রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের চত্রা নদীর পাড়ঘেঁষে নারুয়া বাজার-বাকসাডাঙ্গি সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সাড়ে ৯ ফুট চওড়া সড়কটির কোথাও দেড় ফুট আবার কোথাও তা-ও নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কারণেই সড়কটির এ অবস্থা। ফলে স্থানীয়দের প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘৬৪ জেলার অভ্যন্তরের ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’-এর আওতায় বালিয়াকান্দির চত্রা নদীর সাত কিলোমিটার পুনর্খনন করা হয়। ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুনা ট্রেডার্স কাজটি করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চত্রা নদীটি পাংশার সিরাজপুর হাওর থেকে উৎপত্তি হয়ে বালিয়াকান্দি শহরের গড়াই নদে মিশেছে। নদীর উত্তর পাশে বালিয়াকান্দি-নারুয়া-মৃগী সড়ক। দক্ষিণ পাশে নারুয়া বাজার-বাকসাডাঙ্গি সড়ক।
স্থানীয়রা জানান, নারুয়া ইউনিয়নের বড় ঘিকমলা, ঘিকমলা, চষাবিলা, কালুখালীর সাওরাইল, পূর্ব বাকসাডাঙ্গিসহ সাতটি গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এসব গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। যাদের প্রতিদিনই কৃষিপণ্য নিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে যেতে হয়।
সাড়ে ৯ ফুট চওড়া সড়কটি ভেঙে কোথাও দেড় ফুট আবার কোথাও তার চেয়ে কম অস্তিত্ব রয়েছে। যেখান দিয়ে একটি বাইসাইকেল যাওয়াও কষ্টকর। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মিত সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। সড়কের পাশে প্রায় ২০০ বসতঘর ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে চত্রার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যোগাযোগ স্থাপন করেছে একটি সেতু। যেটি নির্মিত ২০১৮ সালে। নদী খননের কারণে সেতুর দুদিকের মাটি ধসে গেছে।
চরঘিকমলা গ্রামের বাসিন্দা মুদিদোকানি নাজিমুদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, নদীপাড়েই তাঁদের দোকান। তাঁদের দোকান আরও সামনে ছিল। বাঁশঝাড়, আমগাছও ছিল। নদী খননের পর এর পাড় ভাঙতে শুরু করে। ভাঙনে তাঁদের জমির অনেকাংশই নদীতে চলে যায়। পরে আবার রাস্তা করা হলেও তা ভেঙে যায়। এখন যে অবস্থা, তাতে যেকোনো সময় তাঁদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন দোকানটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় সালাম মণ্ডল, মোসলেম মণ্ডল, রাসেল মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি। খননের সময় নদীর মাটি কেটে পাড়ে রাখার কথা থাকলেও তা রাখা হয়নি। ওই সময় যাঁরা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের বলা হয়েছে এটি সরকারি মাটি। সরকার নিয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিয়াকান্দি শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে তাঁদের নির্দিষ্ট ডিজাইনে চত্রা নদী খনন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার মাটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় নদীর পাড় ও সড়ক ভেঙে গেছে। নদীর পাড়ে সব বেলেমাটি। খননের সময় মাটি পরীক্ষা করা হয় না। স্থানীয়রা অপরিকল্পিত খননের যে অভিযোগ করেছে, তা সঠিক নয়। খননের মাটি নদীর দুই পাড়েই রাখা হয়েছিল। পথ বন্ধ হওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে মাটি সরানো হয়েছে। তাঁদের রাজস্ব জমা নিয়ে কিছু মাটি সরাতে হয়েছিল।
বালিয়াকান্দি এলজিইডির প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, সড়কটি ভেঙে কোথাও দুই ফুট আবার কোথাও এরও কম অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। তাঁরা ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সভায় উত্থাপন করেছেন। সড়কটি কত ফুট চওড়া ছিল, এখন কী অবস্থায় আছে তা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। তাঁরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের চত্রা নদীর পাড়ঘেঁষে নারুয়া বাজার-বাকসাডাঙ্গি সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সাড়ে ৯ ফুট চওড়া সড়কটির কোথাও দেড় ফুট আবার কোথাও তা-ও নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কারণেই সড়কটির এ অবস্থা। ফলে স্থানীয়দের প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘৬৪ জেলার অভ্যন্তরের ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’-এর আওতায় বালিয়াকান্দির চত্রা নদীর সাত কিলোমিটার পুনর্খনন করা হয়। ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুনা ট্রেডার্স কাজটি করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চত্রা নদীটি পাংশার সিরাজপুর হাওর থেকে উৎপত্তি হয়ে বালিয়াকান্দি শহরের গড়াই নদে মিশেছে। নদীর উত্তর পাশে বালিয়াকান্দি-নারুয়া-মৃগী সড়ক। দক্ষিণ পাশে নারুয়া বাজার-বাকসাডাঙ্গি সড়ক।
স্থানীয়রা জানান, নারুয়া ইউনিয়নের বড় ঘিকমলা, ঘিকমলা, চষাবিলা, কালুখালীর সাওরাইল, পূর্ব বাকসাডাঙ্গিসহ সাতটি গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এসব গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। যাদের প্রতিদিনই কৃষিপণ্য নিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে যেতে হয়।
সাড়ে ৯ ফুট চওড়া সড়কটি ভেঙে কোথাও দেড় ফুট আবার কোথাও তার চেয়ে কম অস্তিত্ব রয়েছে। যেখান দিয়ে একটি বাইসাইকেল যাওয়াও কষ্টকর। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মিত সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। সড়কের পাশে প্রায় ২০০ বসতঘর ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে চত্রার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যোগাযোগ স্থাপন করেছে একটি সেতু। যেটি নির্মিত ২০১৮ সালে। নদী খননের কারণে সেতুর দুদিকের মাটি ধসে গেছে।
চরঘিকমলা গ্রামের বাসিন্দা মুদিদোকানি নাজিমুদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, নদীপাড়েই তাঁদের দোকান। তাঁদের দোকান আরও সামনে ছিল। বাঁশঝাড়, আমগাছও ছিল। নদী খননের পর এর পাড় ভাঙতে শুরু করে। ভাঙনে তাঁদের জমির অনেকাংশই নদীতে চলে যায়। পরে আবার রাস্তা করা হলেও তা ভেঙে যায়। এখন যে অবস্থা, তাতে যেকোনো সময় তাঁদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন দোকানটি বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় সালাম মণ্ডল, মোসলেম মণ্ডল, রাসেল মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি। খননের সময় নদীর মাটি কেটে পাড়ে রাখার কথা থাকলেও তা রাখা হয়নি। ওই সময় যাঁরা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের বলা হয়েছে এটি সরকারি মাটি। সরকার নিয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিয়াকান্দি শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে তাঁদের নির্দিষ্ট ডিজাইনে চত্রা নদী খনন করা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার মাটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় নদীর পাড় ও সড়ক ভেঙে গেছে। নদীর পাড়ে সব বেলেমাটি। খননের সময় মাটি পরীক্ষা করা হয় না। স্থানীয়রা অপরিকল্পিত খননের যে অভিযোগ করেছে, তা সঠিক নয়। খননের মাটি নদীর দুই পাড়েই রাখা হয়েছিল। পথ বন্ধ হওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে মাটি সরানো হয়েছে। তাঁদের রাজস্ব জমা নিয়ে কিছু মাটি সরাতে হয়েছিল।
বালিয়াকান্দি এলজিইডির প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, সড়কটি ভেঙে কোথাও দুই ফুট আবার কোথাও এরও কম অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে। তাঁরা ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সভায় উত্থাপন করেছেন। সড়কটি কত ফুট চওড়া ছিল, এখন কী অবস্থায় আছে তা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। তাঁরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে