের গ্রাহকসংখ্যা ৩ কোটি ২৬ লাখ। ৩৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে ৬ হাজার ২৬২টি এলাকায় পরিষেবা দেয়। এই ব্যাংকের এখন বাজারমূল্য ২৮ হাজার ৯৯৭ কোটি রুপি।
চন্দ্র শেখরের এই অবিশ্বাস্য উত্থান যে কারও জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। যে ছেলেটি একসময় তাঁর পারিবারিক মিষ্টির দোকানে সাহায্য করত, তিনিই একদিন একটি বড় ব্যাংকের সিইও হয়েছেন। বহু মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন!
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্যদের জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বেসিস-এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৪০ মিনিট আগেদেশে গত বোরো মৌসুমের পরই বাড়তে থাকে চালের দাম। ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুম শুরু হলে দাম কমবে। কিন্তু আশা দুরাশাই রয়ে গেছে এখন পর্যন্ত। মোকামে আমন ধান আসতে শুরু করলেও চালের বাজারে খুব একটা প্রভাব নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েও পণ্যটির দাম কমিয়ে আনতে পারছে না।
২ ঘণ্টা আগেআসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
১১ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
১১ ঘণ্টা আগে