বিরস
এক বিত্তবান ব্যক্তি দাঁত ব্যথায় কাতর হয়ে বিদেশে গিয়ে দন্ত চিকিৎসার মনস্থির করলেন। বন্ধুর পরামর্শে তিনি গেলেন চীনে। চীনা ডেন্টিস্ট দেখেশুনে বললেন, ঠিক আছে। আপনার বেশ কয়েকটি দাঁত তুলে ফেলতে হবে। প্রতি দাঁত তোলার খরচ ১০ হাজার টাকা।
ভদ্রলোক একটু বিস্মিত হলেন। বললেন, ‘এত টাকা কেন? আমাদের দেশে তো এক শ টাকা দিলেই দাঁত তুলে দেয়।’
ডেন্টিস্ট বললেন, ‘আমাদের দেশে দাঁত তোলা খুব কঠিন কাজ।’
-কেন, কঠিন কেন?
-আমরা দাঁত তুলি কান দিয়ে।
ডেন্টিস্টের কথা শুনে দাঁতের রোগী তো হতবাক। ‘কান দিয়ে দাঁত তোলা হয় কেন?’
খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে ডেন্টিস্ট বলেন, ‘আমাদের দেশে মুখ খোলা নিষেধ। বেআইনি।’
খ. ইংল্যান্ড সফরকালে রানির সঙ্গে চা খেতে খেতে আলাপ করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। একপর্যায়ে বুশ রানির কাছে তাঁর নেতৃত্বের দর্শন জানতে চান।
রানি বলেন, ‘নিজের চারপাশে বুদ্ধিমান লোক রাখা।’
বুশের জিজ্ঞাসা, ‘বুদ্ধিমান কারা সেটা কীভাবে বোঝেন?’
রানির তাৎক্ষণিক জবাব, ‘উপযুক্ত প্রশ্নের মাধ্যমে আমি তা বুঝতে পারি।’
বুশ আরও পরিষ্কার হতে চাইলে রানি টনি ব্লেয়ারকে ফোন করে বলেন, ‘মি. ব্লেয়ার, বলুন তো, আপনার বাবার একজন সন্তান, মায়েরও তাই। কিন্তু সেই সন্তান আপনার ভাই বা বোন নয়। তিনি কে?’
‘এটা আমি নিজে ম্যাম’, টনি ব্লেয়ারের চটপট উত্তর।
রানি ব্লেয়ারকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, ‘সঠিক জবাব।’
বুশ রানিকে ধন্যবাদ জানালেন এবং বললেন, ‘আমি নিশ্চয়ই এটা কাজে লাগাব।’
ওয়াশিংটনে ফিরে বুশ পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জেসে হেমসকে ডেকে বললেন, ‘সিনেটর, আপনি কি আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?’
-অবশ্যই স্যার। প্রশ্ন করুন।
বুশ বললেন, ‘আপনার বাবার এক সন্তান আছে, মায়েরও তাই। কিন্তু সেই সন্তান আপনার ভাই বা বোন নন। তিনি কে?’
হেমস কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘আমি কি আরও একটু সময় পেতে পারি?’
বুশ তাঁকে সময় দিলেন।
হেমস দ্রুত সিনিয়র সিনেটরদের নিয়ে জরুরি সভায় বসলেন এবং একই প্রশ্ন করলেন। কিন্তু কেউ উত্তর দিতে পারল না। হেমস নিরুপায় হয়ে কলিন পাওয়েলকে ফোন করে ওই প্রশ্নটি করতেই পাওয়েল সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন, ‘আরে বোকা, এটা তো আমি নিজে।’
হেমস স্বস্তি পেলেন এবং বুশের কাছে ছুটে গিয়ে বললেন, ‘স্যার, আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো, তিনি হচ্ছেন কলিন পাওয়েল।’
বুশ বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘ভুল উত্তর, গাধা কোথাকার। সঠিক উত্তর হলো, টনি ব্লেয়ার।’
গ. আমেরিকা, রাশিয়া ও আফগানিস্তানের তিন যুবক নৌকায় করে নদী পার হচ্ছিল। আমেরিকার যুবকটি তাঁর গায়ের ফারকোটটি নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, এটা আমাদের দেশে প্রচুর পাওয়া যায়।
রাশিয়ার যুবকটি তার ব্যাগ থেকে একটি ভোদকার বোতল বের করে এক ঢোক গিলে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, এটা আমাদের দেশে প্রচুর আছে।
সবশেষে আফগান যুবকটি তার মাথার পাগড়ি খুলে আমেরিকার যুবকটিকে বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, আমাদের দেশে এটার অভাব নেই।
ঘ. তখন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করে আছে। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে গোপনীয়তার নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা হতো। তথ্য প্রচারে ছিল নানা বিধিনিষেধ। তখন এক জার্মান যুবক চাকরি পেয়ে সাইবেরিয়া যায়। সে জানত, তার সব চিঠি সেন্সর হবে। তাই তার বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করল। বন্ধুকে বলল, ‘যদি নীল কালিতে চিঠি লিখি তাহলে বুঝবি ঘটনা সত্য। আর যদি লাল কালিতে লিখি, তাহলে বুঝবি মিথ্যা।’
এক মাস পর বন্ধু চিঠি পেল, তাতে নীল কালিতে লেখা: এইখানে সবকিছু ভালো। দোকান সব সময় সব জিনিসপত্রে ভরা থাকে। খাবারদাবারের কোনো অভাব নেই। বিশাল বিশাল সব অ্যাপার্টমেন্ট। রুম হিটিংয়ের চমৎকার ব্যবস্থা। সিনেমা হলে পশ্চিমা ছবি দেখায়। মেয়েরা সব অপূর্ব সুন্দরী। ইচ্ছে করলেই প্রেম করা যায়। এখানে সমস্যা শুধু একটাই, লাল কালি কিনতে পাওয়া যায় না।
এক বিত্তবান ব্যক্তি দাঁত ব্যথায় কাতর হয়ে বিদেশে গিয়ে দন্ত চিকিৎসার মনস্থির করলেন। বন্ধুর পরামর্শে তিনি গেলেন চীনে। চীনা ডেন্টিস্ট দেখেশুনে বললেন, ঠিক আছে। আপনার বেশ কয়েকটি দাঁত তুলে ফেলতে হবে। প্রতি দাঁত তোলার খরচ ১০ হাজার টাকা।
ভদ্রলোক একটু বিস্মিত হলেন। বললেন, ‘এত টাকা কেন? আমাদের দেশে তো এক শ টাকা দিলেই দাঁত তুলে দেয়।’
ডেন্টিস্ট বললেন, ‘আমাদের দেশে দাঁত তোলা খুব কঠিন কাজ।’
-কেন, কঠিন কেন?
-আমরা দাঁত তুলি কান দিয়ে।
ডেন্টিস্টের কথা শুনে দাঁতের রোগী তো হতবাক। ‘কান দিয়ে দাঁত তোলা হয় কেন?’
খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে ডেন্টিস্ট বলেন, ‘আমাদের দেশে মুখ খোলা নিষেধ। বেআইনি।’
খ. ইংল্যান্ড সফরকালে রানির সঙ্গে চা খেতে খেতে আলাপ করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। একপর্যায়ে বুশ রানির কাছে তাঁর নেতৃত্বের দর্শন জানতে চান।
রানি বলেন, ‘নিজের চারপাশে বুদ্ধিমান লোক রাখা।’
বুশের জিজ্ঞাসা, ‘বুদ্ধিমান কারা সেটা কীভাবে বোঝেন?’
রানির তাৎক্ষণিক জবাব, ‘উপযুক্ত প্রশ্নের মাধ্যমে আমি তা বুঝতে পারি।’
বুশ আরও পরিষ্কার হতে চাইলে রানি টনি ব্লেয়ারকে ফোন করে বলেন, ‘মি. ব্লেয়ার, বলুন তো, আপনার বাবার একজন সন্তান, মায়েরও তাই। কিন্তু সেই সন্তান আপনার ভাই বা বোন নয়। তিনি কে?’
‘এটা আমি নিজে ম্যাম’, টনি ব্লেয়ারের চটপট উত্তর।
রানি ব্লেয়ারকে ধন্যবাদ দিয়ে বললেন, ‘সঠিক জবাব।’
বুশ রানিকে ধন্যবাদ জানালেন এবং বললেন, ‘আমি নিশ্চয়ই এটা কাজে লাগাব।’
ওয়াশিংটনে ফিরে বুশ পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জেসে হেমসকে ডেকে বললেন, ‘সিনেটর, আপনি কি আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?’
-অবশ্যই স্যার। প্রশ্ন করুন।
বুশ বললেন, ‘আপনার বাবার এক সন্তান আছে, মায়েরও তাই। কিন্তু সেই সন্তান আপনার ভাই বা বোন নন। তিনি কে?’
হেমস কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘আমি কি আরও একটু সময় পেতে পারি?’
বুশ তাঁকে সময় দিলেন।
হেমস দ্রুত সিনিয়র সিনেটরদের নিয়ে জরুরি সভায় বসলেন এবং একই প্রশ্ন করলেন। কিন্তু কেউ উত্তর দিতে পারল না। হেমস নিরুপায় হয়ে কলিন পাওয়েলকে ফোন করে ওই প্রশ্নটি করতেই পাওয়েল সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিলেন, ‘আরে বোকা, এটা তো আমি নিজে।’
হেমস স্বস্তি পেলেন এবং বুশের কাছে ছুটে গিয়ে বললেন, ‘স্যার, আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো, তিনি হচ্ছেন কলিন পাওয়েল।’
বুশ বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘ভুল উত্তর, গাধা কোথাকার। সঠিক উত্তর হলো, টনি ব্লেয়ার।’
গ. আমেরিকা, রাশিয়া ও আফগানিস্তানের তিন যুবক নৌকায় করে নদী পার হচ্ছিল। আমেরিকার যুবকটি তাঁর গায়ের ফারকোটটি নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, এটা আমাদের দেশে প্রচুর পাওয়া যায়।
রাশিয়ার যুবকটি তার ব্যাগ থেকে একটি ভোদকার বোতল বের করে এক ঢোক গিলে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, এটা আমাদের দেশে প্রচুর আছে।
সবশেষে আফগান যুবকটি তার মাথার পাগড়ি খুলে আমেরিকার যুবকটিকে বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে বলল, আমাদের দেশে এটার অভাব নেই।
ঘ. তখন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তার করে আছে। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে গোপনীয়তার নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা হতো। তথ্য প্রচারে ছিল নানা বিধিনিষেধ। তখন এক জার্মান যুবক চাকরি পেয়ে সাইবেরিয়া যায়। সে জানত, তার সব চিঠি সেন্সর হবে। তাই তার বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করল। বন্ধুকে বলল, ‘যদি নীল কালিতে চিঠি লিখি তাহলে বুঝবি ঘটনা সত্য। আর যদি লাল কালিতে লিখি, তাহলে বুঝবি মিথ্যা।’
এক মাস পর বন্ধু চিঠি পেল, তাতে নীল কালিতে লেখা: এইখানে সবকিছু ভালো। দোকান সব সময় সব জিনিসপত্রে ভরা থাকে। খাবারদাবারের কোনো অভাব নেই। বিশাল বিশাল সব অ্যাপার্টমেন্ট। রুম হিটিংয়ের চমৎকার ব্যবস্থা। সিনেমা হলে পশ্চিমা ছবি দেখায়। মেয়েরা সব অপূর্ব সুন্দরী। ইচ্ছে করলেই প্রেম করা যায়। এখানে সমস্যা শুধু একটাই, লাল কালি কিনতে পাওয়া যায় না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে