বিশ্বব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিকসের শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে। ফলে আমরা দেখছি সোফিয়ার মতো রোবট মানব এবং ওপেনএআইয়ের বিভিন্ন চমক। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংবাদ উপস্থাপনা করেছে ‘অপরাজিতার’ মতো এআই মডেল। প্রযুক্তির এই জয়জয়কার অবস্থায় পিছিয়ে নেই আমাদের তরুণরাও। তাই স্কুল-কলেজের তরুণ শিক্ষার্থীদের রোবটিকস শেখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাডভান্স রোবটিকস রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জিমি মজুমদার।
শিশুরা হলো গাছের চারার মতো। তাদের যেভাবে পরিচর্যা করা হবে, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। তাই পরিবার থেকেই শুরু করা যেতে পারে রোবটচর্চা, অর্থাৎ শিশুদের পরিবার থেকে রোবটিকসের ওপর আগ্রহ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পিতা-মাতা এবং বড় ভাইবোনকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবারে শিশুদের দিতে হবে রোবটিকসের ধারণা। শিশুদের বোঝাতে হবে রোবটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব এবং ব্যবহার।
সৃজনশীল রোবটিকস-চর্চা
শিশুদের মন সরল আর প্রকৃতির মতো সুন্দর। তাদের সহজ-সরল ও মজার মাধ্যমে শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের মজায় মজায় রোবটিকস শেখানো যেতে পারে। যেমন খেলাধুলা, গল্প শোনা, ছবি দেখানো বা সহজ পাজল সমাধান করার মাধ্যমে রোবটিকসের সঙ্গে পরিচিতি করিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
রোবটিকসের বই ও প্রকাশনা
জ্ঞান বিকাশে বইয়ের বিকল্প নেই। বই ও প্রকাশনাগুলো শিশুদের রোবটিকস বিষয়ে আগ্রহ এবং দক্ষ হতে সাহায্য করতে পারে। তবে বইগুলো বাছাই করার সময় অবশ্যই সহজ ভাষায় লেখা বই হতে হবে। শুরুতে জটিল এবং বড় কোনো সমস্যার সমাধানমূলক বই দেওয়া হলে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। সহজ-সরল ও মজার মজার গল্প ও কাহিনির মাধ্যমে লেখা বইগুলো শিশুদের রোবটিকস শেখাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া সায়েন্স ফিকশন বই, ম্যাগাজিন, উদ্ভাবনী প্রবন্ধ, আইডিয়া কুইজসহ ছোট ছোট প্রোগ্রামিং সমাধানের বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের রোবটিকস শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।
বিনোদনের মাধ্যমে রোবটিকস-চর্চা
শিশুরা বিনোদন, আমোদপ্রমোদ পছন্দ করে। তাদের মেধা বিকাশে বিনোদনের মাধ্যমগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিনোদনের মাধ্যমগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে রোবটিকসের প্রতি তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের নিত্যনতুন রোবটিকসের ভিডিও, গেম, মুভি, অ্যানিমেশন দেখানো যেতে পারে এবং বাস্তবিক রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
হাতেকলমে রোবটিকস শেখানো
শিশুদের মেধা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো কারিগরি শিক্ষা। তাদের উদ্ভাবনী কার্যকলাপে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা রোবট তৈরি এবং প্রোগ্রামিং করতে পারে। লেগো মাইন্ডস্টর্মস, VEX IQ বা Makeblock এ ধরনের রোবট কিট বা উপকরণ ব্যবহার করুন, যা প্রোগ্রামিংয়ের জন্য নির্দেশনা সফটওয়্যারের সঙ্গেই আসে। এ ছাড়া আরডুইনো, রাস্পবেরি পাইসহ বিভিন্ন ডিভাইস, সেন্সর, মোটর ও সফটওয়্যারের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এগুলো শিশুদের কাছে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে হবে। গুগল, ইউটিউব ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন উৎস থেকে দেখে দেখে খুব সহজ উপায়ে DIY প্রজেক্ট করা শেখানো যেতে পারে। এই যেমন একটি লাইট জ্বালানো, মোটর ঘোরানো, পাখা বানানো, গাড়ি বানানো ইত্যাদি।
রোবটিকস কমিউনিটিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা
রোবটিকস শেখানোর জন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি রোবটিকস কমিউনিটি রয়েছে। শিশুদের এসব কমিউনিটি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এতে তাদের দক্ষতা এবং আগ্রহ আরও বাড়বে। তবে এসব কমিউনিটি ও প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। কোর্স, কনটেন্ট ও শেখানোর ব্যবস্থা যেন শিশুদের উপযোগী হয়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। দলগত রোবটিকস কাজে উদ্বুদ্ধ করা রোবটিকস একটি সম্মিলিত ও বিস্তৃত বিষয়। শিশুদের দলগত কাজে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে
রোবটিকস শেখানো যেতে পারে। দলগত কাজে তারা তাদের আগ্রহ অনুযায়ী মেধা বিকাশ করতে পারবে। গ্রুপ তৈরি করে ছোট ছোট কাজ ভাগাভাগি করে দারুণ সব প্রজেক্ট তৈরি করা শেখানো যেতে পারে। দলগত কাজে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, বন্ধন, যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। পরে তারা বড় বড় সমস্যার সমাধান ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু করতে পারবে।
সৃজনশীল প্রকল্পের চর্চা
শিশুদের সৃজনশীল রোবটিকস প্রকল্প তৈরি করার উৎসাহ দিতে হবে। তাদের পছন্দমতো কাজ বা চ্যালেঞ্জের জন্য রোবট ডিজাইন এবং তৈরি করার পরিবেশ করে দিতে হবে। যেমন কারও ডিজাইন করতে ভালো লাগে, তাকে রোবট ডিজাইনে মনোনিবেশ করতে দিন। আবার কারও হয়তো নিজ হাতে কিছু বানাতে ভালো লাগে, তাকে সেই সুযোগ দিন। এটি তাদের রোবটিকসের প্রতি সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। সক্রেটিস মেথড অবলম্বনে রোবটিকস শেখানোর বিভিন্ন প্রয়োগমূলক উপায় আছে। সক্রেটিস মেথডটি গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তিনি এই শিক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে শিশুরা নিজেরাই কোনো বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করবে এবং তারাই উত্তর খুঁজে ধারাবাহিকভাবে সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সমাধান করবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের প্রশ্নোত্তরমূলক সংলাপের মাধ্যমে রোবটিকস শেখানো যেতে পারে। তাদের বেশি বেশি রোবটিকস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার এবং তাদের অভিজ্ঞতা অনুশীলন করার সুব্যবস্থা করে দিতে হবে।
উৎসাহের মাধ্যমে রোবটিকস
একটি গাছকে বড় করতে যেমন পরিচর্যার প্রয়োজন, তেমনি শিশুদের মেধা ও মানবিকতা বিকাশের জন্য উৎসাহের প্রয়োজন। প্রতিটি শিশুর সাফল্যের জন্য তাদের উৎসাহ দিতে হবে। শিশুদের বিজ্ঞান মেলা, বইমেলা, রোবটিকস প্রদর্শনী ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যেতে হবে। ছোট-বড় সাফল্যের উদ্যাপন করুন। শুধু সাফল্যে উদ্যাপন করলে হবে না; বরং তাদের ব্যর্থতা থেকে উৎসাহ দিতে হবে। ইতিবাচক প্রশংসা এবং উৎসাহ তাদের শিক্ষা ও রোবটিকসে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
বিশ্বব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিকসের শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে। ফলে আমরা দেখছি সোফিয়ার মতো রোবট মানব এবং ওপেনএআইয়ের বিভিন্ন চমক। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংবাদ উপস্থাপনা করেছে ‘অপরাজিতার’ মতো এআই মডেল। প্রযুক্তির এই জয়জয়কার অবস্থায় পিছিয়ে নেই আমাদের তরুণরাও। তাই স্কুল-কলেজের তরুণ শিক্ষার্থীদের রোবটিকস শেখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাডভান্স রোবটিকস রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জিমি মজুমদার।
শিশুরা হলো গাছের চারার মতো। তাদের যেভাবে পরিচর্যা করা হবে, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। তাই পরিবার থেকেই শুরু করা যেতে পারে রোবটচর্চা, অর্থাৎ শিশুদের পরিবার থেকে রোবটিকসের ওপর আগ্রহ সৃষ্টি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পিতা-মাতা এবং বড় ভাইবোনকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পরিবারে শিশুদের দিতে হবে রোবটিকসের ধারণা। শিশুদের বোঝাতে হবে রোবটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব এবং ব্যবহার।
সৃজনশীল রোবটিকস-চর্চা
শিশুদের মন সরল আর প্রকৃতির মতো সুন্দর। তাদের সহজ-সরল ও মজার মাধ্যমে শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের মজায় মজায় রোবটিকস শেখানো যেতে পারে। যেমন খেলাধুলা, গল্প শোনা, ছবি দেখানো বা সহজ পাজল সমাধান করার মাধ্যমে রোবটিকসের সঙ্গে পরিচিতি করিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
রোবটিকসের বই ও প্রকাশনা
জ্ঞান বিকাশে বইয়ের বিকল্প নেই। বই ও প্রকাশনাগুলো শিশুদের রোবটিকস বিষয়ে আগ্রহ এবং দক্ষ হতে সাহায্য করতে পারে। তবে বইগুলো বাছাই করার সময় অবশ্যই সহজ ভাষায় লেখা বই হতে হবে। শুরুতে জটিল এবং বড় কোনো সমস্যার সমাধানমূলক বই দেওয়া হলে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। সহজ-সরল ও মজার মজার গল্প ও কাহিনির মাধ্যমে লেখা বইগুলো শিশুদের রোবটিকস শেখাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া সায়েন্স ফিকশন বই, ম্যাগাজিন, উদ্ভাবনী প্রবন্ধ, আইডিয়া কুইজসহ ছোট ছোট প্রোগ্রামিং সমাধানের বইয়ের মাধ্যমে শিশুদের রোবটিকস শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।
বিনোদনের মাধ্যমে রোবটিকস-চর্চা
শিশুরা বিনোদন, আমোদপ্রমোদ পছন্দ করে। তাদের মেধা বিকাশে বিনোদনের মাধ্যমগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিনোদনের মাধ্যমগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে রোবটিকসের প্রতি তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের নিত্যনতুন রোবটিকসের ভিডিও, গেম, মুভি, অ্যানিমেশন দেখানো যেতে পারে এবং বাস্তবিক রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
হাতেকলমে রোবটিকস শেখানো
শিশুদের মেধা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো কারিগরি শিক্ষা। তাদের উদ্ভাবনী কার্যকলাপে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, যাতে তারা রোবট তৈরি এবং প্রোগ্রামিং করতে পারে। লেগো মাইন্ডস্টর্মস, VEX IQ বা Makeblock এ ধরনের রোবট কিট বা উপকরণ ব্যবহার করুন, যা প্রোগ্রামিংয়ের জন্য নির্দেশনা সফটওয়্যারের সঙ্গেই আসে। এ ছাড়া আরডুইনো, রাস্পবেরি পাইসহ বিভিন্ন ডিভাইস, সেন্সর, মোটর ও সফটওয়্যারের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এগুলো শিশুদের কাছে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে হবে। গুগল, ইউটিউব ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন উৎস থেকে দেখে দেখে খুব সহজ উপায়ে DIY প্রজেক্ট করা শেখানো যেতে পারে। এই যেমন একটি লাইট জ্বালানো, মোটর ঘোরানো, পাখা বানানো, গাড়ি বানানো ইত্যাদি।
রোবটিকস কমিউনিটিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা
রোবটিকস শেখানোর জন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি রোবটিকস কমিউনিটি রয়েছে। শিশুদের এসব কমিউনিটি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এতে তাদের দক্ষতা এবং আগ্রহ আরও বাড়বে। তবে এসব কমিউনিটি ও প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। কোর্স, কনটেন্ট ও শেখানোর ব্যবস্থা যেন শিশুদের উপযোগী হয়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। দলগত রোবটিকস কাজে উদ্বুদ্ধ করা রোবটিকস একটি সম্মিলিত ও বিস্তৃত বিষয়। শিশুদের দলগত কাজে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে
রোবটিকস শেখানো যেতে পারে। দলগত কাজে তারা তাদের আগ্রহ অনুযায়ী মেধা বিকাশ করতে পারবে। গ্রুপ তৈরি করে ছোট ছোট কাজ ভাগাভাগি করে দারুণ সব প্রজেক্ট তৈরি করা শেখানো যেতে পারে। দলগত কাজে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, বন্ধন, যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। পরে তারা বড় বড় সমস্যার সমাধান ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু করতে পারবে।
সৃজনশীল প্রকল্পের চর্চা
শিশুদের সৃজনশীল রোবটিকস প্রকল্প তৈরি করার উৎসাহ দিতে হবে। তাদের পছন্দমতো কাজ বা চ্যালেঞ্জের জন্য রোবট ডিজাইন এবং তৈরি করার পরিবেশ করে দিতে হবে। যেমন কারও ডিজাইন করতে ভালো লাগে, তাকে রোবট ডিজাইনে মনোনিবেশ করতে দিন। আবার কারও হয়তো নিজ হাতে কিছু বানাতে ভালো লাগে, তাকে সেই সুযোগ দিন। এটি তাদের রোবটিকসের প্রতি সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। সক্রেটিস মেথড অবলম্বনে রোবটিকস শেখানোর বিভিন্ন প্রয়োগমূলক উপায় আছে। সক্রেটিস মেথডটি গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তিনি এই শিক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে শিশুরা নিজেরাই কোনো বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করবে এবং তারাই উত্তর খুঁজে ধারাবাহিকভাবে সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সমাধান করবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের প্রশ্নোত্তরমূলক সংলাপের মাধ্যমে রোবটিকস শেখানো যেতে পারে। তাদের বেশি বেশি রোবটিকস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার এবং তাদের অভিজ্ঞতা অনুশীলন করার সুব্যবস্থা করে দিতে হবে।
উৎসাহের মাধ্যমে রোবটিকস
একটি গাছকে বড় করতে যেমন পরিচর্যার প্রয়োজন, তেমনি শিশুদের মেধা ও মানবিকতা বিকাশের জন্য উৎসাহের প্রয়োজন। প্রতিটি শিশুর সাফল্যের জন্য তাদের উৎসাহ দিতে হবে। শিশুদের বিজ্ঞান মেলা, বইমেলা, রোবটিকস প্রদর্শনী ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় যেতে হবে। ছোট-বড় সাফল্যের উদ্যাপন করুন। শুধু সাফল্যে উদ্যাপন করলে হবে না; বরং তাদের ব্যর্থতা থেকে উৎসাহ দিতে হবে। ইতিবাচক প্রশংসা এবং উৎসাহ তাদের শিক্ষা ও রোবটিকসে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
২০ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১ দিন আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে