সম্পাদকীয়
মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলে ফেরদৌসী মজুমদার নাটক করতেন থিয়েটারে। সবাই জানেন, মঞ্চনাটক মুক্তিযুদ্ধের সেরা ফসলের একটি। সে সময় মঞ্চে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁরা চিন্তায়-চেতনায় বাংলা সংস্কৃতিকে ধারণ করেছিলেন।
থিয়েটার তাদের দ্বিতীয় মঞ্চনাটক ‘এখন দুঃসময়’ মঞ্চে এনেছিল ১৯৭৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। আবদুল্লাহ আল-মামুন সেই নাটকটি লিখেছিলেন। নির্দেশনাও দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়কার ভয়ানক বন্যার পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে ছিল নাটকটি। সেই নাটকে একটিই মাত্র নারী চরিত্র—জরিনা। এই চরিত্রে অভিনয় করতেন ফেরদৌসী মজুমদার। ব্যাপারীর ভূমিকায় অভিনয় করতেন আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বয়ং। এই নাটকে জরিনা চরিত্রটির মধ্যে পরিবর্তন আছে। শুরুতে মেয়েটি মলিন, শীর্ণ। ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলন্ত তার দুটি চোখ। ময়লা শতচ্ছিন্ন সুতির শাড়ি পরনে। ব্লাউজটাও ছেঁড়া। এ রকম পোশাকে অভিনয় করেই পরের দৃশ্যে দেখা যেত পরিবর্তিত জরিনাকে। এই জরিনা ব্যাপারীর কল্যাণে ঝকঝকে জরিনা। ব্যাপারী জরিনার দারিদ্র্যের সুযোগে তাকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছে। ভাতে-কাপড়ে ভালোই রেখেছে। কিন্তু জরিনা তাকে ঘৃণা করে।
মজার ব্যাপার হলো, মলিন জরিনা আর চকচকে জরিনা মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে মঞ্চে আসে। এত কম সময়ে পোশাক পাল্টে মঞ্চে আসা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু দর্শকেরা এত দ্রুত ফেরদৌসী মজুমদারকে দুই পোশাকে দেখবেন, তা ভাবতেই পারতেন না। এটা তাঁদের চোখে এক অসম্ভব ব্যাপার ছিল।
কী করে ঘটনাটি ঘটাতেন ফেরদৌসী মজুমদার? আসলে তিনি প্রথমে চকচকে জরিনার গেটআপ নিতেন। তার ওপর পরতেন শতচ্ছিন্ন শাড়ি-ব্লাউজ। ফলে চকচকে ছাপা শাড়িটা ঢেকে যেত শতচ্ছিন্ন শাড়ি দিয়ে। দর্শক বুঝতেই পারতেন না তা। ক্ষুধার্ত অভাবী জরিনা মঞ্চ থেকে বের হয়েই দ্রুত খুলে ফেলতেন ওপরের শাড়ি। উইংসের পাশে কেউ একজন দাঁড়িয়ে থাকত রঙিন কাচের চুড়ি, ফিতে আর দুল নিয়ে। দ্রুত সেগুলো পরে আবার ফিরে আসতেন মঞ্চে। খোঁপা খুলে হাওয়াই মিঠাই ফিতে দিয়ে চুল পেছনে বাঁধলেই এ এক অন্য জরিনা!
সূত্র: ফেরদৌসী মজুমদার, অভিনয়জীবন আমার, পৃষ্ঠা ২৯-৩০
মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলে ফেরদৌসী মজুমদার নাটক করতেন থিয়েটারে। সবাই জানেন, মঞ্চনাটক মুক্তিযুদ্ধের সেরা ফসলের একটি। সে সময় মঞ্চে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁরা চিন্তায়-চেতনায় বাংলা সংস্কৃতিকে ধারণ করেছিলেন।
থিয়েটার তাদের দ্বিতীয় মঞ্চনাটক ‘এখন দুঃসময়’ মঞ্চে এনেছিল ১৯৭৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। আবদুল্লাহ আল-মামুন সেই নাটকটি লিখেছিলেন। নির্দেশনাও দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়কার ভয়ানক বন্যার পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে ছিল নাটকটি। সেই নাটকে একটিই মাত্র নারী চরিত্র—জরিনা। এই চরিত্রে অভিনয় করতেন ফেরদৌসী মজুমদার। ব্যাপারীর ভূমিকায় অভিনয় করতেন আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বয়ং। এই নাটকে জরিনা চরিত্রটির মধ্যে পরিবর্তন আছে। শুরুতে মেয়েটি মলিন, শীর্ণ। ক্ষুধার জ্বালায় জ্বলন্ত তার দুটি চোখ। ময়লা শতচ্ছিন্ন সুতির শাড়ি পরনে। ব্লাউজটাও ছেঁড়া। এ রকম পোশাকে অভিনয় করেই পরের দৃশ্যে দেখা যেত পরিবর্তিত জরিনাকে। এই জরিনা ব্যাপারীর কল্যাণে ঝকঝকে জরিনা। ব্যাপারী জরিনার দারিদ্র্যের সুযোগে তাকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছে। ভাতে-কাপড়ে ভালোই রেখেছে। কিন্তু জরিনা তাকে ঘৃণা করে।
মজার ব্যাপার হলো, মলিন জরিনা আর চকচকে জরিনা মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে মঞ্চে আসে। এত কম সময়ে পোশাক পাল্টে মঞ্চে আসা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু দর্শকেরা এত দ্রুত ফেরদৌসী মজুমদারকে দুই পোশাকে দেখবেন, তা ভাবতেই পারতেন না। এটা তাঁদের চোখে এক অসম্ভব ব্যাপার ছিল।
কী করে ঘটনাটি ঘটাতেন ফেরদৌসী মজুমদার? আসলে তিনি প্রথমে চকচকে জরিনার গেটআপ নিতেন। তার ওপর পরতেন শতচ্ছিন্ন শাড়ি-ব্লাউজ। ফলে চকচকে ছাপা শাড়িটা ঢেকে যেত শতচ্ছিন্ন শাড়ি দিয়ে। দর্শক বুঝতেই পারতেন না তা। ক্ষুধার্ত অভাবী জরিনা মঞ্চ থেকে বের হয়েই দ্রুত খুলে ফেলতেন ওপরের শাড়ি। উইংসের পাশে কেউ একজন দাঁড়িয়ে থাকত রঙিন কাচের চুড়ি, ফিতে আর দুল নিয়ে। দ্রুত সেগুলো পরে আবার ফিরে আসতেন মঞ্চে। খোঁপা খুলে হাওয়াই মিঠাই ফিতে দিয়ে চুল পেছনে বাঁধলেই এ এক অন্য জরিনা!
সূত্র: ফেরদৌসী মজুমদার, অভিনয়জীবন আমার, পৃষ্ঠা ২৯-৩০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে