মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী
রাজনীতি করতেন না তিনি। ছিলেন না বাকপটু। তবে পড়াশোনা করেছিলেন অগাধ। ভেতর থেকে জানতেন সংস্কৃতির গভীরতা। যুক্তি দিয়ে বলতে পারতেন কথা। রবীন্দ্রনাথ যে আমাদের সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় শক্তি, তা বিশ্বাস করতেন। তাই একদল অর্বাচীন যখন রবীন্দ্রনাথকে বিসর্জন দিতে চাইল বাংলা সাহিত্য থেকে, তখন তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সোজা বলেছিলেন, এটা ভুল পথ।
একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন, একই সঙ্গে ক্লাস নিয়েছেন, দাপ্তরিক কাজগুলো করেছেন। শিক্ষকের যে কাজ, শিক্ষার্থীদের মনে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দেওয়া, সে চেষ্টায় তাঁর ত্রুটি ছিল না কখনো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর অন্যান্য আলবদর সদস্যের সঙ্গে তাঁর ছাত্র চৌধুরী মঈনুদ্দীনও এসেছিল তাঁকে নিয়ে যেতে। খুবই বিনয়ের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বলেছিল, ‘স্যারের কোনো ক্ষতি হবে না। অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।’
কিন্তু কী ঘটেছিল মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে? চিহ্নিত আলবদর সদস্য চৌধুরী মঈনুদ্দীন কি সত্যিই ফিরিয়ে দিয়েছিল তাঁকে?
যাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেদিন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুনীর চৌধুরীও। একটি ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাঁদের। কিছুক্ষণ পর রড নিয়ে এসেছিল কিছুসংখ্যক যুবক। প্রথমে তারা এসেছিল মুনীর চৌধুরীর কাছে। বলেছিল, ‘এত দিন তোমরা শিক্ষা দিয়েছ, এবার আমরা তোমাদের শিক্ষা দেব।’
তারপর জিজ্ঞেস করেছিল, ‘রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বই লিখেছ?’
মুনীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘না, আমি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বই লিখিনি।’
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি লিখেছি।’
এরপর রড দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে তারা মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে। শুধু তাঁকেই নয়, সেই ঘরে যেসব বুদ্ধিজীবী ছিলেন, তাঁদের সবাইকেই প্রচণ্ড রকম মারধর করতে থাকে ওরা। তারপর সবাইকে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় কাটাসুরে।
শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিকসহ অনেকেই ছিলেন সেই দলে। এরপর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়। মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীও হন হত্যাকাণ্ডের শিকার।
সূত্র: তানভীর হায়দার চৌধুরী, আমার বাবার যুদ্ধ।
রাজনীতি করতেন না তিনি। ছিলেন না বাকপটু। তবে পড়াশোনা করেছিলেন অগাধ। ভেতর থেকে জানতেন সংস্কৃতির গভীরতা। যুক্তি দিয়ে বলতে পারতেন কথা। রবীন্দ্রনাথ যে আমাদের সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় শক্তি, তা বিশ্বাস করতেন। তাই একদল অর্বাচীন যখন রবীন্দ্রনাথকে বিসর্জন দিতে চাইল বাংলা সাহিত্য থেকে, তখন তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সোজা বলেছিলেন, এটা ভুল পথ।
একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছেন, একই সঙ্গে ক্লাস নিয়েছেন, দাপ্তরিক কাজগুলো করেছেন। শিক্ষকের যে কাজ, শিক্ষার্থীদের মনে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে দেওয়া, সে চেষ্টায় তাঁর ত্রুটি ছিল না কখনো। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর অন্যান্য আলবদর সদস্যের সঙ্গে তাঁর ছাত্র চৌধুরী মঈনুদ্দীনও এসেছিল তাঁকে নিয়ে যেতে। খুবই বিনয়ের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের বলেছিল, ‘স্যারের কোনো ক্ষতি হবে না। অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।’
কিন্তু কী ঘটেছিল মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে? চিহ্নিত আলবদর সদস্য চৌধুরী মঈনুদ্দীন কি সত্যিই ফিরিয়ে দিয়েছিল তাঁকে?
যাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেদিন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুনীর চৌধুরীও। একটি ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছিল তাঁদের। কিছুক্ষণ পর রড নিয়ে এসেছিল কিছুসংখ্যক যুবক। প্রথমে তারা এসেছিল মুনীর চৌধুরীর কাছে। বলেছিল, ‘এত দিন তোমরা শিক্ষা দিয়েছ, এবার আমরা তোমাদের শিক্ষা দেব।’
তারপর জিজ্ঞেস করেছিল, ‘রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বই লিখেছ?’
মুনীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘না, আমি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বই লিখিনি।’
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমি লিখেছি।’
এরপর রড দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে তারা মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে। শুধু তাঁকেই নয়, সেই ঘরে যেসব বুদ্ধিজীবী ছিলেন, তাঁদের সবাইকেই প্রচণ্ড রকম মারধর করতে থাকে ওরা। তারপর সবাইকে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় কাটাসুরে।
শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিকসহ অনেকেই ছিলেন সেই দলে। এরপর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়। মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীও হন হত্যাকাণ্ডের শিকার।
সূত্র: তানভীর হায়দার চৌধুরী, আমার বাবার যুদ্ধ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে