অনলাইন ডেস্ক
ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।
এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’
বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।
বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ব্রাজিলের আমাজনের অরণ্য বিচিত্র সব প্রাণী এবং হুমকির মুখে থাকা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নানা সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য বিখ্যাত। এমনকি এই আদিবাসী গোত্রদের কোনো কোনোটি এখনো পর্যন্ত সে অর্থে বাইরের পৃথিবীর মানুষের সংস্পর্শেও আসেনি। সম্প্রতি ক্যামেরা ট্র্যাপের ছবিতে উঠে এসেছে এমনই একটি বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের চিত্র, যারা কৃষি খামার এবং বেআইনি অরণ্য দখলের চাপের মধ্যেও তাদের জীবনযাত্রা টিকিয়ে রেখেছে।
ছবিগুলোতে একদল পুরুষকে দেখা যায়। যা বাইরের পৃথিবীকে এই সম্প্রদায়কে প্রথম দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ছবি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। এই গোষ্ঠীটি মাসাকো নামে পরিচিত। তাদের এলাকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নামে তাদের এই পরিচিতি। তবে তারা নিজেদের কী নামে ডাকে, তাদের ভাষা, সামাজিক কাঠামো বা বিশ্বাস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।
কাঠ পাচারকারী, খনি শ্রমিক এবং মাদক চোরাচালানকারীদের অব্যাহত চাপে সত্ত্বেও মাসাকো জনগণের সংখ্যা ১৯৯০-এর দশকের গোড়া থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে তাদের সংখ্যা আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০।
ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল ইনডিজেনাস পিপলস ফাউন্ডেশন (ফুনাই) বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। ফুনাই তাদের এলাকায় ধাতব সরঞ্জাম উপহার হিসেবে রেখে যায়। এটি করা হয় যাতে তারা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য কোনো খামার বা কাঠের ক্যাম্পে না যায়। অতীতে এর ফলে বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছে।
ফুনাইয়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মাসাকো গোত্রের লোকেরা তিন মিটার লম্বা তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে এবং মৌসুম অনুযায়ী গ্রাম স্থানান্তর করে। বাইরের লোকদের প্রতিরোধ করতে তারা মাটিতে পা এবং টায়ার ফুটো করার মতো হাজার হাজার কাঠের কাঁটা পুঁতে রাখে।
ফুনাইয়ের সরকারি এজেন্ট আলতাইর আলগাইয়ার, যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাসাকোদের ভূমি রক্ষা করছেন, বলেন, ‘এখন বিস্তারিত ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের চেহারা বলিভিয়ার গুয়াপোরে নদীর বিপরীত তীরে বসবাসকারী সিরিওনোদের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে, এখনো আমরা জানি না তারা কারা। অনেক কিছুই এখনো রহস্য রয়ে গেছে।’
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশগত অবক্ষয় ও বহিরাগতদের দখলের ফলে যেসব আদিবাসী জনগোষ্ঠী ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকের জনসংখ্যা এখন বাড়ছে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ব্রাজিলের পেরু এবং ভেনেজুয়েলা সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এমন জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রমাণ প্রকাশ করে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে বড় ফসলি জমি এবং সম্প্রসারিত ঘরবাড়ি।
যাযাবর সম্প্রদায়গুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। এই জনগোষ্ঠী ফসল চাষ না করেও বনে তাদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। মাতো গ্রোসো রাজ্যের পার্দো নদী তীরের কাওয়াহিভা জনগোষ্ঠী তার একটি উদাহরণ।
ফুনাইয়ের কর্মকর্তা জায়ার ক্যান্ডর বলেন, ‘আজ এখানে প্রায় ৩৫-৪০ জন রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আমরা যখন এখানে কাজ শুরু করি, তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ২০।’
ব্রাজিল ১৯৮৭ সালে একটি উদ্ভাবনী নীতির প্রবর্তন করে, যার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ শুরু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সরকার-নেতৃত্বাধীন যোগাযোগের ফলে এসব জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশের বেশি মারা গিয়েছিল। মূলত বাইরের মানুষদের থেকে আসা বিভিন্ন রোগের কারণে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তাদের।
এরপর পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং বলিভিয়াও এই নীতি অনুসরণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়র্কিং গ্রুপ অব ইনডিজেনাস পিপল ইন আইসোলেশন অ্যান্ড ইনিশিয়াল কনটাক্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আমাজন এবং গ্রান চাকো অঞ্চলে বর্তমানে ৬১টি বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ১২৮টি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এখনো যাচাই করা হয়নি।
ব্রাজিলে এই বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ভালো নীতি থাকলেও, তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।
প্রতিবেদনটির লেখক অ্যানটেনর ভাজ বলেন, ‘পেরু ও কলম্বিয়ার শক্তিশালী আইন রয়েছে। তবে ব্রাজিল এবং মহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যর ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আইন ও আদিবাসী অধিকারকে উপেক্ষা করছে।’
বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা টিকিয়ে রাখার জন্য এমন নীতি ও সুরক্ষা বাড়ানো জরুরি। তাদের অস্তিত্ব কেবল মানবসভ্যতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নয়, বরং এটি আমাজন রেইনফরেস্টের জীববৈচিত্র্যের একটি অপরিহার্য অংশ।
পেরু-ব্রাজিল সীমান্তে একরে রাজ্যের ম্যানচিনেরি, রন্ডোনিয়ার অ্যামন্দাওয়া এবং পূবের রাজ্য মারানহাওয়ের গুয়াজারারার মতো বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
জাভারি উপত্যকায় নিশ্চিতভাবে ১০টি বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী রয়েছে, যা আমাজনের যেকোনো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মিলে বেটো মারুবো (জাভারি উপত্যকার আদিবাসী জনগণের ইউনিয়নের প্রতিনিধি) সেখানে একটি টহল দল গঠন করেন। এই দল তাদের কাজের জন্য জাতিসংঘের ইকুয়েটর পুরস্কার পেয়েছে। আদিবাসীদের নেতৃত্বে আইনি পদক্ষেপও এই কাজে সহায়তা করেছে।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকার সম্মান করতে হলে এবং ওই ভূমিতে কাঠ কাটা, সোনার খোঁজ করা, মাছ ধরা, সয়াবিন এবং কোকো চাষ নিষিদ্ধ করতে হলে, প্রথমে প্রমাণ করতে হয় যে সেখানে মানুষ বাস করছে।
বেটো মারুবো বলেন, ‘যারা বনভূমি দখল করতে চায়, তাদের প্রথম কৌশল হলো বাসিন্দাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা। বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যেখানে থাকে, সেই জমি দখল করার প্রধান কৌশলই হলো দাবি করা যে সেখানে কেউ নেই।’
ফুনাই (ব্রাজিলের আদিবাসী জনগণের জাতীয় সংস্থা) অপ্রতুল তহবিল ও নিরস্ত্র কর্মীদের ছোট একটি দলের সাহায্যে কাজ চালায়। তাদের নানা বিপদের মুখোমুখি হতে হয়, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যেমন, ২০২২ সালে আদিবাসী বিষয়ক গবেষক ব্রুনো পেরেইরা এবং সাংবাদিক ডম ফিলিপসকে হত্যার ঘটনা।
যদিও কিছু বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী টিকে আছে, অন্যদের সংখ্যা বহিরাগতদের আগ্রাসনের কারণে কমে যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ ইন দ্য আমাজনের সহপ্রতিষ্ঠাতা পাওলো মউতিনিও বলেন, ‘এই জনগোষ্ঠীগুলোর বেঁচে থাকার ও ভূমির অধিকার এবং পছন্দের জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন আদিবাসী গোত্রগুলোর অধিকার সম্মান করা কেবল তাদের জন্যই নয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন সংরক্ষণের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
পাহাড় কাটা, বায়ুদূষণ এবং নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ‘চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও প্লাস্টিক
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর। বায়ুদূষণের তালিকায় এক ধাপ নিচে নামলেও বেড়েছে দূষণ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের যে দূষণ রয়েছে, তা সুস্থ মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর। আজ রোববার সকালে ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২৮৭, আর তালিকায় অবস্থান তিনে...
১৪ ঘণ্টা আগেদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় কয়েক দিন ধরেই শীতের প্রকোপ চলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোয় বৃষ্টি। এতে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সারা দেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাবে প্রায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ দিন আগেঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারে মেছো বিড়াল হত্যার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর জানান, জাহিদুল ইসলাম একটি মেছো বিড়াল হত্যা করে ইজিবাইকের পেছনে ঝুলিয়ে...
১ দিন আগে