এ টি এম শামসুজ্জামান ও প্রবীর মিত্র—দুই বন্ধুর কেউ আজ পৃথিবীতে নেই। তবে তাঁরা থেকে যাবেন চিরদিন—অভিনয় দিয়ে, মানবিকতা দিয়ে। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আজীবন স্মরণ করবে তাঁদের অবদান। শুধু শিল্পকর্ম দিয়ে নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে বিরল বন্ধুত্বের যে উদাহরণ তৈরি করেছেন তাঁরা; তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
হরিহর আত্মা হলেও ছোটবেলা থেকে দুজনের আগ্রহ ছিল ভিন্ন দুই দিকে। প্রবীর সারাক্ষণ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি আর দুরন্তপনায় কেটে যেত বেলা। অন্যদিকে এ টি এম ছিলেন শান্ত, চুপচাপ। বই পড়া, লেখালেখি, ক্লাস পালিয়ে রূপমহলে সিনেমা দেখা—এসবই ছিল আগ্রহের কেন্দ্রে। এই ভিন্ন চরিত্রের দুই বন্ধু পরবর্তী সময়ে কীভাবে প্রতিষ্ঠা পেলেন অভিনেতা হিসেবে, চলচ্চিত্রের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ পেশায় থেকেও কীভাবে অটুট রাখলেন নিজেদের বন্ধুত্ব, যে সম্পর্ক টিকে ছিল আজীবন—সে গল্পই শোনাচ্ছি আজ।
ব্যবহারই কাছে টেনেছে
ক্লাসে তো আরও অনেকে ছিল। সবাইকে ছাপিয়ে প্রবীর মিত্রের সঙ্গে এ টি এমের বন্ধুত্বটা গাঢ় হওয়ার একটাই কারণ—ভালো ব্যবহার। বাংলাভিশনের ‘আমার আমি’ অনুষ্ঠানে এ টি এম স্মৃতিচারণা করেছিলেন এভাবে, ‘তখন স্কুলে একসঙ্গে, একই ক্লাসে। ও জমিদারের পুত্র। খানদানি জমিদার ওরা। বংশ আমাদেরও ভালো; কিন্তু আমরা জমিদার না। ওর সবচেয়ে বড় জিনিস হলো—ভালো ব্যবহার। ওর ব্যবহারই আমাকে ওর কাছাকাছি টেনে নিয়ে এসেছে।’
প্রবীরকে নিয়ে আসেন এ টি এম
বন্ধুর আগ্রহ ও উৎসাহে অভিনয়ে পা রাখেন প্রবীর মিত্র। তিনি বলেন, ‘আমার চেয়ে অনেক বছর আগে থেকে এ টি এম শামসুজ্জামান কালচারাল লাইনের সঙ্গে জড়িত। সে নাটকে যখন গেছে, তখনো আমার কোনো আকর্ষণ ছিল না অভিনয়ে। নাটকে সে প্রম্পট করত, অভিনয় করত। একসময় সে উদয়ন চৌধুরীর সহকারী হলো। সেখান থেকে তার সিনেমার শুরু। এসব করে ও যখন সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত, তখন আমার এন্ট্রি।’
প্রবীর মিত্র অভিনয় শুরু করেন এইচ আকবরের ‘জলছবি’ দিয়ে। এই সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ এ টি এম শামসুজ্জামানের লেখা। এতে চিকিৎসকের ছোট এক চরিত্র ছিল, তাতে অভিনয়ের জন্য প্রবীরকে ডেকে নেন এ টি এম। স্পোর্টসম্যান প্রবীরের মনে যে অভিনয়ের সুপ্ত বাসনা আছে, সেটা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন বন্ধু।
এ টি এমের মুখেই শোনা যাক গল্পটা, ‘ও তখন তপন সিংহের “আপনজন” দেখে এসেছে। খুব সুন্দর করে গল্পটা বলত। আমি বুঝতে পারতাম, ও অভিনয় করতে চায়। তারপর জলছবিতে ওকে ছোট একটা ক্যারেক্টার দেওয়া হলো। এই ছোট চরিত্রে ওর অভিনয় দেখে মনে হলো, প্রবীর ভালো অভিনয় করবে। তারপর ওকে ‘‘জীবনতৃষ্ণা’’য় অজয়ের ক্যারেক্টারটা দিলাম। তাতে একটা গান আছে, এই আঁধার কখনো যাবে না মুছে আমার পৃথিবী থেকে। এই গানটা দিয়ে প্রবীর মিত্র বাংলাদেশের বিখ্যাত একজন আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত হলো।’
এ টি এমের যে উপদেশ কখনো ভোলেননি
শুধু তো বন্ধু নয়, প্রবীর মিত্রের সবচেয়ে বড় সমালোচকও ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান। আপাদমস্তক ভদ্রলোক প্রবীর কারও মুখের ওপর কথা বলতে পারতেন না, এটা নিয়ে খেপতেন এ টি এম। প্রবীর মিত্রের কথায়, ‘“আমাকে ও প্রায়ই বলত, তুমি একটা মূর্খ। স্পষ্ট কথা মুখের ওপর বলতে পারো না। তুমি একটা কাপুরুষ।” আমি কাউকে হার্ট করতে পারতাম না। এটা ওর পছন্দ ছিল না। বলত, তুমি প্রতিবাদ করো না কেন?’
এ টি এমের যাবতীয় সমালোচনা হাসিমুখে মেনে নিতেন প্রবীর মিত্র। বুঝতেন, এসবই ভালোবাসার প্রকাশ। বন্ধুর একটা উপদেশ আজীবন মনে রেখেছেন প্রবীর। ওই উপদেশই মানুষ হিসেবে আরও ঋদ্ধ করেছে তাঁকে। কী সেটা? শোনা যাক প্রবীর মিত্রের মুখে, ‘ওর একটা উপদেশ আমি ভুলি না। ও বলেছে, “প্রবীর, অহংকার করবে না। অহংকার হচ্ছে আল্লাহর চাদর। সেই চাদর স্পর্শ করলে আল্লাহ খেপে যান। তুমি অহংকার কোনো দিন করবে না।” এই উপদেশটা আমি কখনো ভুলি না।’
শুধু বন্ধু নয়, পরিবার
এ টি এম প্রায়ই বলতেন, ‘প্রবীর শুধু আমার বন্ধু না, আমার পারিবারিক সদস্য।’ এর কারণ হিসেবে একটি ঘটনার উদাহরণ টেনেছিলেন তিনি। একবার আউটডোর শুটিংয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রীকে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন এ টি এম। কয়েক দিন বাদে ফিরে এসে শোনেন, টাকাটা প্রবীর মিত্র নিয়ে গেছেন। এ টি এম ভাবলেন, হয়তো হঠাৎ কোনো দরকার পড়েছে তাঁর। স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন, ঘটনা তা নয়। বন্ধুর নামে জমি কেনার জন্যই টাকা নিয়ে গেছেন তিনি।
এ টি এম বলেন, ‘দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলাম, তুমি জমি কেনার জন্য টাকা নিলে কেন? আমার জমির দরকার আছে? ও বলল, “আমি কিনলাম, তুমি কিনবে না? আরও টাকা দিতে হবে।” চিন্তায় পড়ে গেলাম, আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, এত টাকা কোথায় পাব? একটু একটু করে শোধ করলাম, এভাবে ও আমাকে একটা জমি কিনে দিল। এ রকম বন্ধু আপনি কোথায় পাবেন? বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম ফ্রেন্ডশিপ জীবনেও হবে না।’
নির্বাচন নিয়ে মান-অভিমান
দীর্ঘ বছরের বন্ধুত্বে এক দিনের জন্যও ঝগড়া হয়নি তাঁদের। এ টি এম বলেন, ‘ও এত চালাক, ওর সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা, মান-অভিমান করতে পারবেন না। সামনে গেলেই বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরবে। কী করে ঝগড়া করবেন! ওর সঙ্গে তো ঝগড়াই হয়নি আমার আজ পর্যন্ত।’ একবার প্রবীর মিত্রের ওপর ভীষণ খেপে গিয়েছিলেন এ টি এম। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এ টি এমের বিরোধী প্যানেলে দাঁড়িয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এ টি এম। রেগে গিয়ে প্রবীরকে দু-কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন, ‘তুমি প্রবীর মিত্র না, তুমি প্রবীর শত্রু।’ সেবারও জবাবে হাসিমুখই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রবীর মিত্র।
এ টি এম বলতেন, ‘বন্ধুত্ব ধরে রাখা যায় না। বন্ধু বন্ধুর মাঝে লীন হয়ে যায়, একাত্ম হয়ে যায়। ওর এমন গুণ, আমাকে বাধ্য করেছে ওকে ভালোবাসতে। আজকে প্রবীর মিত্র না থাকলে দেখবেন, আমি এ টি এম নাই। আর আমি যেদিন থাকব না, আমি জানি, সেদিন প্রবীর মিত্রের এই কষ্টটাই হবে।’
কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
হরিহর আত্মা হলেও ছোটবেলা থেকে দুজনের আগ্রহ ছিল ভিন্ন দুই দিকে। প্রবীর সারাক্ষণ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি আর দুরন্তপনায় কেটে যেত বেলা। অন্যদিকে এ টি এম ছিলেন শান্ত, চুপচাপ। বই পড়া, লেখালেখি, ক্লাস পালিয়ে রূপমহলে সিনেমা দেখা—এসবই ছিল আগ্রহের কেন্দ্রে। এই ভিন্ন চরিত্রের দুই বন্ধু পরবর্তী সময়ে কীভাবে প্রতিষ্ঠা পেলেন অভিনেতা হিসেবে, চলচ্চিত্রের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ পেশায় থেকেও কীভাবে অটুট রাখলেন নিজেদের বন্ধুত্ব, যে সম্পর্ক টিকে ছিল আজীবন—সে গল্পই শোনাচ্ছি আজ।
ব্যবহারই কাছে টেনেছে
ক্লাসে তো আরও অনেকে ছিল। সবাইকে ছাপিয়ে প্রবীর মিত্রের সঙ্গে এ টি এমের বন্ধুত্বটা গাঢ় হওয়ার একটাই কারণ—ভালো ব্যবহার। বাংলাভিশনের ‘আমার আমি’ অনুষ্ঠানে এ টি এম স্মৃতিচারণা করেছিলেন এভাবে, ‘তখন স্কুলে একসঙ্গে, একই ক্লাসে। ও জমিদারের পুত্র। খানদানি জমিদার ওরা। বংশ আমাদেরও ভালো; কিন্তু আমরা জমিদার না। ওর সবচেয়ে বড় জিনিস হলো—ভালো ব্যবহার। ওর ব্যবহারই আমাকে ওর কাছাকাছি টেনে নিয়ে এসেছে।’
প্রবীরকে নিয়ে আসেন এ টি এম
বন্ধুর আগ্রহ ও উৎসাহে অভিনয়ে পা রাখেন প্রবীর মিত্র। তিনি বলেন, ‘আমার চেয়ে অনেক বছর আগে থেকে এ টি এম শামসুজ্জামান কালচারাল লাইনের সঙ্গে জড়িত। সে নাটকে যখন গেছে, তখনো আমার কোনো আকর্ষণ ছিল না অভিনয়ে। নাটকে সে প্রম্পট করত, অভিনয় করত। একসময় সে উদয়ন চৌধুরীর সহকারী হলো। সেখান থেকে তার সিনেমার শুরু। এসব করে ও যখন সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত, তখন আমার এন্ট্রি।’
প্রবীর মিত্র অভিনয় শুরু করেন এইচ আকবরের ‘জলছবি’ দিয়ে। এই সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ এ টি এম শামসুজ্জামানের লেখা। এতে চিকিৎসকের ছোট এক চরিত্র ছিল, তাতে অভিনয়ের জন্য প্রবীরকে ডেকে নেন এ টি এম। স্পোর্টসম্যান প্রবীরের মনে যে অভিনয়ের সুপ্ত বাসনা আছে, সেটা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন বন্ধু।
এ টি এমের মুখেই শোনা যাক গল্পটা, ‘ও তখন তপন সিংহের “আপনজন” দেখে এসেছে। খুব সুন্দর করে গল্পটা বলত। আমি বুঝতে পারতাম, ও অভিনয় করতে চায়। তারপর জলছবিতে ওকে ছোট একটা ক্যারেক্টার দেওয়া হলো। এই ছোট চরিত্রে ওর অভিনয় দেখে মনে হলো, প্রবীর ভালো অভিনয় করবে। তারপর ওকে ‘‘জীবনতৃষ্ণা’’য় অজয়ের ক্যারেক্টারটা দিলাম। তাতে একটা গান আছে, এই আঁধার কখনো যাবে না মুছে আমার পৃথিবী থেকে। এই গানটা দিয়ে প্রবীর মিত্র বাংলাদেশের বিখ্যাত একজন আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত হলো।’
এ টি এমের যে উপদেশ কখনো ভোলেননি
শুধু তো বন্ধু নয়, প্রবীর মিত্রের সবচেয়ে বড় সমালোচকও ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান। আপাদমস্তক ভদ্রলোক প্রবীর কারও মুখের ওপর কথা বলতে পারতেন না, এটা নিয়ে খেপতেন এ টি এম। প্রবীর মিত্রের কথায়, ‘“আমাকে ও প্রায়ই বলত, তুমি একটা মূর্খ। স্পষ্ট কথা মুখের ওপর বলতে পারো না। তুমি একটা কাপুরুষ।” আমি কাউকে হার্ট করতে পারতাম না। এটা ওর পছন্দ ছিল না। বলত, তুমি প্রতিবাদ করো না কেন?’
এ টি এমের যাবতীয় সমালোচনা হাসিমুখে মেনে নিতেন প্রবীর মিত্র। বুঝতেন, এসবই ভালোবাসার প্রকাশ। বন্ধুর একটা উপদেশ আজীবন মনে রেখেছেন প্রবীর। ওই উপদেশই মানুষ হিসেবে আরও ঋদ্ধ করেছে তাঁকে। কী সেটা? শোনা যাক প্রবীর মিত্রের মুখে, ‘ওর একটা উপদেশ আমি ভুলি না। ও বলেছে, “প্রবীর, অহংকার করবে না। অহংকার হচ্ছে আল্লাহর চাদর। সেই চাদর স্পর্শ করলে আল্লাহ খেপে যান। তুমি অহংকার কোনো দিন করবে না।” এই উপদেশটা আমি কখনো ভুলি না।’
শুধু বন্ধু নয়, পরিবার
এ টি এম প্রায়ই বলতেন, ‘প্রবীর শুধু আমার বন্ধু না, আমার পারিবারিক সদস্য।’ এর কারণ হিসেবে একটি ঘটনার উদাহরণ টেনেছিলেন তিনি। একবার আউটডোর শুটিংয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রীকে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন এ টি এম। কয়েক দিন বাদে ফিরে এসে শোনেন, টাকাটা প্রবীর মিত্র নিয়ে গেছেন। এ টি এম ভাবলেন, হয়তো হঠাৎ কোনো দরকার পড়েছে তাঁর। স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন, ঘটনা তা নয়। বন্ধুর নামে জমি কেনার জন্যই টাকা নিয়ে গেছেন তিনি।
এ টি এম বলেন, ‘দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলাম, তুমি জমি কেনার জন্য টাকা নিলে কেন? আমার জমির দরকার আছে? ও বলল, “আমি কিনলাম, তুমি কিনবে না? আরও টাকা দিতে হবে।” চিন্তায় পড়ে গেলাম, আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, এত টাকা কোথায় পাব? একটু একটু করে শোধ করলাম, এভাবে ও আমাকে একটা জমি কিনে দিল। এ রকম বন্ধু আপনি কোথায় পাবেন? বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম ফ্রেন্ডশিপ জীবনেও হবে না।’
নির্বাচন নিয়ে মান-অভিমান
দীর্ঘ বছরের বন্ধুত্বে এক দিনের জন্যও ঝগড়া হয়নি তাঁদের। এ টি এম বলেন, ‘ও এত চালাক, ওর সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা, মান-অভিমান করতে পারবেন না। সামনে গেলেই বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরবে। কী করে ঝগড়া করবেন! ওর সঙ্গে তো ঝগড়াই হয়নি আমার আজ পর্যন্ত।’ একবার প্রবীর মিত্রের ওপর ভীষণ খেপে গিয়েছিলেন এ টি এম। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এ টি এমের বিরোধী প্যানেলে দাঁড়িয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এ টি এম। রেগে গিয়ে প্রবীরকে দু-কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন, ‘তুমি প্রবীর মিত্র না, তুমি প্রবীর শত্রু।’ সেবারও জবাবে হাসিমুখই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রবীর মিত্র।
এ টি এম বলতেন, ‘বন্ধুত্ব ধরে রাখা যায় না। বন্ধু বন্ধুর মাঝে লীন হয়ে যায়, একাত্ম হয়ে যায়। ওর এমন গুণ, আমাকে বাধ্য করেছে ওকে ভালোবাসতে। আজকে প্রবীর মিত্র না থাকলে দেখবেন, আমি এ টি এম নাই। আর আমি যেদিন থাকব না, আমি জানি, সেদিন প্রবীর মিত্রের এই কষ্টটাই হবে।’
কয়েকটি ইভেন্টে অংশ নিতে সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে গিয়েছিলেন নোরা ফাতেহি। হঠাৎ দাবানলের ঘটনায় সেখানে আটকা পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা।
১৭ মিনিট আগেগতকাল ৮ জানুয়ারি ছিল ‘কেজিএফ’ তারকা ইয়াশের জন্মদিন। অভিনেতার বিশেষ দিনে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর নতুন সিনেমা ‘টক্সিক’-এর টিজার। ১ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেল চকমকে আলোতে একটিবার ক্লাবের সামনে বনেদি গাড়ি থেকে নামেন
২০ মিনিট আগেকোক স্টুডিও বাংলায় ‘নাসেক নাসেক’ দিয়ে আলোচনায় আসেন অনিমেষ রায়। বৃহস্পতিবার প্রটিউন ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেল অনিমেষের নতুন গান ‘ক্ষমা চাই’।
১ ঘণ্টা আগেএক দশকের বেশি সময় ছোট পর্দায় অভিনয় করছেন সাফা কবির। সাম্প্রতিক সময়ে মনোযোগী হয়েছেন নিজেকে ভেঙে বিভিন্ন চরিত্রে উপস্থাপন করতে। এবার ভূত হয়ে ভয় দেখাতে আসছেন সাফা কবির। সিকদার ডায়মন্ডের ‘প্রতিধ্বনি’ নাটকে ভূতের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
১২ ঘণ্টা আগে