সম্পাদকীয়
সরদার ফজলুল করিমের জীবনের একটি অস্পষ্ট অংশ হলো, কী করে তিনি দ্বিতীয়বারের জেল থেকে বেরিয়ে এলেন, সেটা। অনেকেই জানেন, এ সময় তিনি সরাসরি রাজনীতি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। দ্বিতীয়বার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আটান্ন সালের শেষের দিকে। বের হয়েছিলেন বাষট্টির ডিসেম্বর মাসে; অর্থাৎ আইয়ুব খানের সামরিক শাসন আসার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
প্রথমবার যখন জেলে গিয়েছিলেন, তখন কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল খুব। দ্বিতীয়বারে তাঁর পরিচিতি ছিল, তাই কষ্ট হয়েছে কিছুটা কম।কিন্তু তত দিনে পারিবারিকভাবে এসেছে পরিবর্তন। জেলে যাওয়ার আগে সাতান্ন সালে তাঁর বিয়ে হয়েছে, ছয় মাস বয়সী সন্তানকে তিনি রেখে এসেছেন ঘরে।
সরদারের স্ত্রী একজন শিক্ষক। তাঁর কান্নাকাটি স্পর্শ করত সরদার ফজলুল করিমকে। তাই বাষট্টি সালের ডিসেম্বরে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় জেল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তখনকার আমলে আন্ডারটেকিংকে বলা হতো বন্ড। বন্ড শব্দটা খারাপ শব্দ। মনে করা হতো, যে বন্ড দেয়, সে সরকারের দালাল। সরদার কিন্তু ঘটনাটাকে অন্যভাবে ভাবছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, এখন তাঁর দাঁড়ানো উচিত পরিবারের পাশে। এই বোধ থেকেই তিনি বন্ড দিতে রাজি হন। এর অর্থ হলো, তিনি আর সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেন না।তেষট্টি সালের ডিসেম্বর মাসে যোগ দিলেন বাংলা একাডেমিতে।
এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন, সেটা জানতেন সরদার ফজলুল করিম। বুঝতেন, তাঁর এই পরিবর্তিত অবস্থানে অনেকেই খুশি হতে পারেননি। কিন্তু তখন সরদারের মনে হয়েছে, পারিবারিক জীবনযাপন করে যাওয়াই সমীচীন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। এই পর্যবেক্ষণ কি আর কারও কাজে লেগেছিল? সেটা সরদার জানেন না, কিন্তু তিনি জানতেন, এই পর্যবেক্ষণ তাঁর নিজের জীবনে অনেক কাজে লেগেছিল। কোনো বন্ধু যদি এসে বলতেন, ‘তুমি এটা কী করলে? সারা জীবন এত কিছু করে এসে হাল ছেড়ে দিলে?’
এর উত্তরে সরদারের ভাষ্য, ‘মানুষের জীবনে কোনো কিছু অপরিবর্তনীয় থাকে না।’
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম, আমি সরদার বলছি, পৃষ্ঠা ২৮৬-২৮৮
সরদার ফজলুল করিমের জীবনের একটি অস্পষ্ট অংশ হলো, কী করে তিনি দ্বিতীয়বারের জেল থেকে বেরিয়ে এলেন, সেটা। অনেকেই জানেন, এ সময় তিনি সরাসরি রাজনীতি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। দ্বিতীয়বার তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আটান্ন সালের শেষের দিকে। বের হয়েছিলেন বাষট্টির ডিসেম্বর মাসে; অর্থাৎ আইয়ুব খানের সামরিক শাসন আসার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
প্রথমবার যখন জেলে গিয়েছিলেন, তখন কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল খুব। দ্বিতীয়বারে তাঁর পরিচিতি ছিল, তাই কষ্ট হয়েছে কিছুটা কম।কিন্তু তত দিনে পারিবারিকভাবে এসেছে পরিবর্তন। জেলে যাওয়ার আগে সাতান্ন সালে তাঁর বিয়ে হয়েছে, ছয় মাস বয়সী সন্তানকে তিনি রেখে এসেছেন ঘরে।
সরদারের স্ত্রী একজন শিক্ষক। তাঁর কান্নাকাটি স্পর্শ করত সরদার ফজলুল করিমকে। তাই বাষট্টি সালের ডিসেম্বরে পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় জেল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তখনকার আমলে আন্ডারটেকিংকে বলা হতো বন্ড। বন্ড শব্দটা খারাপ শব্দ। মনে করা হতো, যে বন্ড দেয়, সে সরকারের দালাল। সরদার কিন্তু ঘটনাটাকে অন্যভাবে ভাবছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, এখন তাঁর দাঁড়ানো উচিত পরিবারের পাশে। এই বোধ থেকেই তিনি বন্ড দিতে রাজি হন। এর অর্থ হলো, তিনি আর সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেন না।তেষট্টি সালের ডিসেম্বর মাসে যোগ দিলেন বাংলা একাডেমিতে।
এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন, সেটা জানতেন সরদার ফজলুল করিম। বুঝতেন, তাঁর এই পরিবর্তিত অবস্থানে অনেকেই খুশি হতে পারেননি। কিন্তু তখন সরদারের মনে হয়েছে, পারিবারিক জীবনযাপন করে যাওয়াই সমীচীন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয়নি। এই পর্যবেক্ষণ কি আর কারও কাজে লেগেছিল? সেটা সরদার জানেন না, কিন্তু তিনি জানতেন, এই পর্যবেক্ষণ তাঁর নিজের জীবনে অনেক কাজে লেগেছিল। কোনো বন্ধু যদি এসে বলতেন, ‘তুমি এটা কী করলে? সারা জীবন এত কিছু করে এসে হাল ছেড়ে দিলে?’
এর উত্তরে সরদারের ভাষ্য, ‘মানুষের জীবনে কোনো কিছু অপরিবর্তনীয় থাকে না।’
সূত্র: সরদার ফজলুল করিম, আমি সরদার বলছি, পৃষ্ঠা ২৮৬-২৮৮
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে