আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় কৃষিপণ্য ও পোলট্রিশিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম উৎপাদন। এ অবস্থায় বন্যা-পরবর্তী নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
বর্তমানে ডিম ও আলু আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে দেশে বছরে ৬-৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও ডিম ও আলু আমদানি তেমন হয় না বললেই চলে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৫২-৬০ টাকা, ডিমের হালি ৫০-৫৩ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে পণ্য তিনটির শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
সুপারিশে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা এবং বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। এসব শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানিতে উৎসাহ বাড়ার পাশাপাশি বাজারে দাম কমে আসবে। এ জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে তিনটি পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
পেঁয়াজ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ভোক্তা উপকৃত হবে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। তবে শুল্ক কমানো হলে ভোক্তার চেয়ে অনেক সময়ই ব্যবসায়ীরা উপকৃত হন বেশি।
তবে দেশে ডিম আমদানি হলে ক্ষুদ্র খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশে ডিম ও মাংসের দাম কমাতে পোলট্রি খাদ্যের দাম কমাতে হবে। এসব খাবার বড় কোম্পানি আমদানি করছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক ও রাজধানীর শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে শুল্ক কমানো হলেও রপ্তানিকারক দেশে দাম বাড়লে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারতে বৃষ্টি হচ্ছে। সে দেশে দাম বাড়িয়ে দিলে দেশের বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে আলু আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আলু আমদানি হলে তা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি পড়বে। খুচরা পর্যায়ে ৪৫ টাকায় তা বিক্রি করা সম্ভব।
দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় কৃষিপণ্য ও পোলট্রিশিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম উৎপাদন। এ অবস্থায় বন্যা-পরবর্তী নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
বর্তমানে ডিম ও আলু আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে দেশে বছরে ৬-৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও ডিম ও আলু আমদানি তেমন হয় না বললেই চলে।
বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৫২-৬০ টাকা, ডিমের হালি ৫০-৫৩ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে পণ্য তিনটির শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
সুপারিশে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা এবং বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। এসব শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানিতে উৎসাহ বাড়ার পাশাপাশি বাজারে দাম কমে আসবে। এ জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে তিনটি পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
পেঁয়াজ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ভোক্তা উপকৃত হবে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। তবে শুল্ক কমানো হলে ভোক্তার চেয়ে অনেক সময়ই ব্যবসায়ীরা উপকৃত হন বেশি।
তবে দেশে ডিম আমদানি হলে ক্ষুদ্র খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশে ডিম ও মাংসের দাম কমাতে পোলট্রি খাদ্যের দাম কমাতে হবে। এসব খাবার বড় কোম্পানি আমদানি করছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক ও রাজধানীর শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে শুল্ক কমানো হলেও রপ্তানিকারক দেশে দাম বাড়লে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারতে বৃষ্টি হচ্ছে। সে দেশে দাম বাড়িয়ে দিলে দেশের বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে আলু আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আলু আমদানি হলে তা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি পড়বে। খুচরা পর্যায়ে ৪৫ টাকায় তা বিক্রি করা সম্ভব।
বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ কথা বলেন।
১৩ মিনিট আগেশুল্ক আরোপের এই উচ্চ হারের কারণে বিশ্ববাজার অস্থির হয়ে পড়লেও ট্রাম্পের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এমনকি মার্কিন ভোক্তাবাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যেতে পারে—বিশ্লেষকদের এই সতর্কতার পরও ট্রাম্প বলছেন, এই শুল্ক ‘বিস্ফোরণাত্মক’। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।
১ ঘণ্টা আগেকিহাক সাংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮০ সালের মে মাসে, স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ‘ইয়াংওয়ান বাংলাদেশ লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। সুইডিশ ক্রেতার কাছ থেকে পাওয়া সাধারণ পোশাকের একটি ছোট অর্ডার দিয়ে শুরু হয় পথচলা। প্রশিক্ষিত কোরীয় কর্মীদের সাহায্যে অল্প সময়ের মধ্যেই কারখানাটি সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। ১৯৮৪ সালের
২ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বাড়বে ৫ দশমিক ১ শতাংশে। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এডিবির ঢাকা অফিসে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক...
২ ঘণ্টা আগে