সম্পাদকীয়
মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনের শালবীথিতলে অনুষ্ঠিত সাহিত্য সভায় তাঁর প্রথম গল্পটি পড়েছিলেন। গল্পের নাম ‘নেড়ে’। সেটা প্রথম উঠেছিল বিশ্বভারতীর হাতে লেখা পত্রিকায়। এরপর তা দিনেন্দ্র ঠাকুর সম্পাদিত ‘মুক্তধারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অবশ্য কেউ কেউ বলে থাকেন, ‘বাংলা ভাষায় আরবী ফারসী শব্দ’ নামের প্রবন্ধটিই মুজতবা আলীর প্রথম ছাপানো রচনা।
লেখালেখির কথা থাক। মুজতবা আলী মানেই রসিকতা, সেটা যেমন ঠিক, তেমনি তাঁর গভীরতাও দৃষ্টি কাড়ে। অনেক পরে যখন পার্ল রোডে থাকেন, তখন সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত একবার গিয়েছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে। কথায় কথায় সমরেন্দ্র জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি তো অনেক ভাষা জানেন। তবে অনুবাদ করছেন না কেন?’
উত্তরে মুজতবা আলী বললেন, ‘হ্যাঁ ব্রাদার, আমি আট-দশটা ভাষা মিসআন্ডারস্ট্যান্ড করতে পারি।’
তাঁকে তখন দেখে রাখার মানুষ কেউ নেই। কাটু ছাড়া। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, তাঁকে তখন দেখে রাখেন কাটু নামের একজন। কাটুর আসল নাম শেখ দিলজান। কেন তাঁর নাম কাটু হলো, সেটা মুজতবা আলী জানাচ্ছেন এভাবে, ‘প্রথমত, সে আমার মুরগি কাটে, দ্বিতীয়ত, সে আমার মাছ কাটে, তৃতীয়ত, শেষ অবধি সে আমার পকেট কাটতে পারে। এমন সহচর কোটিতে গোটিক। আমি আদেশ করলে সে লোকের মাথাও কাটতে পারে। তাই কাটুই ওর যোগ্য নাম।’
কলকাতাবাসের শেষ পাঁচ বছর সমরেন্দ্রের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে মুজতবা আলীর। ঢাকায় ফিরে যাবেন যখন, তখন সমরেন্দ্রকে খুঁজেছেন। অশ্রু লুকানোর জন্য সমরেন্দ্র গায়েব। ফিরে এলেন যখন, তখন তাঁর স্ত্রী কোনো কথা না বলে একটি প্যাকেট এগিয়ে দিলেন। তাতে একটি রোল্ড গোল্ডের বিশেষ মডেলের সিকো ঘড়ি। সঙ্গে কাঁপা হাতে লেখা সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি চিরকুট, ‘সই, সৈয়দদা—‘ভ্রাতঃ এই ঘড়িটা মাঝে মাঝে পোরো। এই ঘড়ি তোমাকে সুসময় দিক এই প্রার্থনা।’
সূত্র: সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত, সৈয়দ মুজতবা আলী জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৮-১৩
মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনের শালবীথিতলে অনুষ্ঠিত সাহিত্য সভায় তাঁর প্রথম গল্পটি পড়েছিলেন। গল্পের নাম ‘নেড়ে’। সেটা প্রথম উঠেছিল বিশ্বভারতীর হাতে লেখা পত্রিকায়। এরপর তা দিনেন্দ্র ঠাকুর সম্পাদিত ‘মুক্তধারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অবশ্য কেউ কেউ বলে থাকেন, ‘বাংলা ভাষায় আরবী ফারসী শব্দ’ নামের প্রবন্ধটিই মুজতবা আলীর প্রথম ছাপানো রচনা।
লেখালেখির কথা থাক। মুজতবা আলী মানেই রসিকতা, সেটা যেমন ঠিক, তেমনি তাঁর গভীরতাও দৃষ্টি কাড়ে। অনেক পরে যখন পার্ল রোডে থাকেন, তখন সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত একবার গিয়েছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলতে। কথায় কথায় সমরেন্দ্র জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি তো অনেক ভাষা জানেন। তবে অনুবাদ করছেন না কেন?’
উত্তরে মুজতবা আলী বললেন, ‘হ্যাঁ ব্রাদার, আমি আট-দশটা ভাষা মিসআন্ডারস্ট্যান্ড করতে পারি।’
তাঁকে তখন দেখে রাখার মানুষ কেউ নেই। কাটু ছাড়া। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন, তাঁকে তখন দেখে রাখেন কাটু নামের একজন। কাটুর আসল নাম শেখ দিলজান। কেন তাঁর নাম কাটু হলো, সেটা মুজতবা আলী জানাচ্ছেন এভাবে, ‘প্রথমত, সে আমার মুরগি কাটে, দ্বিতীয়ত, সে আমার মাছ কাটে, তৃতীয়ত, শেষ অবধি সে আমার পকেট কাটতে পারে। এমন সহচর কোটিতে গোটিক। আমি আদেশ করলে সে লোকের মাথাও কাটতে পারে। তাই কাটুই ওর যোগ্য নাম।’
কলকাতাবাসের শেষ পাঁচ বছর সমরেন্দ্রের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে মুজতবা আলীর। ঢাকায় ফিরে যাবেন যখন, তখন সমরেন্দ্রকে খুঁজেছেন। অশ্রু লুকানোর জন্য সমরেন্দ্র গায়েব। ফিরে এলেন যখন, তখন তাঁর স্ত্রী কোনো কথা না বলে একটি প্যাকেট এগিয়ে দিলেন। তাতে একটি রোল্ড গোল্ডের বিশেষ মডেলের সিকো ঘড়ি। সঙ্গে কাঁপা হাতে লেখা সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি চিরকুট, ‘সই, সৈয়দদা—‘ভ্রাতঃ এই ঘড়িটা মাঝে মাঝে পোরো। এই ঘড়ি তোমাকে সুসময় দিক এই প্রার্থনা।’
সূত্র: সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত, সৈয়দ মুজতবা আলী জন্মশতবর্ষ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৮-১৩
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে