অনলাইন ডেস্ক
এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।
এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
২ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১০ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১১ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে