মেহরাব মাসাঈদ হাবিব
চলছে ডিসেম্বর মাস, বাংলায় পৌষ মাস। তবে কারও সর্বনাশ যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শীতকালে পোশাক-আশাকে ভিন্নতা আসে সবার। বাইকারদের তো বটেই। যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের চেয়ে বাইকারদের শীতকালে পোশাক সম্পর্কে বেশি সচেতন হতে হয়।
ধরা যাক, ডিসেম্বর মাসে শীতের রাতে আপনি প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেগে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে শীতের ঠান্ডা বাতাস আপনার শরীরের দিকে প্রায় ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকে, যা আপনার শরীরের জন্য বিপজ্জনক। ফলে এই বাতাস থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শীতের পোশাক
গরম পোশাক
এ ক্ষেত্রে শীতকালে পলিয়েস্টার বা রেওনের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। সুতির কাপড় পরলে শরীরের তাপ বের হয়ে যায় অনেক। সিনথেটিক কাপড় পরলে শীতের ঠান্ডা বাতাস শরীরের ভেতর চলাচল করতে পারে না, ফলে শরীর তাপ হারায় না। হাফ হাতা পোশাক না পরে শীতে ফুল হাতা পোশাক ব্যবহার করুন। চাদরজাতীয় পোশাক গায়ে জড়িয়ে বাইক চালানো বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সোয়েটার বা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে।
মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের জন্য শীতের আরেকটি চমৎকার পোশাক হতে পারে চামড়ার জ্যাকেট। এটি শরীরের তাপ খুব ভালো ভাবে ধরে রাখতে পারে। তা ছাড়া, এটি মোটা হওয়ায় অনেক দুর্ঘটনায় আপনাকে কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে দিতে পারে।
চেস্ট প্রটেক্টর
বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে লাগে বাতাস। অনেক সময় জ্যাকেট, সোয়েটার বা চাদর সে বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। জ্যাকেটের পিঠ সামনের দিকে রেখে চেন পেছনে রাখলে যে অবস্থা হয়, চেস্ট প্রটেক্টর সে রকমই। তবে সোয়েটার, শার্ট বা চাদরের নিচে ব্যবহার করা হয় বলে এগুলো হাফ হাতা হয়ে থাকে। রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
এগুলো বানিয়েও নেওয়া যায় খুব অল্প টাকা ব্যয় করে।
এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট
শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো দেখতে অনেকটাই রেইনকোটের মতো।
জুতা ও মোজা
শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।
গ্লাভস
শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে ও হাতের তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি গ্লাভস পরলেও স্বাভাবিক তাপ ফিরে আসে না। কারণ, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হাতের তাপ ধারণক্ষমতা অনেক কমে যায়। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি
কিনে নেবেন।
হেলমেট
শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা—ঋতু যাই হোক না কেন, হেলমেট পরতে একদমই ভুলবেন না। হেলমেট আপনাকে যেমন দুর্ঘটনার ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে, তেমনি শীতের ঠান্ডা থেকেও রক্ষা করবে। সামনে ভিজরস বা হালকা গ্লাসযুক্ত হেলমেট ব্যবহার করলে মাথা ও কানের সঙ্গে আপনার মুখমণ্ডলও ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত থাকবে। বাইক চালানোর সময় অবশ্যই ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করবেন।
লেখক: সিইও ও ফাউন্ডার বাংলা অটোমোবাইল স্কিলস
চলছে ডিসেম্বর মাস, বাংলায় পৌষ মাস। তবে কারও সর্বনাশ যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শীতকালে পোশাক-আশাকে ভিন্নতা আসে সবার। বাইকারদের তো বটেই। যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের চেয়ে বাইকারদের শীতকালে পোশাক সম্পর্কে বেশি সচেতন হতে হয়।
ধরা যাক, ডিসেম্বর মাসে শীতের রাতে আপনি প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেগে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে শীতের ঠান্ডা বাতাস আপনার শরীরের দিকে প্রায় ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকে, যা আপনার শরীরের জন্য বিপজ্জনক। ফলে এই বাতাস থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শীতের পোশাক
গরম পোশাক
এ ক্ষেত্রে শীতকালে পলিয়েস্টার বা রেওনের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। সুতির কাপড় পরলে শরীরের তাপ বের হয়ে যায় অনেক। সিনথেটিক কাপড় পরলে শীতের ঠান্ডা বাতাস শরীরের ভেতর চলাচল করতে পারে না, ফলে শরীর তাপ হারায় না। হাফ হাতা পোশাক না পরে শীতে ফুল হাতা পোশাক ব্যবহার করুন। চাদরজাতীয় পোশাক গায়ে জড়িয়ে বাইক চালানো বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সোয়েটার বা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে।
মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের জন্য শীতের আরেকটি চমৎকার পোশাক হতে পারে চামড়ার জ্যাকেট। এটি শরীরের তাপ খুব ভালো ভাবে ধরে রাখতে পারে। তা ছাড়া, এটি মোটা হওয়ায় অনেক দুর্ঘটনায় আপনাকে কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে দিতে পারে।
চেস্ট প্রটেক্টর
বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে লাগে বাতাস। অনেক সময় জ্যাকেট, সোয়েটার বা চাদর সে বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। জ্যাকেটের পিঠ সামনের দিকে রেখে চেন পেছনে রাখলে যে অবস্থা হয়, চেস্ট প্রটেক্টর সে রকমই। তবে সোয়েটার, শার্ট বা চাদরের নিচে ব্যবহার করা হয় বলে এগুলো হাফ হাতা হয়ে থাকে। রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টর ব্যবহার করতে হবে।
এগুলো বানিয়েও নেওয়া যায় খুব অল্প টাকা ব্যয় করে।
এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট
শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো দেখতে অনেকটাই রেইনকোটের মতো।
জুতা ও মোজা
শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন।
শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।
গ্লাভস
শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে ও হাতের তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি গ্লাভস পরলেও স্বাভাবিক তাপ ফিরে আসে না। কারণ, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হাতের তাপ ধারণক্ষমতা অনেক কমে যায়। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি
কিনে নেবেন।
হেলমেট
শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা—ঋতু যাই হোক না কেন, হেলমেট পরতে একদমই ভুলবেন না। হেলমেট আপনাকে যেমন দুর্ঘটনার ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করবে, তেমনি শীতের ঠান্ডা থেকেও রক্ষা করবে। সামনে ভিজরস বা হালকা গ্লাসযুক্ত হেলমেট ব্যবহার করলে মাথা ও কানের সঙ্গে আপনার মুখমণ্ডলও ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত থাকবে। বাইক চালানোর সময় অবশ্যই ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করবেন।
লেখক: সিইও ও ফাউন্ডার বাংলা অটোমোবাইল স্কিলস
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪