ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরায় গণটিকার পর শুরু হয়েছে রাস্তায় করোনার টিকা দেওয়া কার্যক্রম। মাগুরা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সহযোগিতা করছে মাগুরা পৌরসভা।
গত মঙ্গলবার থেকে শহরের যারা টিকা নেননি তাঁদের টিকা দেওয়ার টিকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে মাগুরা শহর এলাকায় ৫টি বুথ করা হয়েছে।
মাগুরা পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাস্তায় হ্যান্ড মাইক ও মুখে আহ্বান করছেন টিকা নেওয়ার। এতে রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মানুষের টিকা নিতে দেখা গেছে।
মাগুরা পুরোনো বাজার এলাকার মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে ভ্রাম্যমাণ বুথে টিকা নিতে আসছেন দিনমজুরি সালাম মিয়া। তাঁর বাড়ি যশোর। তিনি জানান, কাজের চাপে টিকা নেওয়া হয় না। এখন মালিক বলছে টিকা না নিলে পুলিশে ঝামেলা করবে। তাই ভয় পেয়ে টিকা নিয়ে নিলাম।
ওই বুথে থাকা মাগুরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাদের মোহন জানান, পৌরসভা থেকে গণহারে রাস্তায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা চলবে। এতে ছিন্নমূল অনেক মানুষকে পাওয়া যাচ্ছে যারা টিকা নেননি। মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের সব রকম সহযোগিতা করছে। আমরা চেষ্টা করছি কোনো মানুষই যেন টিকার বাইরে না যায়। এ ছাড়া টিকা না নিলে পরবতী পর্যায়ে আইনানুগ ব্যবস্থার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে। সেই সাথে পৌরসভা থেকে অনেক রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।
মাগুরায় ভ্রাম্যমাণ এই টিকায় শহরের পুরোনো বাজার এলাকা ছাড়াও জোট এলাকা, পৌরসভার সামনে ঢাকা রোড ও ভাযনা এলাকায় টিকা দেওয়ার একই চিত্র দেখা গেছে। রাস্তায় চলাচল করা মানুষকে জিগ্যেস করে করে এসব বিভাগের কর্মচারীরা টিকা দিচ্ছেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্তই সব কটি বুথে প্রায় হাজারের ওপরে টিকা দেওয়া গেছে বলে বুথগুলোতে থাকা জ্যেষ্ঠ সেবিকাদের থেকে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম ঘোষণা দিয়েছেন টিকার বাইরে থাকলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপরও শহরের মাস্ক ছাড়া অনেককেই দেখা গেছে। চলছে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ অভিযানও।
মাগুরায় গত মঙ্গলবার পর্যন্তই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৮৯ জন। যাদের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এসব করোনা রোগী টিকার আওতায় ছিলেন কিনা প্রশ্নে সিভিল সাজন চিকিৎসক শহীদুল্লাহ দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, যারা নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা অধিকাংশ টিকা নেননি। টিকা নিলে অন্তত করোনার অনেক উপসর্গ দেখা দিবে না বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, যে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে তাঁরাও টিকার বাইরে ছিলেন। আমরা তাই টিকার ওপরে জোর দিয়েছি। যতক্ষণ না সবাইকে টিকার আওতায় আনা না যাবে ততক্ষণ আমরা যারা টিকা নিয়েছি তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে থেকে যাব।
সিভিল সার্জন বলেন, এখন পর্যন্তই মাগুরায় ৪০ শতাংশের ওপরে জনগোষ্ঠীকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা গেছে। ১২ বছর থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে হলে এখনো ৬০ হাজার মানুষের এই টিকা দিতে হবে। যে কারণে গণটিকা, ভ্রাম্যমাণ টিকা এমনকি স্পট টিকা মানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়া চলমান থাকবে। এতে সবার মধ্যে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে। তা করোনা থেকে অনেকটাই দূরে রাখবে বলে আমাদের কাছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন বলছে।
মাগুরায় গণটিকার পর শুরু হয়েছে রাস্তায় করোনার টিকা দেওয়া কার্যক্রম। মাগুরা জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সহযোগিতা করছে মাগুরা পৌরসভা।
গত মঙ্গলবার থেকে শহরের যারা টিকা নেননি তাঁদের টিকা দেওয়ার টিকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে মাগুরা শহর এলাকায় ৫টি বুথ করা হয়েছে।
মাগুরা পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাস্তায় হ্যান্ড মাইক ও মুখে আহ্বান করছেন টিকা নেওয়ার। এতে রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেশির ভাগ খেটে খাওয়া মানুষের টিকা নিতে দেখা গেছে।
মাগুরা পুরোনো বাজার এলাকার মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে ভ্রাম্যমাণ বুথে টিকা নিতে আসছেন দিনমজুরি সালাম মিয়া। তাঁর বাড়ি যশোর। তিনি জানান, কাজের চাপে টিকা নেওয়া হয় না। এখন মালিক বলছে টিকা না নিলে পুলিশে ঝামেলা করবে। তাই ভয় পেয়ে টিকা নিয়ে নিলাম।
ওই বুথে থাকা মাগুরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাদের মোহন জানান, পৌরসভা থেকে গণহারে রাস্তায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা চলবে। এতে ছিন্নমূল অনেক মানুষকে পাওয়া যাচ্ছে যারা টিকা নেননি। মাগুরা স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের সব রকম সহযোগিতা করছে। আমরা চেষ্টা করছি কোনো মানুষই যেন টিকার বাইরে না যায়। এ ছাড়া টিকা না নিলে পরবতী পর্যায়ে আইনানুগ ব্যবস্থার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে। সেই সাথে পৌরসভা থেকে অনেক রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।
মাগুরায় ভ্রাম্যমাণ এই টিকায় শহরের পুরোনো বাজার এলাকা ছাড়াও জোট এলাকা, পৌরসভার সামনে ঢাকা রোড ও ভাযনা এলাকায় টিকা দেওয়ার একই চিত্র দেখা গেছে। রাস্তায় চলাচল করা মানুষকে জিগ্যেস করে করে এসব বিভাগের কর্মচারীরা টিকা দিচ্ছেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্তই সব কটি বুথে প্রায় হাজারের ওপরে টিকা দেওয়া গেছে বলে বুথগুলোতে থাকা জ্যেষ্ঠ সেবিকাদের থেকে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম ঘোষণা দিয়েছেন টিকার বাইরে থাকলে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপরও শহরের মাস্ক ছাড়া অনেককেই দেখা গেছে। চলছে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ অভিযানও।
মাগুরায় গত মঙ্গলবার পর্যন্তই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৮৯ জন। যাদের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এসব করোনা রোগী টিকার আওতায় ছিলেন কিনা প্রশ্নে সিভিল সাজন চিকিৎসক শহীদুল্লাহ দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, যারা নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা অধিকাংশ টিকা নেননি। টিকা নিলে অন্তত করোনার অনেক উপসর্গ দেখা দিবে না বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, যে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে তাঁরাও টিকার বাইরে ছিলেন। আমরা তাই টিকার ওপরে জোর দিয়েছি। যতক্ষণ না সবাইকে টিকার আওতায় আনা না যাবে ততক্ষণ আমরা যারা টিকা নিয়েছি তাঁরা ঝুঁকির মধ্যে থেকে যাব।
সিভিল সার্জন বলেন, এখন পর্যন্তই মাগুরায় ৪০ শতাংশের ওপরে জনগোষ্ঠীকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা গেছে। ১২ বছর থেকে প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকার আওতায় আনতে হলে এখনো ৬০ হাজার মানুষের এই টিকা দিতে হবে। যে কারণে গণটিকা, ভ্রাম্যমাণ টিকা এমনকি স্পট টিকা মানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়া চলমান থাকবে। এতে সবার মধ্যে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে। তা করোনা থেকে অনেকটাই দূরে রাখবে বলে আমাদের কাছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন বলছে।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে