আব্দুর রাজ্জাক
বর্তমান সময়ে একটি কথা বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে যে সবকিছুতে অটোমেশন করলে মানুষ হয়রানি থেকে রেহাই পাবে, দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। কয়েক মাস যাবৎ এ ব্যাপারটি নিয়ে আমি কিছু পর্যালোচনা করেছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এবং বেশ কিছু পরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ-সম্পর্কে কিছু বাস্তব ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এসব বাস্তব অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমার এই ক্ষুদ্র গবেষণা নিজের অভিজ্ঞতা বা মতামত বিনিময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে, তবে বেশির ভাগ মানুষের মতামত যেটা প্রতিফলিত হয়েছে, সেটাই বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।
প্রথমেই ধরা যাক, জমির খাজনা পরিশোধের কথা। জমির খাজনা দিতে গিয়ে আগে অনেকেই অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছেন। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল যেখানে খাজনা হবে ১ হাজার ২৪০ টাকা, সেখানে এই ১ হাজার ২৪০ টাকা খাজনা দিতে ঘুষ দিতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জমির নামজারি করার জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও, কম করে হলেও ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ঘুষের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত যেত।
বর্তমানে অনলাইনে খাজনা দেওয়ার পদ্ধতি চালু হয়েছে। অনলাইনে সবকিছু চাহিদামতো পূরণ করে সাবমিট করার পরেও অপেক্ষায় থাকতে হয় মাসের পর মাস। এই অপেক্ষার সময় পার করার জন্য আপনি যদি তহশিল অফিসে যোগাযোগ করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করে দেয়। এই যোগাযোগের অর্থ হলো, যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তাঁকে তাঁর পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে। বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি, যেসব কম্পিউটারের দোকান এসব অনলাইন ফরম পূরণ করে, তাদের সঙ্গে কথা বলেও একই রকম অভিজ্ঞতার খবর পাওয়া গেছে।
জমির নামজারি করার জন্য অনলাইনব্যবস্থার প্রচলন করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাটা যে একটি মহৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সে-সম্পর্কে কারও কোনো দ্বিমত নেই। জমির নামজারির জন্য অনলাইনে সবকিছু পূরণ করে দেওয়ার পরেও চাহিদা মোতাবেক দলিল খাজনার রসিদসহ যাবতীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে দেওয়ার পরেও, একসেট হার্ডকপি এসি ল্যান্ড অফিসে পৌঁছে দিতে হয়। এই হার্ডকপি পৌঁছে দেওয়ার পরে একটি শুনানির তারিখ দেওয়া হয়। শুনানি কিছুই না, শুধু যেসব কাগজপত্র আপনি অনলাইনে দিয়েছেন, সেগুলো দেখানো। এই দেখানো-শোনানোর মধ্য দিয়ে যোগাযোগ হয়ে গেল আবেদনকারী ব্যক্তির সঙ্গে, এসি ল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে, আর সেই সঙ্গে আদান-প্রদান হয়ে গেল কিছু অর্থ। এভাবেই বাণিজ্য চলছে।
পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বহাল। অনলাইনে আপনি পাসপোর্টের আবেদন করলেন, সর্বোচ্চ ফি দিয়ে দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন। এখানে পাসপোর্ট দেওয়ার কথা এক সপ্তাহের মধ্যে। দেখা যায় প্রায় ক্ষেত্রেই লম্বা একটি তারিখ পড়ে।
এখন আপনার যদি জরুরি দরকার হয়, তাহলে পাসপোর্ট অফিসের সামনে দেখবেন দালাল ঘোরাঘুরি করছে। তাদের শরণাপন্ন হবেন, অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেবেন, তিন দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। এটার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। আমার মেয়ে বুয়েটশিক্ষার্থী আমেরিকার হিউস্টন ইউনিভার্সিটিতে এক সপ্তাহের জন্য একটি প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিল।
সর্বোচ্চ ফি দিয়ে অনলাইনে দরখাস্ত করার ১৮ দিন পরে সে পাসপোর্ট পেয়েছে, ইতিমধ্যে আমেরিকান দূতাবাস থেকে দেওয়া ভিসা প্রদানের তারিখ শেষ হয়ে যায়। আমার মেয়েটি আর আমেরিকায় যেতে পারেনি।
জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রেও এ রকম চলছে। প্রথমে জন্মসনদ জোগাড় করে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সনদপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার জাতীয় পরিচয়পত্র কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলেন, একটি তারিখ দেবে ছবি তোলার জন্য। ছবি তোলার পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ কবে যে পরিচয়পত্র হাতে পাবেন, তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। ইতিমধ্যে আপনার যদি জরুরি প্রয়োজন পড়ে তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুকারী অফিসে অথবা প্রধান অফিসে দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন, বাক্যবিনিময়সহ কিছু আর্থিক বিষয় লেনদেন করবেন, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র আপনার চাহিদামতো সময় পেয়ে যাবেন!
শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ, মার্কশিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি আপনার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রথমেই ওই অনলাইনে আবেদন করবেন। পরে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে কর্তৃপক্ষের কাছে, যদি কর্তৃপক্ষ সদয় হয়, তাহলে শিগগিরই পেয়ে যাবেন। এখানেও মানুষ অনেকাংশ সময় জিম্মি, কর্তৃপক্ষের সদয় অনুমতির জন্য। অনলাইন প্রসেসে সব সময় যথাযথ কাজ হয়, সে কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না।
এ রকম আয়কর রিটার্ন, ভ্যাট প্রদানসহ অনলাইনমাধ্যমে যেসব ব্যবস্থা চালু আছে, এই সুযোগ আপনি নিতে পারেন। ফরম পূরণসহ নানাবিধ কাজে কিছুটা উপকার পাবেন, কিন্তু সত্যিকারের শেষ সম্মতিপত্র পাওয়ার জন্য আপনাকে কোনো না কোনোভাবে একটি ফাঁদে পড়তে হবে। সেই ফাঁদ থেকে উত্তরণের জন্য কোনো ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হয়, আর এখানেই শুভংকরের ফাঁকি!
মোটের ওপর যে কথাটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে শতভাগ সাফল্য কোনো অটোমেশনে আসবে না। আমরা ওপরতলার কিছু মানুষ এই অটোমেশন করার পরে তৃপ্তির ঢেকুর গিলতে পারি, কিন্তু আপামর প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। যত অটোমেশন বলেন, প্রোগ্রাম বলেন, কম্পিউটারাইজড সিস্টেম বলেন, সবকিছুর মূলে কাজ করে কোনো না কোনো ব্যক্তি। এই ব্যক্তির চরিত্র, সাদামাটা কথায় বলতে হয়, ‘খাসলত’ যদি ভালো না হয়, তাহলে কোনো প্রচেষ্টাই কাজ করবে না।
এখন যেটা করতে হবে—সবকিছুর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে। সেই সময় অতিক্রম করে যদি কোনো কাজ করা হয়, তাহলে ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। যেসব ব্যক্তি তদারকি করবেন, তাঁদের ‘খাসলত’ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত সবার সদিচ্ছা থাকতে হবে ও ‘খাসলত’ ভালো হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যত সিস্টেম আছে, যত রকম আইনকানুন, নিয়ম করি না কেন, পেছনে কাজ করে অন্তত একজন ব্যক্তি, একজন মানুষ। আমরা চাই এই ব্যক্তি বা মানুষ তাদের পদ ও পদমর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে কাজটি করুক।
বর্তমান সময়ে একটি কথা বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে যে সবকিছুতে অটোমেশন করলে মানুষ হয়রানি থেকে রেহাই পাবে, দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। কয়েক মাস যাবৎ এ ব্যাপারটি নিয়ে আমি কিছু পর্যালোচনা করেছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এবং বেশ কিছু পরিচিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ-সম্পর্কে কিছু বাস্তব ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এসব বাস্তব অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমার এই ক্ষুদ্র গবেষণা নিজের অভিজ্ঞতা বা মতামত বিনিময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে, তবে বেশির ভাগ মানুষের মতামত যেটা প্রতিফলিত হয়েছে, সেটাই বর্ণনা করার চেষ্টা করছি।
প্রথমেই ধরা যাক, জমির খাজনা পরিশোধের কথা। জমির খাজনা দিতে গিয়ে আগে অনেকেই অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছেন। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল যেখানে খাজনা হবে ১ হাজার ২৪০ টাকা, সেখানে এই ১ হাজার ২৪০ টাকা খাজনা দিতে ঘুষ দিতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা। জমির নামজারি করার জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও, কম করে হলেও ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ঘুষের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত যেত।
বর্তমানে অনলাইনে খাজনা দেওয়ার পদ্ধতি চালু হয়েছে। অনলাইনে সবকিছু চাহিদামতো পূরণ করে সাবমিট করার পরেও অপেক্ষায় থাকতে হয় মাসের পর মাস। এই অপেক্ষার সময় পার করার জন্য আপনি যদি তহশিল অফিসে যোগাযোগ করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক করে দেয়। এই যোগাযোগের অর্থ হলো, যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তাঁকে তাঁর পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া। এ ব্যাপারে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে। বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি, যেসব কম্পিউটারের দোকান এসব অনলাইন ফরম পূরণ করে, তাদের সঙ্গে কথা বলেও একই রকম অভিজ্ঞতার খবর পাওয়া গেছে।
জমির নামজারি করার জন্য অনলাইনব্যবস্থার প্রচলন করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাটা যে একটি মহৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সে-সম্পর্কে কারও কোনো দ্বিমত নেই। জমির নামজারির জন্য অনলাইনে সবকিছু পূরণ করে দেওয়ার পরেও চাহিদা মোতাবেক দলিল খাজনার রসিদসহ যাবতীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে দেওয়ার পরেও, একসেট হার্ডকপি এসি ল্যান্ড অফিসে পৌঁছে দিতে হয়। এই হার্ডকপি পৌঁছে দেওয়ার পরে একটি শুনানির তারিখ দেওয়া হয়। শুনানি কিছুই না, শুধু যেসব কাগজপত্র আপনি অনলাইনে দিয়েছেন, সেগুলো দেখানো। এই দেখানো-শোনানোর মধ্য দিয়ে যোগাযোগ হয়ে গেল আবেদনকারী ব্যক্তির সঙ্গে, এসি ল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে, আর সেই সঙ্গে আদান-প্রদান হয়ে গেল কিছু অর্থ। এভাবেই বাণিজ্য চলছে।
পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বহাল। অনলাইনে আপনি পাসপোর্টের আবেদন করলেন, সর্বোচ্চ ফি দিয়ে দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন। এখানে পাসপোর্ট দেওয়ার কথা এক সপ্তাহের মধ্যে। দেখা যায় প্রায় ক্ষেত্রেই লম্বা একটি তারিখ পড়ে।
এখন আপনার যদি জরুরি দরকার হয়, তাহলে পাসপোর্ট অফিসের সামনে দেখবেন দালাল ঘোরাঘুরি করছে। তাদের শরণাপন্ন হবেন, অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দেবেন, তিন দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন। এটার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি। আমার মেয়ে বুয়েটশিক্ষার্থী আমেরিকার হিউস্টন ইউনিভার্সিটিতে এক সপ্তাহের জন্য একটি প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিল।
সর্বোচ্চ ফি দিয়ে অনলাইনে দরখাস্ত করার ১৮ দিন পরে সে পাসপোর্ট পেয়েছে, ইতিমধ্যে আমেরিকান দূতাবাস থেকে দেওয়া ভিসা প্রদানের তারিখ শেষ হয়ে যায়। আমার মেয়েটি আর আমেরিকায় যেতে পারেনি।
জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রেও এ রকম চলছে। প্রথমে জন্মসনদ জোগাড় করে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সনদপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার জাতীয় পরিচয়পত্র কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলেন, একটি তারিখ দেবে ছবি তোলার জন্য। ছবি তোলার পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ কবে যে পরিচয়পত্র হাতে পাবেন, তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। ইতিমধ্যে আপনার যদি জরুরি প্রয়োজন পড়ে তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুকারী অফিসে অথবা প্রধান অফিসে দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন, বাক্যবিনিময়সহ কিছু আর্থিক বিষয় লেনদেন করবেন, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র আপনার চাহিদামতো সময় পেয়ে যাবেন!
শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ, মার্কশিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি আপনার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রথমেই ওই অনলাইনে আবেদন করবেন। পরে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে কর্তৃপক্ষের কাছে, যদি কর্তৃপক্ষ সদয় হয়, তাহলে শিগগিরই পেয়ে যাবেন। এখানেও মানুষ অনেকাংশ সময় জিম্মি, কর্তৃপক্ষের সদয় অনুমতির জন্য। অনলাইন প্রসেসে সব সময় যথাযথ কাজ হয়, সে কথা কেউ হলফ করে বলতে পারবে না।
এ রকম আয়কর রিটার্ন, ভ্যাট প্রদানসহ অনলাইনমাধ্যমে যেসব ব্যবস্থা চালু আছে, এই সুযোগ আপনি নিতে পারেন। ফরম পূরণসহ নানাবিধ কাজে কিছুটা উপকার পাবেন, কিন্তু সত্যিকারের শেষ সম্মতিপত্র পাওয়ার জন্য আপনাকে কোনো না কোনোভাবে একটি ফাঁদে পড়তে হবে। সেই ফাঁদ থেকে উত্তরণের জন্য কোনো ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হয়, আর এখানেই শুভংকরের ফাঁকি!
মোটের ওপর যে কথাটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে শতভাগ সাফল্য কোনো অটোমেশনে আসবে না। আমরা ওপরতলার কিছু মানুষ এই অটোমেশন করার পরে তৃপ্তির ঢেকুর গিলতে পারি, কিন্তু আপামর প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। যত অটোমেশন বলেন, প্রোগ্রাম বলেন, কম্পিউটারাইজড সিস্টেম বলেন, সবকিছুর মূলে কাজ করে কোনো না কোনো ব্যক্তি। এই ব্যক্তির চরিত্র, সাদামাটা কথায় বলতে হয়, ‘খাসলত’ যদি ভালো না হয়, তাহলে কোনো প্রচেষ্টাই কাজ করবে না।
এখন যেটা করতে হবে—সবকিছুর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে। সেই সময় অতিক্রম করে যদি কোনো কাজ করা হয়, তাহলে ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। যেসব ব্যক্তি তদারকি করবেন, তাঁদের ‘খাসলত’ থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত সবার সদিচ্ছা থাকতে হবে ও ‘খাসলত’ ভালো হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যত সিস্টেম আছে, যত রকম আইনকানুন, নিয়ম করি না কেন, পেছনে কাজ করে অন্তত একজন ব্যক্তি, একজন মানুষ। আমরা চাই এই ব্যক্তি বা মানুষ তাদের পদ ও পদমর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে কাজটি করুক।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে