কোরআনের আলোকে সফল যাঁরা

মো. শাহজাহান কবীর
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ০৩
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ০২

দুনিয়ার জীবনে কে সফল, কে ব্যর্থ? সফলতা ও ব্যর্থতার মানদণ্ড কী? মহান আল্লাহই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর হুকুমেই সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে গোটা সৃষ্টিজগৎ। সুতরাং তিনি যাদের সফল বলবেন, বাস্তবে তারা সফলই। আর তিনি যাদের ব্যর্থ বলবেন, তারা মূলত ব্যর্থই।

আল্লাহ তাআলাই আমাদের জীবন দিয়েছেন। সঙ্গে দিয়েছেন জীবন বিধানও। তাই তাঁর দৃষ্টিতে কে সফল, কে ব্যর্থ তা আমাদের জানতে হবে। পবিত্র কোরআনে তিনি এরশাদ করেন, ‘সে-ই সফলকাম হবে, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে; এবং সে-ই ব্যর্থ হবে, যে নিজেকে কলুষিত করবে।’ (সুরা শামস: ৯-১০)

অর্থাৎ, যে নিজের কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং কোরআন-সুন্নাহর আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারবে, সে-ই সফল হবে। পক্ষান্তরে যে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করবে, আল্লাহর বিধি-বিধানের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবে না, ইচ্ছেমতো জীবন পরিচালনা করবে, সে ব্যর্থ ও বিফল হবে। প্রথম ব্যক্তির ঠিকানা হবে জান্নাত। আর দ্বিতীয় ব্যক্তির স্থান হবে জাহান্নামে।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে সীমা লঙ্ঘন করে এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়, জাহান্নামই হবে তার আবাস। পক্ষান্তরে যে স্বীয় প্রতিপালকের সামনে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে, জান্নাতই হবে তার ঠিকানা।’ (সুরা নাযিয়াত ৩৭-৪১)

এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকে, সে তার ইজ্জত ও দ্বীন রক্ষা করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়, সে পরিশেষে হারাম কাজে লিপ্ত হয়।’ যে কাজে জায়েজ ও নাজায়েজ উভয় দিকের সম্ভাবনা থাকে, সেটিকেই সন্দেহজনক কাজ বলা হয়। 

লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত